গড় কাকে বলে ক্লাস ৬ গড় নির্ণয়ের সূত্র ক্লাস ৫

কোন উপাত্তগুলিকে অর্থাৎ অনেকগুলো উপাত্তকে আমরা একসঙ্গে যোগ করে উপাত্তের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তাকে উপাত্তের গড় মান বলা হয়ে থাকে। গড় নির্ণয় বিভিন্ন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। শ্রেণীবিন্যাসিত উপাত্তের গাণিতিক গড় সহজ পদ্ধতিতে আমরা করতে পারি। এই পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করতে হলে শ্রেণীবিন্যাস কৃত উপাত্তের গাণিতিক গড় নির্ণয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হলেই সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের ধাপসমূহ নিম্নরূপ হবে। প্রথমে শ্রেণী সমূহের মধ্যমা নির্ণয় করতে হবে। এরপর মধ্যমান সমূহ থেকে সুবিধাজনক কোন মানকে আনুমানিক গড় a ধরতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণীর মধ্যমান থেকে আনুমানিক গড় বিয়োগ করে একে শ্রেণীব্যাপ্তি দ্বারা ভাগ করে তাপ বিচ্যুতি বের করতে হবে। তারপর ধাপ বিচ্যুতিকে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর গণসংখ্যা দ্বারা গুণ করে নিতে হবে।

গুণ করা হয়ে গেলে ধাপ বিচ্যুতি গড় নির্ণয় করে এবং এর সাথে আনুমানিক গড় যোগ করে কাঙ্খিত গড় নির্ণয় করা যায় আর এই কাঙ্ক্ষিত গড় নির্ণয় টাই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নির্ণয়কৃত গড়। আমরা এখন গান নির্ণয়ের সূত্রটি দেখে নিতে পারি।
গড়=রাশির সমষ্টি ÷ রাশির সংখ্যা।
গড়=রাশির সমষ্টি/রাশির সংখ্যা।
রাশির সমষ্টি=গড় × রাশির সংখ্যা
রাশির সংখ্যা=রাশি সমষ্টি÷গড়
আয়ের গড়=মোট আয় এর পরিমাণ/মোট লোকের সংখ্যা
অথবা মোট টাকা/মোট জনসংখ্যা
সংখ্যার গড়=সংখ্যা গুলোর যোগফল/সংখ্যার পরিমাণ বা সংখ্যা।
ক্রমিক ধারার গড়=(শেষ পথ + প্রথম পদ)/২
গড় নির্ণয় করতে হলে আমাদের আরো কিছু তথ্য জানার প্রয়োজন আছে সেই তথ্য গুলি হল এখন আমরা বলছি
কেন্দ্রীয় প্রবণতা: অনুসন্ধানাধীন অবিন্যস্ত পাত্রসমূহ মানের ক্রমানুসারে সাজালে উপাত্ত্য সমূহ মাঝামাঝি যে কোন মানের কাছাকাছি পুঞ্জিভূত হয়।

আবার অবিন্যস্ত উপাত্ত্য সমূহ গণসংখ্যা নিবেশন সারণিতে উপস্থাপন করা হলে মাঝামাঝি একটি শ্রেণীতে গণসংখ্যার প্রাচুর্য দেখা যায়। অর্থাৎ মাঝামাঝি একটি শ্রেণীতে গণসংখ্যা খুব বেশি হয়। বস্তুত উপাত্ত সমূহের কেন্দ্রীয় মানের দিকে পঞ্জিভূত হওয়ার এই প্রবণতায়ই হল কেন্দ্রীয় প্রবণতা। কেন্দ্রীয় মান একটি সংখ্যা এবং এই সংখ্যা উপাত্ত সমূহের প্রতিনিধিত্ব করে। এই সংখ্যা দ্বারা কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপ করা হয়। সাধারণত কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হলো গাণিতিক গড়, মধ্যক এবং প্রচুরক।

গাণিতিক গড়: আমরা জানি উপাত্ত্য সমূহের মানের সমষ্টিকে যদি তার সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়, তবে উপাত্ত সমূহের গড় মান পাওয়া যায়। তবে উপাত্য সম্মূহের সংখ্যা যদি খুব বেশি হয় তাহলে এ পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করার সময় সাপেক্ষ, বেশ কঠিন ও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এ সকল ক্ষেত্রে উপাত্য সম্মূহ শ্রেণীবিন্যাসের মাধ্যমে সারণিবদ্ধ করে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করা হয়।

ক্রমোজিত গণসংখ্যা লেখচিত্র বা অজিবরেখা: কোন উপত্যের শ্রেণীবিন্যাসের পর শ্রেণী ব্যবধান এর উচ্চ সীমা এক্স অক্ষ বরাবর এবং শ্রেণীর ক্রমযোজিত গণসংখ্যা y অক্ষ বরাবর স্থাপন করে ক্রমোজিত গণসংখ্যার লেখচিত্র বা অজিব রেখা পাওয়া যায়। তাই বিভিন্ন পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করা গেলেও আমরা মূলত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করাই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করব কারণ এই পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করায় সবচেয়ে সহজ হয়ে থাকে। গড় নির্ণয় সম্পর্কিত সকল তথ্যই আমরা উপস্থাপন করলাম তাহলে চলুন দেখা যাক এখন গড় কাকে বলে?

গড়: এক জাতীয় বিভিন্ন রাশির সমষ্টিকে উত্তর রাশি গুলোর মোট সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে ওই রাশিগুলোর গড় বলে।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে বা শিক্ষা জীবনে যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন সকল তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা থাকে। তাই আমাদের ওয়েব সাইটটিতে ভিজিট করে আপনারা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে পারবেন অতি সহজেই। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। আবার ডাউনলোড করে নিতে কোন এক্সট্রা চার্জও প্রয়োজন হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *