কর্মদক্ষতা কাকে বলে

পৃথিবীর সকল মানুষের কোনো না কোনো কর্ম করে। এবং যে ধরনের কর্ম করে অবশ্যই তার সেই কর্মদক্ষতা থাকার কারণেই সে ধরনের কর্ম করে থাকে। এরকমভাবে কোন যন্ত্র কোন না কোন কাজ করে। যন্ত্র আবিষ্কার করার পূর্বে যেমন মানুষ কাজ করতো। এবং মানুষের কাজকে সহজ করার জন্য মানুষ একের পর এক যন্ত্র আবিষ্কার করে যাচ্ছে। এবং সে যন্ত্র গুলো মানুষের কাজকে অবশ্যই সহজ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ মানুষ যত তাড়াতাড়ি কাজ করে তার চাইতে অনেক গুণ বেশি কাজ করে কোন যন্ত্র। এবং যন্ত্রের কর্ম দক্ষতার উপর কাজের পরিমাণ নির্ভর করে। অর্থাৎ আমরা যদি বাস্তবের দিকে দেখি তাহলে সাইকেলের গতি রিক্সার গতি মোটরসাইকেলের গতি বাসের গতি ট্রেনের গতি প্লেনের গতি অবশ্যই এক নয়। একই সময় যাত্রা শুরু করলেও আলাদা আলাদা যন্ত্র আলাদা সময়ে বা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের দূরত্ব অতিক্রম করে।

অর্থাৎ এক ঘন্টায় সাইকেল যতটুকুন যাবে তার অনেক গুণ বেশি যাবে মোটরসাইকেল। দুইটি যন্ত্র তবে মোটরসাইকেলের কর্মদক্ষতা বেশি হওয়ার কারণে মোটরসাইকেল তাড়াতাড়ি যাবে অর্থাৎ অল্প সময়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে। এই অল্প সময়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার কারণ হলো মোটরসাইকেলের বা ওই যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বেশি। তাই বলা যায় যে কোন যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্যকর শক্তি এবং যন্ত্র প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে আমরা ওই যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলতে পারি। কর্মদক্ষতা নির্ণয়ের সূত্র রয়েছে। সেই সূত্র অনুযায়ী কর্মদক্ষতা নির্ণয় করা যায়। অর্থাৎ আমরা যদি কোন যন্ত্রের লভ্য কার্যকর শক্তিকে ও মোট প্রদত্ত শক্তির অনুপাতকে ওই যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বলে থাকি। এবং কর্ম দক্ষতাকে সাধারণত ইটা ( η) দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে তাহলে বলা যায় যে-

কর্মদক্ষতা η = লভ্য কার্যকর শক্তি÷মোট প্রদত্ত শক্তি

বা, লভ্য কার্যকর শক্তি = কর্মদক্ষতা×মোট প্রদত্ত শক্তি।

অর্থাৎ কোন যন্ত্রের কর্মদক্ষতা যত বেশি এর লভ্য কার্যকর শক্তিও তত বেশি হবে। তবে সেক্ষেত্রে শক্তির অপচয় কম হতে পারে। তাই বলা যেতে পারে যে লভ্য কার্যকর শক্তি কর্মদক্ষতার ওপর অবশ্যই নির্ভর করবে। কর্মদক্ষতা একই জাতীয় দুইটি রাশির অনুপাত হওয়ার কারণে কর্মদক্ষতার কোন একক হয় না। আবার কোন যন্ত্রের ৯০% কর্ম দক্ষতা বলতে আমরা বুঝাতে পারি যে ওই যন্ত্রের 100 একক শক্তি সরবরাহ করলে ৯০ একক কার্যকর শক্তি আমরা পেতে পারি বা পাওয়া যায় তাই ওই যন্ত্রের ৯০% শক্তি বোঝায়।

তবে এই ক্ষেত্রে ১০% শক্তি অপচয় হয়। আবার বাস্তব ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা কখনোই কোন যন্ত্রের 100% হতে পারেনা। এবং কর্মদক্ষতা ১০০% এর বেশিও হতে পারে না। এর কারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি কিছু পারসেন্ট শক্তি বা কর্মদক্ষতা অবশ্যই যন্ত্রের অপচয় হয়। এই অপচয় হওয়ার কারণে কর্মদক্ষতা কখনো ১০০ পার্সেন্ট বা ১০০% এর বেশি হয় না। আমরা কর্মদক্ষতাকে সব সময় শতকরায় প্রকাশ করি এর কারণ হলো। প্রাপ্ত কার্যকর শক্তি মোট প্রদত্ত শক্তির অনুপাতকেই যেহেতু কর্মদক্ষতা বলা হয় সেই কারণে শতকরা কর্মদক্ষতা থেকে সহজেই জানতে পারি যন্ত্রটির গৃহীত শক্তির শতকরা পরিমাণ কত।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হয় এ ধরনের সকল তথ্য উপাত্ত গুলি আমরা খুব যত্ন সহকারে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করার মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলি আপনার দৈনন্দিন জীবনে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি আপনারা পড়ে নিতে পারবেন।

আবার প্রশ্নের উত্তর বা তথ্যগুলি আপনারা ডাউনলোড করেও নিতে পারেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোডও করা যায়। তাহলে আসুন আমরা দেখি যে কর্মদক্ষতা কাকে বলে?

কর্মদক্ষতা: কোন যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্যকর শক্তি এবং যন্ত্র প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে আমরা ওই যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলতে পারি। কর্মদক্ষতার কোন একক হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *