গণিতে দুই ধরনের গণনার রীতি হয়। একটি আমাদের দেশীয় পদ্ধতিতে সংখ্যা গঠন বা পঠন পদ্ধতি বাড়িতে আরেকটি আন্তর্জাতিক সংখ্যা পাঠান বা গণনার রীতি। তাই গণনা নিতে রীতি অনুসরণ করতে গেলে আমাদের অবশ্যই সংখ্যাকে একটির পর একটি সাজিয়ে লিখতে হয়। এবং পড়ার সময় অবশ্যই আমাদের একক দশক শতক এভাবে গণনা করে সে সংখ্যাটি যে সংখ্যা যেখানে বসবে সেটি তত উচ্চারিত হয়। অর্থাৎ ১১১ সংখ্যাটিকে আমরা পড়বো একশত ১১। এখানে সর্ব বামের ১ এর স্থানীয় মান শতক মাঝের ১ এর স্থানীয় মান দশক এবং সর্ব ডানের ১ এর স্থানীয় মান একক হিসাবে উচ্চারিত করব। তাই বলা যায় যে পাটিগণিতের দশটি প্রতীক দ্বারা সব সংখ্যায় প্রকাশ করতে পারি আমরা।
এই প্রতিকগুলো হলো এক থেকে নয় পর্যন্ত এবং সঙ্গে আছে শূন্য। এগুলো কি আমরা অংক বলতে পারি আবার এগুলো সংখ্যাও হয়। শূন্য ব্যতীত বাকি সংখ্যাগুলো স্বাভাবিক সংখ্যা হিসেবে আমরা জানি এবং এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অংক এবং শেষের শূন্যটিকে বলা হয় শুন্য বা অবজ্ঞা জ্ঞাপক সংখ্যা। কারণ শূন্য নিজে নিজে কোন কিছু হতে পারে না অর্থাৎ শূন্য শূন্যই থেকে যায় কিন্তু শূন্য যখন পূর্ণ হয় তখন এটি সংখ্যার ডানে অথবা বামে বসলে। সংখ্যা গুলোর ফাঁকিও বা নিজস্ব মান যথাক্রমে ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ এবং শুন্য পড়া হয়।
বলা যায় যে নয় অপেক্ষা বড় সব সংখ্যায় দুই বা ততোধিক অংক পাশাপাশি বসিয়ে লেখা হয়। কোন সংখ্যা অংক দ্বারা লেখাকে আমরা বলে থাকি যে অংক পাতন। যখন আমরা অংক পাতন করবো তখন এই সংখ্যাগুলোর স্থানীয় মান আগেই নির্ধারণ করা থাকে। তাই স্থানীয় মান জানা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সংখ্যাগুলি শুধু পরপর লিখলেই হবে না সংখ্যাগুলোর মান অর্থাৎ একক দশক শতক হাজার অযুত লক্ষ এভাবে আমাদের অবশ্যই জেনে রাখতে হবে। আর যদি জানি তখনি তাহলে সংখ্যা গুলি আমরা ঠিকভাবে অংক পাতনের মাধ্যমে লিখতে পারব।
তাই বলা হয় যে অংক পাতনে দশটি প্রতীকী ব্যবহার করতে হয় এবং দশ ভিত্তিক বলে সংখ্যা প্রকাশের রীতিকে দশমিক বা ১০ গুণত্ব দ্বিতীয় বলা হয়ে থাকে। দিতে কয়েকটি অংক পাশাপাশি বসিয়ে সংখ্যা লিখলে এর সর্বাপেক্ষা ডানদিকে অংকটি তার স্থানীয় স্বকীয়মান প্রকাশ করতে পারে। ডান দিক থেকে দ্বিতীয় অংকটি এর সক্রিয় মানের দশগুণ অর্থাৎ তত দশক আমরা পড়বো। আবার তৃতীয় অংকটি এর দ্বিতীয় স্থানের মানের দশ গুণ হয় বা শকীয়মানের শতগুণ অর্থাৎ তত শতক প্রকাশ করে। এভাবে কোন অংক এক স্থান করে বাম দিকে সরে গেলে তার মান উত্তরোত্তর দশগুণ করে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
আমরা লক্ষ্য করতে পারি যে কোন সংখ্যায় ব্যবহৃত অংক গুলো মান তার অবস্থানের উপর নির্ভর করবে। সংখ্যায় ব্যবহৃত কোন অংক তার অবস্থানের জন্য যে সংখ্যা প্রকাশ করে তাকে ওই অংকের স্থানীয় মান বলি। আমরা আগেই বলেছিলাম যে আমাদের দুই রীতিতে সংখ্যা গঠন করতে হয় একটি হচ্ছে দেশীয় রীতি আর একটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক রীতি। আমরা জানি যে অর্থাৎ দেশীয় রীতিতে সংখ্যার ডান দিক থেকে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান যথাক্রমে একক দশক শতক ইত্যাদি ধরে পর্ব এবং এভাবেই প্রকাশ করব। অনুরূপভাবে চতুর্থ পঞ্চম ষষ্ঠ সপ্তম ও অষ্টম স্থানকে যথাক্রমে আমরা হাজার অজুত লক্ষ নিযুত কোটি এভাবে পড়ে প্রকাশ করবো। আজকে আমাদের দেখাতে হবে বা বলতে হবে যে স্থানীয় মান কাকে বলে। সংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যই আমরা আমাদের এই লেখায় উপস্থাপন করলাম। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি স্থানীয় মান কাকে বলে?
স্থানীয় মান: সংখ্যায় ব্যবহৃত কোন অংক তার অবস্থানের জন্য যে সংখ্যায় প্রকাশ করে থাকে তাকে স্থানীয় মান বলা হয়।