সকল প্রাণীর ই একটা ভাষা রয়েছে যে ভাষা দ্বারা তারা তাদের কাজকর্মকে বুঝিয়ে থাকে। তবে সৃষ্টি জগতের প্রাণীদের মধ্যে মানুষের তাদের ভাষা কথার মাধ্যমে ইশারার মাধ্যমে সকলকে ভাল ভাবে বোঝাতে সচেষ্ট হয়েছে। সকল মানুষের ভাষায় বাকযন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট। তবুও একই ধনী বা ধনী সমষ্টির অর্থ বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ও হতে পারে। এই কারণে বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর জন্য আলাদা আলাদা ভাষার ও সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীতে। এক এক অঞ্চলের মানুষের একেক রকমের ভাষা। আলাদা আলাদা গোষ্ঠীর মধ্যে আলাদা আলাদা ভাষা পরিলক্ষিত হয়। বেশ কাল ও পরিবেশ ভেদে ভাষার পার্থক্য এবং পরিবর্তন ঘটে থাকে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বস্তুভাবে জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্যে শব্দের সৃষ্টি করেছে। সেসব শব্দ মূলত নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র।
এজন্যই আমরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার দেখতে পাই। সে ভাষাও আবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়ে এসেছে। ফলে এ শতকে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করে হাজার বছর আগেকার মানুষের ভাষা ঠিক এমনটি ছিল না। বর্তমান পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভাষা প্রচলিত আছে বলে জানা যায়। তার মধ্যে বাংলা একটি ভাষা যা আমাদের মাতৃভাষা নামেই পরিচিত। ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা ভাষা ও পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা। বাংলাদেশের অধিবাসীদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণ এবং ত্রিপুরা বিহার উড়িষ্যা ও আসামের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের ভাষাও বাংলা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা ভাষা।
আমাদের বাংলা ভাষায় ভাষার তিনটি রূপ প্রচলিত আছে এই তিনটি রূপ হল তথ্য, চলিত ও সাধু রীতি। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের জনগণ নিজ নিজ অঞ্চলের ভাষায় কথা বলে। এগুলো আঞ্চলিক তথ্যভাষা বা উপভাষা। পৃথিবীর সব ভাষায়ই উপভাষা আছে। এক অঞ্চলের জনগণের মুখের ভাষা সঙ্গে অপর অঞ্চলে জনগণের মুখের ভাষা যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ফলে এমন হয় যে এক অঞ্চলের ভাষা অন্য অঞ্চলের লোকের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। তাহলে চলুন দেখা যাক এখন আমরা ভাষা কাকে বলে সেটি দেখি।
ভাষা: মানুষের কন্ঠ মিশ্রিত বাক সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ বাক যন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট অর্থবোধক ধোনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের ভাবপ্রকাশ এর মাধ্যমেই হল ভাষা।
মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য কন্ঠ ধ্বনি এবং হাত পা চোখ ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে ইঙ্গিত করে থাকে। কন্ঠ ধ্বনির সাহায্যে মানুষ যত বেশি পরিমাণ মনোভাব প্রকাশ করতে পারে, হিন্দিতে সাহায্যে ততটা পারে না। আর কন্ঠ ধ্বনির সহায়তায় মানুষ মনের সুখ্যাতিসূক্ষ্ম ভাব প্রকাশ করতে সমর্থ্য হয়। কন্ঠ ধ্বনি বলতে মুখোম গহব্বর কণ্ঠ নাক ইত্যাদি সাহায্যে উচ্চারিত বোধগম্য ধ্বনি বা ধনী সমষ্টিকে বোঝায়। এই ধনী ভাষার মূল উপাদান। এই ধরণের সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধোনির সৃষ্টি হয় বাক যন্ত্রের দ্বারা। গলন আলী মুখবিবর কন্ঠ জিহ্বা তালু দাঁত নাক ইত্যাদি বাদ প্রত্যঙ্গ কে এক কথায় বলে বাগযন্ত্র। এই বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলা হয়ে থাকে।
কোন দেশের শিক্ষিত ও পন্ডিত সমাজ একটি আদর্শ ভাষা ব্যবহার করেন। বাংলাভাষী শিক্ষিত জনগণ এ আদর্শ ভাষাতে পারস্পরিক আলাপ আলোচনা ও ভাবের আদান-প্রদান করে থাকেন। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন।
আমাদের ওয়েবসাইট টিকে শিক্ষা সংস্কৃতি স্বাস্থ্য চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য উপস্থাপন করা থাকে। তাই আপনাদের যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন সকল তথ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিতে এসে ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন।