মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে

আমরা জানি যে এককোষীদের থেকে শুরু করে বহুকোষী জীব পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই নানা ধরনের কোষবিভাজন দেখা যায়। কারণ একটি ক্ষুদ্র প্রাণী বা উদ্ভিদ যখন সে সত্য জাত থাকে তখন সে ক্ষুদ্রই থাকে কিন্তু আস্তে আস্তে তার শরীর অনেক বৃহদাকার হয়ে থাকে। এটি সম্ভব হয় কোষ বিভাজনের ফলে। অর্থাৎ কোষ বিভাজিত হয়ে একটি কোষ দুইটি এবং দুইটি কোষ চারটি এভাবে বিভাজিত হয়ে খসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে ফলে আমাদের এই বিশাল দেহের সৃষ্টি হয় এভাবে। তবে এই কোষ বিভাজন কোনটি বহোবৃদ্ধি ঘটায় আবার কোন কোনটি জনন কোষ সৃষ্টি করে আবার কোনটি বিভাজন পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে। তাই আমরা দেখতে পাই যে সকল কোষ বিভাজন একই ধরনের কাজ করে থাকে না, এদের কাজ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে মিয়োসিস কোষ বিভাজন কি কাকে বলে এবং কিভাবে মিয়োসিস কোষ বিভাজন সংঘটিত হয়ে থাকে।

মিয়োসিস কোষ বিভাজনের একচক্রে নিউক্লিয়াস দুইবার বিভাজিত হয়ে থাকে। প্রথমবারে নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যায় অর্ধেক হয়ে যায়। মি আশিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষের যে দুইটি নিউক্লিয়াস পাওয়া যায় দ্বিতীয়বারে তার প্রতিটি আবার দুইটি কোষে বিভাজিত হয়ে থাকে। এবার অবশ্য ক্রোমোজোমের সংখ্যা এবং পরিমাণ সমান থাকে। তাই দেখা যায় যে সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ফল হলো মিয়োসিস বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ পাওয়া যায়, যেগুলোর প্রতিটি মাতৃকোষের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম ধারণ করে। তাই মিয়োসিসের আরেক নাম হল রাস মুলক বিভাজন পদ্ধতি। তবে আমরা একথা মনে করতেই পারি যে কেন এই রাসমূলক পদ্ধতি ঘটে থাকে বা কেনই বা মিয়োসিস কোষ বিভাজন হয়।

মাইটোসিস কোষ বিভাজনে অপত্য কোষ গুলোর ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের সমান থাকে। বৃদ্ধি এবং অযৌন জননের জন্য মাইটোসিস কোষ বিভাজন অপরিহার্য। যৌন জননে পং ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে যদি জনন কোষ গুলোর ক্রোমোজোম সংখ্যা দেহ কোষের সমান থেকে যায় তাহলে জাইগোট কষে ক্রোমোজোম সংখ্যা জিপটির দেহ কোষের দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এই কারণে মিয়োস করে বিভাজন প্রয়োজন। কারণ একটা জীবের দেহকোষে এবং জনন কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা চার। ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনের ফলে সৃষ্ট জাইগোটে ক্রোমোজোম সংখ্যা দাঁড়াবে আট এ।

এবং নতুন জিভটির প্রতিটি কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা হবে আট যা মাতৃজীবের কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার দ্বিগুণ হবে। যদি প্রতিটি জীবের জীবনচক্র এভাবে চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতি চক্রে যৌন জননের ফলে ক্রোমোজোম এর সংখ্যা বারবার দ্বিগুণ হতে থাকবে। যদি বারবার দ্বিগুণ হয়ে যায় তাহলে মাতৃ বৈশিষ্ট্য বা পিতৃ বৈশিষ্ট্য থাকবে না এটি অন্য কিছু হয়ে যাবে। এই কারণে মাত্রীয় এবং তৃপ্তি বৈশিষ্ট্য মাতৃবৃত্তির বৈশিষ্ট্য ঠিক রাখার জন্য অবশ্যই মিয়োসিস বিভাজনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই একথা বলা যায় যে মিয়োসিস প্রধানত জীবের জনন কোষ বা গ্যামেট সৃষ্টির সময় জনম মাতৃকোষে ঘটে থাকে।

আবার উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ সপুষ্পক উদ্ভিদের পরাগধানী এবং ডিম্বকের মধ্যে এবং উন্নত প্রাণী দেহের শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় এর মধ্যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন ঘটে থাকে। মস এবং ফাম জাতীয় উদ্ভিদের অর্থাৎ এই অপুষ্পক উদ্ভিদের ডিপ্লয়েড মাতৃকোষ থেকে যখন হ্যাপ্লয়েড রেনু উৎপন্ন হয় তখন জাইগোটে এ ধরনের বিভাজন ঘটে থাকে। তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অপুষ্পক উদ্ভিদেও মেয়া শেষ করে বিভাজন ঘটে থাকে।

তাই আমরা দেখলাম যে ৮০ বিভাজন যদিও বা রাসমূলক পদ্ধতি তারপরেও কেন এই বিভাজন আমাদের প্রয়োজন রয়েছে জীবকুলের জন্য। এতক্ষণে অবশ্যই আপনার আমিও শেষ কোষ বিভাজনের সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হলেন। কারণ আমরা আমিও শেষ করি বিভাজন সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য আমরা আপনাদের অবগত করালাম। তাহলে এখন দেখা যাক যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন: মিয়োসিস ইংরেজি- meiosis এক বিশেষ ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া, যাতে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দুবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোমের বিভাজন ঘটে মাত্র একবার, ফলে অপত্য কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *