অরবিটাল কাকে বলে বাংলা SSC

রসায়নে পরমাণুর শক্তি স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরমাণুর গঠন করতে গেলে বা গঠন সম্পর্কিত যেকোন তথ্য বুঝতে হলে আমাদের অবশ্যই তাদের কোন শক্তি স্তরে বা অরবিটালে কতটি ইলেকট্রন থাকবে সেই ধারণা রাখতে হবেই। শক্তি স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কিত একটি ত্বত্ত রয়েছে। অর্থাৎ ভোরের মডেল যে শক্ত স্তরের কথা বলা হয়েছে তাকে প্রধান শক্তি স্তর হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতিটি প্রধান শক্তিশালী সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2n2. এখানেn=1,2,3,4…. হতে পারে। অতএব এই সূত্র অনুসারে তিনটি প্রধান শক্তি স্তর রয়েছে। এই তিনটি প্রধান শক্তি স্তরের নাম হলো -K, L, M. ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্রধান শক্তি স্তরের প্রথমে অর্থাৎ প্রথম শক্ত স্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা থাকে দুইটি।

দ্বিতীয় শক্তিশালী ইলেকট্রন সংখ্যা ৮ টি তৃতীয় শক্তি স্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ১৮ টি এবং সর্বশেষ শক্তি স্তর আচার চতুর্থ শক্তি স্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা হবে ৩২ টি। পরের শক্তি স্তরগুলি এখনো অসংজ্ঞায়িত আছে। আমরা যদিও বা প্রধান শক্তি স্তর n দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এই শক্তি স্তরগুলো আবার উপশক্তি স্তরে বিভক্ত থাকে এবং এই উপর শক্তি স্তরকে 1 দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই 1 এর মান হয় 0 থেকে n-1 পর্যন্ত। উপশক্তি স্তরগুলোকে অরবিটাল বলা হয়। এই উপশক্তি স্তর বা অরবিটাল সমূহ কে s,p,d,f ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়। বিভিন্ন উপশক্তি স্তরের জন্য সম্ভাব্য এর মান নিচে 1 দেখানো হলো।

আমরা দেখেছি প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এই শক্তিস্তরগুলো আবার উপশক্তিস্ত বিভক্ত থাকে এবং এই উপশক্তিস্তরকে দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।। এর মান হয় ০ থেকে n -1 পর্যন্ত। উপশক্তিস্তরগুলোকে অরবিটাল বলা হয়। এই উপশক্তিস্তর বা অরবিটালগুলোকে s, p. d, E ই নামে আখ্যায়িত করা হয়। বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের জন্য সম্ভাব্য এর মান নিচে দেখানো হলো।
n=1 হলে 1 = 0 অরবিটাল একটি; 1s
n = 2 হলে 1 = 0, 1 অরবিটাল দুটি: 29: 2p
n= 3 হলে 1 = 0, 1, 2 অরবিটাল তিনটি: 35, 3p 3d
n = 1 হলে । – 0, 1, 2, 3 অরবিটাল চারটি। 45, 4p 4d 4f
n – 5 – 10, 1, 2, 3, 4 অর্থাৎ এখানে অরবিটাল থাকবে পাঁচটি কিন্তু 45, 4p 4d 4f এই প্রথম চারটি অরবিটালেই সবগুলো ইলেকট্রনের বিন্যাস করা সম্ভব বলে পরবর্তী আরবিটালের আর প্রয়োজন হয় না। n = 6, 7 এবং 8 এর জন্যও এটি সত্যি। প্রতিটি অরবিটালে ইলেকট্রনের সংখ্যা হবে=2(2l +1) আমরা এর মাঝে জেনে গেছি প্রতিটি পূর্ণ শক্তি স্তরে ইলেকট্রনের সংখ্যা হচ্ছে 2n^n এবং তোমরা দেখবে সবগুলো অরবিটালের ইলেকট্রনের সংখ্যা যোগ করে আমরা এই 2n^2 পেয়ে যাই।

পরমাণুতে ইলেকট্রন প্রথমে সর্বনিম্ন শক্তি স্তর বা অরবিটালে প্রবেশ করে এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তির অরবিটালে প্রবেশ করে। অর্থাৎ যে অরবিটালের শক্তি কম শেয়ার বিকেলে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে এবং যে ভিতরের শক্তি বেশি সেই হসপিটালের ইলেকট্রন পরে প্রবেশ করবে এটি অরবিটালের গঠনের নিয়ম। বারবি ডলের মধ্যে কোনটি শক্তি কম আর কোনটির শক্তি বেশি তা অরবিটাল দুটির প্রধান শক্ত স্তরের মান দেখলেই পাওয়া যাবে। আজকে এখন আমাদের দেখাতে হবে অরবিটাল কাকে বলে?
চলুন দেখা যাক অরবিটাল কাকে বলে

অরবিটাল: রসায়নের প্রধান শক্তি স্তরগুলোকে আবার উপশক্তি স্তরে বিভক্ত থাকে এবং এই উপশক্তি স্তরকে l দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। l এর মান মান হয় ০ থেকে n -1 পর্যন্ত। আর এই উপশক্তিস্তরগুলোকে অরবিটাল বলা হয়।
তাহলে আমরা রসায়নের প্রধান শক্তি স্তর এবং উপশক্তি স্তর ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো। তাই সবকিছু তার সম্পর্কিত আর কোন তথ্য তোমাদের প্রয়োজন হবে না আশা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *