সাহিত্য বলতে সাধারণত বোঝায় যে কোন লিখিত বিষয়বস্তুকে বোঝায়। সাহিত্য হলো সেই জিনিস যা সেই ভাষার জন্য সমৃদ্ধ কোন কিছু বয়ে আনে। অর্থাৎ দেশ জাতি মঙ্গলের জন্য কোন সাহিত্যিক তার লেখনী দ্বারা সাহিত্যকে বা সেই ভাষাকে সমৃদ্ধ করার যে বিভিন্ন গল্প কবিতা গান ইত্যাদি তৈরি করে তবে তাকে সেই ভাষার সাহিত্য বলে বিবেচনা করা হয়। আমাদের বাংলা সাহিত্যের উৎপত্তি প্রাচীনকালে অর্থাৎ ৬০০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আমাদের বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ এর পান্ডুলিপি পাওয়া যায় বা আবিষ্কৃত হয়। তারপরে আসে মধ্যযুগের কিছু সাহিত্য। অর্থাৎ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়।
আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন গুলির মধ্যে হল শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড় চন্ডীদাসের মহাকবি আলাওলের কিছু উপন্যাস এবং আরো কিছু সাহিত্যিকের সাহিত্য সে সময় রচিত হয়েছিল। তারপর ভর্তি সময়ে অবশ্য বাংলা সাহিত্যকে আর পিছে ঘুরে তাকাতে হয়নি। আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন সাহিত্যিক এবং তাদের দ্বারা আমাদের এই সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ লাভ করে থাকে। তাই আমাদের এই বাংলা সাহিত্য আজ এত সমৃদ্ধ হওয়ার মূলে রয়েছে বিভিন্ন সাহিত্যিকের রচনাবলী। এই সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছেন প্রাচীন যুগের বিভিন্ন চর্যাপদ রচয়িতা অর্থাৎ কান্নপা, লুইপা এ ধরনের আরো অনেক লেখক চর্যাপদের রচয়িতা ছিলেন। আর মধ্যযুগের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বৈষ্ণব পদাবলী মহাকবি আলাওলের সাহিত্যকর্ম মধ্যযুগকে সমৃদ্ধ করেছে।
অর্থাৎ গরু চন্ডীদাস আলাওল সহ মধ্যযুগীয় আরো অনেক কবি বাংলা সাহিত্যের জন্য অনেক কিছুই রচনা করেছেন। আর আধুনিক যুগের ঘোড়ার ধিক্কার কথা তো বাংলা সাহিত্যের জন্য একটি স্বর্ণযুগ হয়ে রয়েছে। অর্থাৎ সেই সময় বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্প উপন্যাস কবিতা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গান সব কিছুই রচিত হয়েছে এই স্বর্ণযুগের। বাংলা সাহিত্যের জন্য এই সময়টা সত্যিই স্বর্ণযুগ রূপেই ছিল কারণ এই সময়টা সবচেয়ে বেশি সাহিত্য রচনা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের জন্য। এবং অনেক নামিদামি লেখক কবিতার জন্ম হয়েছিল এই সময়টায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলাম বিহারীলাল চক্রবর্তী দীনবন্ধু মিত্র মীর মশাররফ হোসেন সহ অনেক নামিদামি কবি লেখক এ যুগে অনেক সমৃদ্ধ করে গেছে তাদের কলম দ্বারা তাদের লেখনি দ্বারা। তাই কোন দেশের সাহিত্য আসলে সেই দেশের শিল্প সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
কারণ সাহিত্য শিল্পেরই একটা অংশ। এমন কোন লেখনি যেখানে শিল্পের বা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় তাই শিল্প হয়ে ওঠে আমাদের এই পরিবেশে। বিভিন্ন কোভিদ লেখক তাদের ইন্দ্রিয় ধারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা এবং অনুভূতি নিয়ে শিল্পের সৌন্দর্য সাহিত্য দ্বারা বর্জিত করে চলে সেই জাতি দেশ রাষ্ট্রের সময়ের। আর সেই কারণেই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী লেখক কবি সাহিত্যিকরা বিভিন্ন কল্পকাহিনী বা বাস্তব কাহিনী বা গদ্যপদ্য এই ধরনের বিভিন্ন লেখনি দ্বারা সমৃদ্ধ করে চলেছে সেই জাতি রাষ্ট্রকে। বাংলা সাহিত্য কে গদ্য পদ্ম নাটক ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। এবং বিভিন্ন শাখায় বিভিন্ন ধরনের সাহিত্যকে আলাদা আলাদা ভাবে করা হয়েছে। পদ্য হল সাহিত্যিক দ্বারা ধারার একটি রূপ যা কোন অর্থ বা ভাব প্রকাশের জন্য গদ্য ছন্দে রচনা করা হয়ে থাকে।
যেহেতু পদ্য একটি ছন্দবদ্ধ ভাবে রচনা করতে হয় সেজন্য গদ্য পদ্য থেকে আলাদা হয়ে থাকে। আমরা বাংলা সাহিত্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করলাম এবং বাংলা সাহিত্য কি কবে জন্ম হয়েছে বাংলা সাহিত্যের এ সকল কিছু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরলাম আপনাদের অবগতির জন্য। তাই আমাদের এই নিবন্ধের মধ্যে এতক্ষণ সাহিত্য কি এটি অবশ্যই এসে গেছে। তারপরেও আমরা দেখতে পারি চলুন বাংলা সাহিত্য কাকে বলে বা সাহিত্য কাকে বলে?
সাহিত্য: সাহিত্য একটি বিশাল পরিধির বিষয়। অল্প কথায় সাহিত্য সম্পর্কে বোঝাতে আসলে অনেক কষ্ট হবে। তাই সাহিত্যকে একটি ফুলের বাগানের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তাই আমরা সাহিত্য বলতে সোজা কথায় বলতে পারি যে আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব জীবনের যে অনুভূতি পাই, তাই সাহিত্য।