ভর কাকে বলে

আমরা জানি বস্তুর মধ্যে পদার্থের পরিমাণই হচ্ছে এর ভর। ঝড় হচ্ছে একটি যুবরাসি যা ভূপৃষ্ঠ বা ভূপৃষ্ঠের ওপরে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় না। অর্থাৎ আমরা যাকে ওজন বলে মনে করি সেটি আসলে বস্তুর ভর কেই বোঝায়। অর্থাৎ 75 কেজি ভরের একজন মাসন্নচারী ভর চাঁদে কিংবা পৃথিবীর বা চাঁদের কক্ষপথে ৭৫ কেজিই থাকবে। অর্থাৎ ভরের পরিমাণ কোথাও কমবে না একই রকম থাকবে। সেই অনুযায়ী ঘর কোথাও পরিবর্তন হয় না অর্থাৎ সব জায়গায় একই রকমই থাকে। যেহেতু বস্তুর ভর একটি যুহরাশি সুতরাং বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ g এর কমবেশির কারণে বস্তুর ওজন কম বেশি হয়ে থাকে অর্থাৎ বস্তুর। আমরা ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে উঠতে থাকি বস্তুর ওজন ততই কমতে থাকে।

বস্তুর ওজন বস্তুর মৌলিক ধর্ম নয়। কোন বস্তুর ওজন থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। অর্থাৎ বস্তুর ওজন কোন সময় শূন্য হতে পারে কিন্তু ভর শূন্য হবে না। পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণ শুধু শুন্য তাই সেখানে বস্তুর ওজনের শূন্য। মহাশূন্যে কোন বস্তুর ওজন শূন্য হলে তখন বস্তুর ওপর কোন মহাকর্ষ বল কাজ করে না। আবার পৃথিবীতে কোন বস্তুর ওজন যেটা হবে চাঁদে হবে তার এক দশমিক ছয় তিন নিউটন। তাদের অভিকর্ষজ জনিত ত্বরণের মান প্রায় পৃথিবীর একের ছয় ভাগের সমান। সুতরাং ছাদে যদি এক কেজি ভরের বস্তুর ওজন হয় সেটি প্রায় ১.৬৩ নিউটন হবে। আমরা জানি পৃথিবীর পৃষ্ঠেও কোন বস্তুর ওজনের অতিসামান্য তারতম ঘটে থাকে।

তবে ওজনের এই তারতম ঘটনের একটি বিষয় হলো সেটি হল জি এর মান এর উপর নির্ভর করা। পৃথিবী সুষম গোলক নয় এবং ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র অভিকর্ষজ ত্বরণের মানো এক নয়। আর এই কারণে অবশ্য এই পার্থক্য এত ক্ষুদ্র যে কেবল সুবেদী ওজন মাপক যন্ত্রের সাহায্যে তা পরিমাপ করা যায়। অধিকাংশ হিসাব নিকাশের সময় আমরা এই পার্থক্য উপেক্ষা করে থাকি তবে কিছু কিছু সময় এই পার্থক্যকে উপেক্ষা করলে চলে না তখন এই পার্থক্য আমাদের সামনে নিয়ে আসতে হয়।

কোনো বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ পদার্থ থাকে তাকে ওই বস্তুর ভর বলে। অর্থাৎ, ভর হলো কোনো বস্তুর মোট পদার্থের পরিমাণ। সুতরাং বলা যায় যে সকল যন্ত্র দিয়ে ওজন মাপা যায় সেগুলো দিয়ে ভরও মাপা যায়। দিয়ে অনেক সময় কিলোগ্রাম এককে দাকাঙ্ক্ষিত থাকে। যেহেতু নিক্তি এবং ওজন মাপক যন্ত্র গুলো এমনভাবে দাগাঙ্কিত থাকে যে অনেক সময় আমরা ভর এবং ওজন উভয়ের ওজনে কিলোগ্রাম এককে প্রকাশ করে থাকি। তাহলে আমরা ভর সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি কথা এখানে তুলে ধরলাম তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি যে ভর কাকে বলে।
ভর: সাধারণভাবে, কোনো বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ জড় পদার্থ থাকে তাকেই বস্তুর ভর বলে।

ভার সম্পর্কে আমরা আরো কিছু নিয়ম প্রতি নিয়মগুলি দেখতে পারি। আমরা জানি ভর বস্তুর নিজস্ব ধর্ম।
ভর এটিতে থাকা মোট পরমাণু বা কণার প্রতিনিধিত্ব করে।
ভরকে “কণাতে সঞ্চিত শক্তি” হিসাবেও সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।
কোন বস্তুকে পৃথিবী বা মহাবিশ্বের যেকোনো স্থানে গেলেও এর ভরের কোন পরিবর্তন হয় না।

বস্তুর গতি, উষ্ণতা, তড়িৎ অবস্থা কোন কিছুর উপর বস্তুর ভর নির্ভর করে না। ভরের একক এস.আই পদ্ধতিতে ভরের একক হল = কিলোগ্রাম।
সি.জি.এস.পদ্ধতিতে ভরের একক হল = গ্রাম।
এফ.পি.এস পদ্ধতিতে ভরের একক হল = পাউন্ড ।

ভরের সূত্র
ভর = ঘনত্ব × আয়তন
আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য উপাত্তগুলি আমরা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সহজ সরল ভাবে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের প্রয়োজনে আপনারা এই ওয়েবসাইটটি এর প্রকাশিত তথ্য গুলি দেখে আপনার জীবনে কাজে লাগাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *