বল কাকে বলে

পদার্থবিজ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের বল হয়ে থাকে এগুলি হল – ঘর্ষণ বল, স্পর্শ বল, টানা বল, ধর্ষণের ফলে সৃষ্ট বল ইত্যাদি। বল সবসময়ই প্রয়োগ করা বলের বিপরীত দিকে কাজ করে। সেজন্য বল স্বাভাবিকভাবেই গতিকে কমিয়ে দেয় এবং আমাদের ধারণা হতে পারে আমরা সর্বক্ষেত্রে বুঝি গতি কমানোর জন্য বল প্রয়োগ করতে হয় কিন্তু সেটি সত্যি নয়। কোন বল প্রয়োগ না করলে কি হয় সেটি আমরা জানতে পেরেছি নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে। বল প্রয়োগ করলে কি হয় সেটা আমরা জেনেছি নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে। যখন একটি বস্তু অন্য বস্তুর ওপর গল্প করে তখন বস্তু দুইটি মাঝে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হয় সেটি আমরা এখন জেনে নিব নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে।

নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি হল, যখন একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর উপর পল প্রয়োগ করে তখন সেই বস্তুটিও প্রথম বস্তুটির উপর বিপরীত দিকে সমান বল প্রয়োগ করে। অথবা প্রত্যেকটি ক্রিয়ার একটা সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। আমরা বল কি সেটা জানি যে যেটা ত্বরণের জন্ম দেয় তাকেই বল বলে।

পদার্থ বিজ্ঞানের একটি চমকপ্রদক বল হচ্ছে মহাকর্ষ বল। ভর আছে সে রকম যে কোন বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল দিয়ে আকর্ষণ করে। এখানে মনে রাখতে হবে নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রটি শুধু রেখে গতির জন্য সত্যি নয় এটি যে কোন গতির জন্যই সত্যি। আমরা মাধ্যাকর্ষণ বল সম্পর্কে জেনেছি, নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র ব্যবহার করে মহাকর্ষ বলের কারণে সূর্যকে ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহদের গতি ও ব্যাখ্যা করতে পারা যায়। তবে আমরা এই বইয়ের নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রটি শুধু রৈখিক গতির মাঝে সীমাবদ্ধ রাখবো। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য ও উপাত্ত গুলি প্রকাশ করে থাকি। প্রাথমিক শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চশ্রেণী পর্যন্ত সকল শ্রেণীর সকল বিষয়ের সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা থাকে। তাই আপনাদের প্রয়োজনের জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবেন আমাদের এখান থেকে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলিও ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।

আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। একটি বস্তুর ওপর যদি বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র ব্যবহার করে খুব সহজে তার ত্বরণ বের করা যায়। তাহলে আমরা বলতে পারি যে বল এমন একটি বাহ্যিক অবস্থা যার প্রভাবে বস্তুটি স্থান পরিবর্তন করে। অর্থাৎ স্থির বস্তু গতিশীল হয় এবং গতিশীল বস্তু স্থির হয়। এই বোনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বৈশিষ্ট্য গুলি হল- কোন স্থির বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বল সেই বস্তুকে গতিশীল করতে পারে। আবার বল সব সময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে অর্থাৎ দুইটি বস্তুর মধ্যে যদি স্পর্শ না হয় তাহলে বল ক্রিয়া করে না। কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে আবার বস্তুটি বিকৃতি হতে পারে অথবা পরিবর্তন হতে পারে এর বেগ হ্রাস অথবা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি কোন গতিশীল বস্তুর ওপর বেগ তথা গতি যেদিকে থাকে বল প্রযুক্ত করা হলে সেই গতি তথা বল পরিবর্তন হয়ে যায়। বল মৌলিক হয় না।

তাহলে এখন দেখা যাক বল কাকে বলে বা বলের সংজ্ঞা কি?
বল: যে বাহ্যিক কারণের জন্য কোন স্থিতিশীল বস্তু গতিশীল হয় এবং তার অবস্থার পরিবর্তন হয়, তখন সেই বাহ্যিক কারণ কে বল বলা হয়ে থাকে।
বলের একক: বলের এফ.পি.এস একক পাউন্ডাল এবং
এস.আই পদ্ধতিতে বলের একক নিউটন।
বলের মাত্রা: F] =[MLT-2]
বলকে সাধারণত F দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
m ভরের কোনো বস্তুর উপর F বল প্রয়োগ করা হলে ত্বরণ a সৃষ্টি হয়,
F = ma
অর্থাৎ ত্বরণ এবং ভরের গুণফল দ্বারা বল পরিমাপ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *