প্রত্যেকটি প্রাণীর একটি ভাষা রয়েছে যে ভাষা ব্যবহার করে তারা একে অপরের নিকট তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। এই ভাষাটি প্রত্যেক প্রাণীরায় তার মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। কারণ জন্মদাত্রী মা এবং শিশুর প্রত্যেকটি শিশুর প্রথম আলিঙ্গন সে মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। এই কারণে প্রাথমিকভাবে যা কিছু শেখার সে তার পরিবার বা মা-বাবার কাছ থেকে পেয়ে থাকে। তাই একমাত্র মানুষই তাদের সঠিক ভাষা ব্যবহার করে একে অন্যের সাহিত্য আদান প্রদান করতে পারে।
তাই মানুষের একটি ভাষা রয়েছে। মোট কথা মানুষের বা প্রত্যেক মানুষেরই তার নিজস্ব নিজস্ব মাতৃভাষা রয়েছে। তাই বলা যায় যে মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য কন্ঠ ধ্বনি এবং হাত-পা চোখ ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাহায্যে ইঙ্গিত করে থাকে। অর্থাৎ এগুলিকে একযোগে আমরা ভাষা বলতে পারি। তবে তারপরেও কার্যকরী ভাষা হচ্ছে মানুষের কন্ঠ নিঃসৃত ধ্বনি।
এই কন্ঠ নিশ্চিত ধনী ব্যবহার করে মানুষ খুব সহজেই নিজের মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে। তাই কন্ঠ ধ্বনি বলতে আমরা মুখ্য গহবর কণ্ঠ নাক ইত্যাদি সাহায্যে উচ্চারিত বোধগম্য ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে বুঝতে পারি। এই ধ্বনির সাহায্যেই ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধনের সৃষ্টি হয় বাগ্ যন্ত্রের দ্বারা। তাই ভাষা মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তাই বলা যায় যে এই বাকযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধোনির সাহায্যে মানুষের ভাবপ্রকাশের মাধ্যমকে এই ভাষা বলে। দেশ কাল পরিবেশ ভেদে ভাষার বিভিন্ন পার্থক্য বা পরিবর্তন ঘটে থাকে। কারণ একেক অঞ্চলের মানুষের মাতৃভাষা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বস্তু বা ভাবের জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্যে শব্দের সৃষ্টি করেছে বহুকাল ধরে।
সেসব শব্দ মূলত নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু এবং ভাবের প্রতীক রয়েছে মাত্র। এজন্যই আমরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহারের প্রয়োগ দেখতে পাই। অর্থাৎ এ কথা বলা যায় যে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মাতৃভাষা বিভিন্ন। সে ভাসাও আবার ভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়ে এসেছে এই কারণে এই শতকে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করে হাজার বছর আগের মানুষের ভাষা ঠিক এমনটি ছিল না। অর্থাৎ ভাষা ও পরিবর্তন হতে পারে। বর্তমান যুগের ভাষা প্রাচীনকালের ভাষার চাইতে অনেক আলাদা হয়েছে। এবং প্রতিটি ভাষাতে নতুন নতুন বিভিন্ন শব্দ যোগ হয়ে ভাষার সমৃদ্ধ হয়েছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন শব্দ বিলুপ্ত হয়ে গেছে ভাষা থেকে। বর্তমান পৃথিবীতে অনেক লোক সংখ্যা রয়েছে অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো ভাষায় প্রচলিত আছে বর্তমান এই পৃথিবীতে।
তাই এদের ভাষাও ভিন্ন ভিন্ন অর্থাৎ এগুলো তাদের মাতৃভাষা। আর মাতৃভাষার সাহায্যে মানুষ প্রথমে ভাষা শেখে। তাই প্রতিটি মাতৃভাষা প্রত্যেকজন মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে যেখানেই থাকুক না কেন মাতৃভাষাকে কেউ ভুলতে পারেনা। কারণ মাতৃভাষার মাধ্যমে মানুষ প্রথম বুলি শেখে। এই কারণে মানুষ মাতৃভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাদের নিজস্ব চেষ্টা দিয়ে। আমাদের বাংলাদেশের অধিবাসীদের মাতৃভাষা বাংলা। এই বাংলা শুধু আমাদের মাতৃভাষা নয় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা বিহার উড়িষ্যা এবং আসামের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের ভাষাও বাংলা তাই শুধু আমাদের মাতৃভাষা বাংলা নয় তাদের মাতৃভাষা বাংলা। তাই বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম ভাষা হলেও প্রতিটি মানুষের কাছে তার মাতৃভাষায় সবচাইতে বেশি প্রিয় হয়ে থাকে।
তাই একথা বলা যায় যে প্রতিটি মানুষের কাছে তার মাতৃভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি মাতৃভাষা কাকে বলে।
মাতৃভাষা; মাতৃভাষা শব্দের অর্থ হলো মায়ের ভাষা। একজন শিশু মায়ের পেট থেকে পড়ে যে ভাষা শিখতে থাকে এবং পরবর্তীতে বলতে থাকে সেটিই হচ্ছে মাতৃভাষা।