আমরা আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের বস্তু দেখতে পাই। এই বস্তুগুলিকে আমরা সাধারণত পদার্থ বলে থাকি। অর্থাৎ যার ওজন আছে আয়তন আছে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে তাদেরকেই আমরা পদার্থ বলবো সাধারণ ভাষায়। এছাড়াও আরেক টি বা আরেক প্রকার কিছু রয়েছে সেটিকে আমরা শক্তি বলবো। শক্তি খালি চোখে আমরা বা দৃশ্যমান হয় না এটি অনুভব করতে হয়। যেমন তাপ শক্তি বিদ্যুৎ শক্তি আলোক শক্তি ইত্যাদি আসলে চোখে দেখার মত বিষয় নয় এটি অনুভব করতে হয়। পদার্থ আমরা ধাতুর বিষয়ে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা: ধাতু এবং অধাতু। তাহলে আমরা আমাদের চারপাশে যে ধরনের পদার্থ গুলি দেখতে পাই সেগুলি সকলেই কি ধাতু না এ সকল পদার্থই আমরা ধাতু বলতে পারি না। কারণ আমাদের চোখের সামনে যে সকল বিষয়বস্তু দেখতে পাওয়া যায় তার অধিকার অধিকাংশই অন্য কোন পদার্থ হতে পারে ধাতু হতে পারে না।
কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধাতু মূল্যবান সম্পদ হতে পারে। অর্থের দিক দিয়ে কোন ধাতু অত্যন্ত মূল্যবান এবং কোন কোন ধাতু একটু কম মূল্যবান তারপরেও সকল ধাতুই আসলে মূল্যবান বস্তু হয়ে থাকে। তাই আমরা পৃথিবীতে যে ধরনের বা 108 টি মৌলিক পদার্থ পেয়েছি সেই মৌলিক পদার্থ গুলি সকলকেই ধাতু বলা যাবে না কিছু কিছু পদার্থ ধাতু বাকিগুলি অধাতু। আজকে আমাদের আলোচনা করতে হবে ধাতু কাকে বলে। সকল ধাতুই মৌলিক পদার্থ হিসেবে প্রকৃতিতে আমরা পেয়ে থাকি। তবে অনেকগুলি মৌলিক ধাতু নিয়ে যৌগিক ধাতু তৈরি করা হয়ে থাকে।
যেমন কাঁশা পেতল এই ধরনের যৌগিক ধাতুগুলি একাধিক ধাতুর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। আমরা আবার হাটে বাজারে অষ্টধাতুর তৈরি আংটি বিক্রয় করতে দেখি বিভিন্ন কবিরাজদের। তাদের ভাষ্যমতে এই আংটিগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। এবং অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি আংটি আমাদের শরীরের বা মনের অনেক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে থাকে তাই এ সকল আন্টির গুরুত্ব আমাদের বাংলাদেশের মানুষদের কাছে গ্রামে বা শহরে সকল ক্ষেত্রেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ তারা বিশ্বাস করে যে অষ্টধাতুর তৈরি আংটি যদি তারা শরীরে ধারণ করে তাহলে অনেক অসুখ-বিসুখ তাদের হবে না সেই বিশ্বাস থেকে তারা সেই আংটিগুলো ধারণ করে থাকে।
কিন্তু এ ধরনের কথাগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে তেমন সত্য নাও হতে পারে তবে এখনো সেটি প্রমাণিত বিষয় নয় তাই এ ব্যাপারে আমরা তেমন কিছু বলতে পারলাম না। আমাদের আসলে আজকে বলতে হবে বা দেখাতে হবে ধাতু কাকে বলে। আমরা আমাদের বাড়ির আসবাবপত্রের মধ্যে বা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মধ্যে আমরা দেখেছি যে লোহা তামা রুপা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পদার্থ গুলি দিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়েছে। এবং এ ধরনের তৈরি কৃত বা এই ধরনের পদার্থ দিয়ে তৈরি কৃত যন্ত্র গুলি বা আরবাবপত্র গুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজ করে থাকে অর্থাৎ সেগুলি অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্র হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের জন্য।
তাই ধাতু চিনতে পারার পর থেকে মানুষ ব্যবহার করে আসছে এটি কে। তাই আমাদের জীবন চলার পথে ধাতু একটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ। এই পদার্থ গুলি দেখতে অনেকটা চকচক করে এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কোন কোন ধাতু দিয়ে আমরা আবার গহনা ও তৈরি করে। তাই মানুষের জীবনের সৌন্দর্য বর্ধনে এবং জীবন চলার প্রয়োজনে অসুখ-বিসুখ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে এ ধরনের ধাতু ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। তাই আমরা এখন দেখতে পারি যে এই ধাতু কাকে বলে? চলুন তাহলে দেখা যাক ধাতু কাকে বলে।
ধাতু: যেসব উপাদান সাধারণত তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়, পিটিয়ে পাত করা যায়, ঘষলে চকচক করে সেসব উপাদানকে ধাতু বলে ।