আমরা জানি দূরত্ব শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি অবশ্যই পরিচিত আছি। কারণ যে কোন সময় আমাদের যে কোন দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। সারাদিনের কাজকর্মে আমরা বিভিন্ন ধরনের দূরত্ব অতিক্রম করে থাকি। এসব দূরত্ব কখনো হাঁটার পথের আবার কখনো সাইকেলের পথে কখনো রিক্সার পথে এবং ট্রেন প্ল্যান ইত্যাদি বিভিন্ন জন্ম অঞ্চলে আমরা বিভিন্ন ধরনের দূরত্ব অতিক্রম করে থাকি। যদি কম ধরতো অতিক্রম করতে হয় তাহলে আমরা পায়ে হেঁটে যাই আবার যদি বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় তাহলে আমরা সাইকেলে রিকশায় যেতে পারি এর চাইতেও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হলে আমরা একটু বেশি দ্রুতযান অর্থাৎ বাসে করে মাইক্রো কার ইত্যাদিতে যেয়ে থাকি সবসময়। আবার আমরা যদি এর চেয়েও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে চাই তাহলে ট্রেনে বা প্লেনেও যেয়ে থাকি।
এক দেশ থেকে আরেক দেশের দূরত্ব অথবা দেশের মধ্যেও যদি বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে আমরা প্লেনে অথবা ট্রেনে যেয়ে থাকি। দ্রুতির সাথে বেগের সাথে আমাদের দূরত্বর একটি সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই কারণে আমরা দূরত্ব সম্পর্কে এত ধরনের কথা বলে ফেললাম। যেহেতু দ্রুতি বের করতে হলে আমাদের দূরত্ব জানতে হয় এবং বেগের সাথে দ্রুত এর একটি সম্পর্ক রয়েছে। বেগ সম্পর্কে আমরা এর আগেও বলেছি যে আমরা যখন কোন দূরত্ব অতিক্রম করি সেটি সেই দূরত্বকে সময় দিয়ে ভাগ করলেই দূরত্বটা পেয়ে যাব। তাই দূরত্বের সঙ্গে বা দূরত্ব অতিক্রম করতে হলে কত বেগে দূরত্ব অতিক্রম করা হয় সেই হিসাবটি আমাদের অনেক সময় রাখতে হয়।
কারণ সময় মেনটেন করেই আমাদের সবসময় চলতে হয়। তাই সময়ের সাথে বেগ হয়ে থাকে। দেখ বলতে বোঝানো হয় আমরা সবাই সেটা মোটামুটি জানি। কোন কিছু কত দ্রুত যাচ্ছে তার পরিমাণ টাই হচ্ছে বেগ। পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় বেগের একটা সুনির্দিষ্ট অর্থ আছে এবং বেগের পাশাপাশি আমরা দ্রুতি নামে আরো একটা রাশি ব্যবহার করে থাকি। আজ আমাদের দেখাতে হবে দ্রুতি কাকে বলে। দ্রুতি শব্দটার সঙ্গে আমরা আজকে পরিচিত হবো এবং দ্রুতি কি সে জিনিসটাও আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আমরা যদি দূরত্ব এবং সরল এ বিষয়ে দুটি ভালোভাবে বুঝে থাকি তাহলে দ্রুতি এবং বেগ এই রাশি দুটিও খুব সহজেই বুঝে যেতে পারবো বলে আশা রাখি।
তাই আমরা এতক্ষণ বেগ এবং দূরত্ব সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এ ধারণা গুলি আপনারা যদি পেয়ে থাকেন তাহলে দ্রুতি কিসের সম্পর্কে জানতে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে। তাই আপনাদের মনে রাখতে হবে যে বেগ কাকে বলে সে জিনিসটির উপর। এতক্ষণে আমরা বেগ সম্পর্কিত ধারণা গুলি পেলাম। তাই দূরত্ব বেগ এবং সরল যদি সব বিষয়গুলি আমাদের মনের মধ্যে থাকে বা আমরা যদি বুঝতে পারি তাহলে দ্রুতি সম্পর্কেও যে জানব এতক্ষণ তা আমরা খোলাসা করে দেব। আমরা যদি দূরত্ব এবং সরণ এ বিষয়ে দুটি বুঝে থাকি তাহলে এখন আমরা দ্রুতির কথা বলতে পারি। দ্রুতি হচ্ছে সময়ের সাথে দূরত্বের পরিবর্তনের হার।
অর্থাৎ এখানে কতখানি দূরত্ব কত সময়ে আমরা যেতে পারবো সেই আহার কেউ দ্রুতি বোঝানো হয়। অর্থাৎ যদি বলা হয় যে 20 সেকেন্ড 100 মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে থাকো তাহলে সেই ক্ষেত্রে তোমার দ্রুতি v হবে। তাহলে আমরা এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে আমরা যদি শুধু রৈখিক গতি বিবেচনা করি তাহলে বেকার দ্রুতির মাঝে কোন পার্থক্য থাকবে না তবে বেগের মানটাই হচ্ছে দ্রুতি। তাহলে আমরা এতক্ষণে বেগ এবং দ্রুতি ও স্বরণ ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক তথ্যই আপনাদের তুলে ধরলাম। এখন আমরা দেখতে পারি যে জ্যোতি কি বা কাকে বলে? চলুন তাহলে দেখা যাক দ্রতি কাকে বলে।
দ্রুতি: দ্রুতি হচ্ছে সময়ের সাথে দূরত্বের পরিবর্তনের হার। আবার অন্য দিক থেকে বলা যায় যে বেগ আর দুতির মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বেগের মানকে দ্রুতি বলা হয়ে থাকে।
