মন্দন কাকে বলে

আমরা জানি যে কোন বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সবসময় একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে তাকে ত্বরণ বা সমতরনও বলা হয়ে থাকে। তবে আজকে আমাদের এখানে দেখাতে হবে মণ্দন কি বা মণ্দন কাকে বলে। যদি কোন বস্তু কোন নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে বস্তু কণাগুলো দূরত্বে অপরিবর্তিত রেখে ওই বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরে তবে সেই বস্তুর গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে আমরা জানি। আমরা আরো জানি যে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে। আর এই কারণে সূর্য থেকে পৃথিবীর কোনাগুলোর দূরত্ব সর্বদা সমান থাকে না। তাই ঘূর্ণন গতির সঙ্গে অনুসারে পৃথিবীর বার্ষিক গতির ঘূর্ণন গতি হতে পারে না।

অতএব সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পর্যাবৃত্ত গতি হলেও এটি ঘূর্ণন গতি বলে আমরা স্বীকার করি না। অল অ্যাপ টি লব্ধ রাশি হতে পারে কারণ বল নিজে স্বাধীন বা নিরপেক্ষ হয় না এজন্য একে প্রকাশ করতে হলে ভর এবং ত্বরণের দরকার হয়। আমাদের জানি যে সব বস্তুরী ওজন রয়েছে এবং বস্তুর ওজন হচ্ছে অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর সম্পূর্ণ গোলাকার না হয় এর ব্যাসার্ধ সর্বত্র একই সমান নাও হতে পারে। মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবচেয়ে কম এবং 200 অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আর এই কারণে মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সবচেয়ে বেশি হয় এবং বিষুব অঞ্চলে ত্বরণের মান সবচেয়ে কম হয় সে আর এই কারণে বস্তুর ওজন পৃথিবীর সব জায়গায় সমান হয় না। যেহেতু বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভর করে এই কারণে এই ঘটনাটি ঘটে।

আমরা জানি যে সময়ের সাথে বেগ হ্রাসের হার ই হলো মন্দন। মন্দনকে আবার ঋনাত্মক ত্বরণও বলা হয়ে থাকে। এই কারণে আমাদের ত্বরণ সম্পর্কিত সকল ধারণা অবশ্যই বুঝে নিতে হবে। এর আগে আমরা বলেছিলাম যে সমতরন কি সেটি তবে ত্বরণ কি এটি আমাদের জানা হয়নি। ত্বরণ হলো সময়ের সাথে কোন একটি বস্তুর বেগ পরিবর্তনের হারকে বলা হয়। যদি কোন কণার গতি কালে তার বেগের মান এবং দিক অপরিবর্তিত থাকে অর্থাৎ কণা যদি নির্দিষ্ট দিকে সমান সময় সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে বস্তুর বেগকে আমরা এর আগেই বলেছিলাম যে সেটিকে সমবেদ বলা হয়ে থাকে। আবার এটি জানি যে বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। অর্থাৎ ত্বরণ হয় অসম বেগের ক্ষেত্রে। কারণ অসম বেগের ক্ষেত্রে বেগের পরিবর্তন ঘটে কিন্তু সমবেগের ক্ষেত্রে বেগের কোন পরিবর্তন ঘটে না। তাই এই ক্ষেত্রে কোনো তরল থাকে না এ কারণেই সমবেগ চলমান কণার ত্বরণ শূন্য হয়ে থাকে।

আবার যে কোন ভৌত রাশিকে বিভিন্ন সূচকের এক বা একাধিক মৌলিক রাশির গুণফল হিসেবে যখন প্রকাশ করা হয় তখন কোন ভৌত রাশিতে অবস্থিত বা উপস্থিত মৌলিক রাশি গুলোর সূচককে রাশিটির মাত্রা বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। আমরা যদি গতি সম্পন্ন কোন বস্তুর পর্যায় কালের অর্ধেক সময় কোন নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় যদি একই পথে তার বিপরীত দিকে চলে তাহলে এ ধরনের গতিকে বলা হবে স্পন্দন গতি। তাই বন্ধন এবং স্পন্দন গতির ক্ষেত্রে যদিও আমরা এক মনে করে ফেলি তারপরেও দুটি ভিন্ন জন জিনিস হয়ে থাকে। তাই আমারে এই জিনিস সম্পর্কে একটু সচেতন হয়েই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

কারণ যদি কোন গতিশীল কণা তার গতিপথের নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিকে থেকে অতিক্রম করে তবে বস্তু কণার ওই গতিকে আমরা পর্যায়ে বৃত্ত গতি বলব এবং স্পন্দন গতি সম্পন্ন কোনা এর গতিপথের কোন নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিকে থেকে অতিক্রম করে। হাতে পর্যাপ্ত গতির সঙ্গে অনুযায়ী স্পন্দন গতি এক ধরনের পর্যাবৃত্ত গতি হিসেবেই আখ্যায়িত করা যায়।তাহলে এখন আমরা দেখে নিতে পারি যে মন্দন কাকে বলে?
মন্দন: সময়ের সাথে বেগ হ্রাসের হারই হলো মন্দন বা অরিনাত্মক ত্বরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *