ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে

আমরা জানি রাসায়নিক পদার্থ গুলি বিভিন্ন অনুকরমানু মিলে গঠিত হয়। যদি মৌলিক পদার্থ হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র ওই পদার্থের মৌল গুলি নিয়েই গঠিত হয় আর যদি যৌগিক পদার্থ হয়ে থাকে তাহলে একাধিক মৌলিক পদার্থের পরমাণু মিলে ওই পদার্থের একটি অনু গঠন হয়ে থাকে। এই পদার্থ গুলির গঠনের একটি নিয়ম তো অবশ্যই রয়েছে। এই নিয়মগুলি আমরা সেই মৌলের ইলেকট্রন বিশ্লেষণ করলেই পাওয়া যায় মৌলটি ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কে ধারনা। আমরা কোন একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে সহজেই মৌলটি পর্যায় সারণির কোন গ্রুপ বা কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটিও বের করতে পারি। তাই আমরা বিভিন্নভাবে দেখে নিতে পারব যে কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস কেমন হলে সেটি কোন পর্যায়ে বা গ্রুপে বসতে পারে পর্যায় সারণিতে।

যদি কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সবচেয়ে বাইরে প্রধান শক্তি স্তরের নম্বরই ওই মৌলের পর্যায়ে নম্বর হয়। অর্থাৎ লিথিয়াম এর ইলেকট্রন বিন্যাস যদি আমরা দেখি তাহলে দেখব যে- লিথিয়ামের ইলেকট্রন সংখ্যা হল তিন। এই তিনটি ইলেকট্রন প্রথম উপশক্তি স্তরে দুইটা ইলেকট্রন এবং দ্বিতীয় উপশক্তি স্তরে একটি ইলেকট্রন থাকবে। যেহেতু লিথিয়াম এর ইলেকট্রন বিন্যাসের সবচেয়ে বাইরের শক্তি স্তরে দুই তাই লিথিয়াম ২ নম্বর পর্যায়ের মূল্য এটাও বলা যায় এই পর্যায়ে সারণির নিয়ম অনুযায়ী লিখিয়াম এর পর্যায় নম্বর বের করা যায় এভাবে। অর্থাৎ গ্রুপ নম্বর বের করার নিয়ম আবার আমরা দেখাতে পারি যে কোন মৌলের গ্রুপ নম্বর বের করার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে হল কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের বাইরে প্রধান শক্তি স্তরে যদি শুধু এস আর বিকাল থাকে তবে ওই এস আর বিকাল এর মোট ইলেকট্রন সংখ্যায় হল ওই মৌলের গ্রুপ নম্বর।

এরপর নিয়ম ২ হিসেবে বলা যায় যে কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের বাহিরের প্রধান শক্তি স্তরে যদি শুধু এস এবং পি অরবিটাল থাকে তবে ওই এসওপি অরবিটাল এর মোট ইলেকট্রন সংখ্যার সাথে ১০ যোগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় সেই সংখ্যায় ওই মৌলের গ্রুপ নম্বর হয়ে থাকে। নিয়ম ৩ হিসেবে বলা যায় যে কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তি স্তরে যদি এর সারবিটাল থাকে এবং আগের প্রধান শক্তি স্তরে যদি ডিয়ার বিকাল থাকে তবে এস আর বিকাল এবং ইলেকট্রন সংখ্যা যোগ করলে গ্রুপ নম্বর পাওয়া যায় । এভাবে আমরা ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে মৌলের গ্রুপ নম্বর জেনে ফেলতে পারি। আবার একথা বলা যায় যে ইলেকট্রন বিন্যাসী পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি। ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে কোন মৌল কত নম্বর পর্যায়ে এবং কত নম্বর গ্রুপে অবস্থান করে তাও বের করা যেতে পারে মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস দিয়েই।

আবার যে সকল মৌলের বাইরের প্রধান শক্ত স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস একই রকম সেই সকল মৌল একই গ্রুপে অবস্থান করে এটাও জানা যায় এই ইলেকট্রন বিন্যাস থেকেই। আবার আমরা এটা জানি যে সকল মৌলের বাইরে প্রধান শক্তি স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস ভিন্ন রকম সেই সকল মৌল ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে অবস্থান করে। তাই আমরা একথা বলতে পারি যে ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় এবং মৌলসমূহের অনেক ধর্ম ব্যাখ্যা করা যায়। আর এসব কারণে ইলেকট্রন বিন্যাস কি পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন হয় অথবা যেকোন প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা ভিজিট করে সেখান থেকে দেখে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরটি। আমরা এতক্ষণ যেহেতু ইলেকট্রন বিন্যাসের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা সহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হলো। তাহলে আমরা এখন দেখে নিতে পারি ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে?

ইলেকট্রন বিন্যাস: আণবিক পদার্থ বিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম রসায়ন অনুযায়ী ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে কোন অণু, পরমাণু বা অন্য কোন বস্তুতে ইলেকট্রনের সজ্জা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *