সাধারণ অর্থে আমরা যখন কাউকে বা ব্যাংকে কোন টাকা রাখলে টাকার বিনিময়ে বা টাকা রাখার বিনিময়ে কিছু অর্থ প্রতি মাসে অথবা প্রতিবছর প্রদান করা হয় তাকেই সুদ বলা হয় বা এই অর্থটি সুদ বলে বিবেচিত। এবং ব্যক্তিগত লাভ অর্থাৎ ব্যবসায়ী যে লাভ অর্থাৎ নিজের যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকে শুধু অর্থ থাকে সেই অর্থ যারা ব্যবসা করে তাদেরকে দিলে তারা প্রতি মাসে কিছু পরিমাণ টাকা বা অর্থ সেই অর্থের বিনিময়ে দিয়ে থাকে এটা কেউ সুদ বলা হয়। তবে অর্থনীতির পরিভাষায় সুদ হল অথবা সম্পদ ধার নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রদান করা ভাড়াকে সুদ বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে অনেক ঋণদাতা সংস্থান অর্থাৎ বিভিন্ন এনজিও কোম্পানিগুলো আমাদের মাঝে তারা বিভিন্ন পরিমাণের অর্থ ব্যবসা করার নিমিত্তে দিয়ে থাকেন। তাদের ব্যবসা করার পর এই অর্থ প্রতি সপ্তাহে অথবা মাসিক ভাবে একটি চিশতী আকারে বা প্রিমিয়াম আকারে পরিশোধ করতে হয়।
অর্থনীতিতে সুদ কাকে বলে
তবে তাদেরকে শুধু তাদের থেকে নেওয়া ঋণের টাকাই পরিশোধ করতে হয় না। এর সঙ্গে কিছু বাড়তি টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর এই বাড়তি টাকাই আসলে সুদ নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ঋণ প্রদানের সুদের হার নির্ধারণ করে থাকেন। এবং সেই হিসাবে সকলকে সুদের হার অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। মূলত যে পরিমাণ অর্থ নিবে তার ওপর সুদের হার অনুযায়ী তাকে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে আমরা যে পরিমাণ অর্থ ধার নিয়েছি বা দিয়েছি সেটিকে বলা হচ্ছে মূল অংশ এবং অতিরিক্ত যে অর্থ আমরা দান করছি অথবা নিচ্ছি সেটি হচ্ছে সুদ। তাই একজনার অর্থ রয়েছে আর একজন আর যদি মেধা এবং জনবল কাঠামো থেকে থাকে তাহলে তার এই অর্থ এবং অন্যজনের মেধা কাজে লাগিয়ে অনেক উন্নয়নশীল কাজ করা হয়ে থাকে। কিন্তু যিনি অর্থদাতা এই অর্থ দাতাকে অবশ্যই কিছু মুনাফা বা সুদ প্রদান করতে হয়।
এতে উভয়ে লাভবান হয়ে থাকে। কারণ তার টাকাগুলো অলস পড়ে থাকবে এবং অন্যজনার মেধাও কোন কাজে লাগানো যাবে না এজন্য দুজনার একজনের মেধা অন্যজনের অর্থ দুই জিনিস একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে দেশে অনেক উন্নয়নশীল কর্মকাণ্ড হতে পারে। তাই এই ধরনের উন্নয়নশীল কর্মকাণ্ডে অবশ্যই অংশ নেওয়া উচিত। আবার একজন ব্যক্তি যখন কর্মক্ষম হয়ে পড়ে তখন তার সারা জীবনের সঞ্চয়কৃত টাকা কোন ব্যাংক অথবা আমাদের ডাক বিভাগে রেখে দিলে তাকে কিছু পরিমাণ অর্থ প্রতি মাস অথবা তিন মাস অন্তর অন্তর প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি এই অর্থ দিয়ে তার যাবতীয় প্রয়োজনাদি মিটিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু যদি তার সেই অর্থ অল স থেকে রাখে অথবা তার সেই পাওয়া টাকা দিয়েই থাকিস ওষুধপত্র বা অন্যান্য জীবনে চলার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খরচ করে থাকে তাহলে সেই অর্থ তার ফুরিয়ে যাবে এক সময়।
তাই এক্ষেত্রে দেখা যায় যে সবার জন্যই এই মুনাফা মাসুদ বিষয়টি এদিক থেকে বিবেচনা করলে কোন ধরনের খারাপ ইফেক্ট পড়ার কথা নয়। কারণ বাঁচতে হলে অর্থের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। এই অর্থ কেউ কাউকে এমনি এমনি দিয়ে থাকে না এজন্য তাকে কিছু করতে হয়। হয় পরিশ্রম করতে হবে নইলে অর্থ দিয়ে সে কাজটা করতে হবে। এবং আমরা যদি বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্যান্য কাজ করে থাকি সেখানেও আমরা ব্যাংক অথবা ইন্ডিয়ান সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে থাকি। সেটির ক্ষেত্রে একই কথা হতে পারে যে অর্থ কেউ এমনি এমনি দিবে না। তাই এখান থেকে আমরা সুদের বিনিময়ে টাকা ঋণ নিতে পারি। আর এই অতিরিক্ত টাকাই হল শুধু বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাহলে আমরা অনেক কথার পর এখন দেখতে পারি যে সুদ কাকে বলে?
সুদ: অর্থনীতির পরিভাষায় সুদ হলো অর্থ বা সম্পদ ধার নেয়ার জন্য প্রদান করা “ভাড়া”। ঋণদাতা ঋণপ্রদানের জন্য এই সুদ ধার্য করে থাকে।