তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে

রসায়ন বিজ্ঞানে তিনটি মূল ইলেকট্রন রয়েছে এগুলোকে বলা হয় নিউট্রন প্রোটন ও ইলেকট্রন। কোন পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউটন ও প্রোটন। আর ইলেকট্রোলাইটগুলি কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে থাকে। গ্যাসীয় অবস্থায় কোন মৌলের এক মোল গ্যাসীয় অনুতে এক মোল ইলেকট্রন প্রবেশ করিয়ে ১ মোল ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে শক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বলে থাকে। ইলেকট্রন আসক্তি একটি পর্যাবৃত্ত ধর্ম হিসেবে রসায়নে ধরা হয়ে থাকে। একই পর্যায়ের বামের মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশি এবং ডানের মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম হয়ে থাকে।

পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমলে ইলেকট্রন আসক্তির মান বাড়ে এবং পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বাড়লে ইলেকট্রন আসক্তির মান কমে। আবার গ্যাসের অবস্থায় কোন মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে এক মূল ধনাত্মক পরিণত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে ঐ মৌলের আয়নিক শক্তি বলে থাকে। আয়নিক শক্তি একটি পর্যাবৃত্ত ধর্ম বলে জানা থাকে। একই পর্যায়ের বামের মৌলের আণবিক ব্যাসার্ধ বেশি এবং দানের মৌলের পরমাণুবিক ব্যাসার্ধ কম। পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমলে আয়নিক শক্তির মান বাড়ে এবং পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বাড়লে আইনের শক্তির মান কমে যায়।

এ পর্যায়ে আমাদের আজকে দেখাতে হবে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকি। তাই আপনাদের যেকোনো শ্রেণীর যে কোন প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারেন বলে আমরা আশা রাখি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থ খরচ হবে না অর্থাৎ চার্জ প্রযোজ্য হবে না। আমরা এটা জানি যে দুইটি পরমাণু যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অণুতে পরিণত হয় তখন অনুর পরামান্য গুলো বন্ধনের ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে থাকে।

এই আকর্ষণকে রসানের ভাষায় তড়িৎ ঋণাত্মক বলা হয়। তড়িৎ ঋণাত্মকতা একটি পর্যাবৃত্ত ধর্ম বলেই আমাদের জানা। একই পর্যায়ের বামের মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশি এবং ডানের মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম এই কারণে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমলে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মানও বাড়ে এবং পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বাড়লে আবার তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কমে যায়। এ পর্যায়ে তাহলে একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে যেমন: তিন পর্যায়ের মৌল গুলোর মাঝে সোডিয়াম পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান সবচেয়ে কম এবং ক্লোরিন এর দরিদ্র ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি।সাধারণত কোন মৌলের পরমাণুর আকার ছোট হলে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান বেশি হয় কোন মৌলের পরমাণুর আকার বড় হলে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মানও কম হয়।

আমাদের আজকে দেখাতে হবে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে। আমরা পরমাণুর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে এতক্ষণ আলোচনা করলাম। এখন তাহলে আমরা দেখতে পারি তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা: যদি দুইটি পরমাণু যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি অণুতে পরিণত হয় তখন ও নুর পরমাণু গুলো একটি বন্ধনের ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ কেই তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয়।
কোন ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে কোন মৌল কত নম্বর পর্যায় এবং কত নম্বর গ্রুপে অবস্থান করে তা আমরা বের করতে পারি। আবার যে সকল মৌলের বাইরের প্রধান শক্তিস্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস একই রকম সে সকল মূল্য একই গ্রুপে অবস্থান করে। অপরদিকে যে সকল মূলের বাইরের প্রধান শক্তি স্থানের ইলেকট্রন বিন্যাস ভিন্ন রকম সেই সকল মৌল ভিন্ন গ্রুপে অবস্থান করে বা করতে পারে।

হাইড্রোজেন একটি অধাতু। কিন্তু পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনকে তীব্র তড়িৎ ধনাত্মক ক্ষার ধাতু এর সাথে গ্রুপ একই স্থান দেওয়া হয়েছে। এর কারণ খাদ্যাতুর মত হাইড্রোজেনের বাইরে প্রধান শক্তিস্থলে একটি মাত্র ইলেকট্রন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *