শিক্ষা কাকে বলে

কোন বিষয় সম্পর্কে জানা বা শেখাই হচ্ছে শিক্ষা। এই শিক্ষা বিভিন্ন বিষয়ের হতে পারে। শুধুমাত্র লেখাপড়া শেখাই শিক্ষা নয়। বাস্তব জীবনের বিভিন্ন কিছু শেখায় শিক্ষা হতে পারে। তবে শিক্ষা শব্দের উৎপত্তি সংস্কৃত “শাস” ধাতু ‌থেকে। শিক্ষার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Education. এই শব্দটি অবশ্য ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ লালন পালন করা। তাই দেখতে পাচ্ছি শিক্ষা দিয়ে শুধুমাত্র লেখাপড়া কেউ বুঝায় না। যে কোন বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হওয়াই শিক্ষা। সাধারণ অর্থে বলতে গেলে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনকে শিক্ষা বলা যেতে পারে। ব্যাপক অর্থে শিক্ষা বলতে বোঝায় পদ্ধতিগত ভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকে শিক্ষা বলা হয়ে থাকে। তাই যে কোন বিষয়ই হোক পদ্ধতিগতভাবে যদি মানুষের জ্ঞান লাভ হয় বা জ্ঞানার্জন হয়ে থাকে তাহলে সেই মানুষ প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে সমাজে। তাই প্রতিটি সমাজের জন্য একজন শিক্ষিত লোক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষিত লোক সকল বিষয়েই কি করতে হবে সে বিষয়টি জানতে পারে। শিক্ষিত লোকের বা শিক্ষিত ব্যক্তির মনের মাঝ থেকে সকল প্রকার কুসংস্কার দেশ হয় এবং সে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। তবে অবশ্যই এ সকল প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অবশ্যই স্বশিক্ষিতের প্রয়োজন শিশুশিক্ষিত হলে এ সকল কুসংস্কার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা আমাদের সমাজে সব সময় সুশিক্ষিত বাদশাহ শিক্ষিত লোক চাই। এর মাসে একটি কথা রয়েছে যদি দুজন দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। তাই বলা যায় যে দুজন ব্যক্তি আমাদের প্রয়োজন নাই তবে শিক্ষিত ব্যক্তির অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এবং সেই শিক্ষিত ব্যক্তি অবশ্যই স্বশিক্ষিত হতে হবে। সুশিক্ষিত না হলে কোন শিক্ষারই দাম হয় না। সে কারণে আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির বা প্রতিটি শিশুকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষা মানুষকে আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিটি ব্যক্তির মাঝেই আলো রয়েছে এবং সেই আলোকে ছড়িয়ে দিতে হলে অবশ্যই শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এবং শিক্ষা অবশ্যই সুশিক্ষাই হতে হবে কুশিক্ষা বা অশিক্ষা দিয়ে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। অশিক্ষা বা কুশিকা সমাজের কোন সুফল বয়ে আনতে পারে না। তাই দরিদ্র মুক্ত দেশ গড়তে হলে অবশ্যই আমাদের শিক্ষার প্রয়োজন আছে। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে যে সে সকলদের শিক্ষার পেছনে অনেক ব্যয় করে থাকে। আর আমার বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে বাজেটের সবচাইতে কম ব্যয় ধরা হয় এই শিক্ষা খাতে। শিক্ষাখাতে যদি অবহেলা চোখে দেখা হয় তাহলে অবশ্যই সে দেশ কোনোদিন উন্নত লাভ করতে পারে না। আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই সকলই হয়েছে শুধুমাত্র ঈদ কার্ড পাথরের উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে কিন্তু আলোকিত মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশ একদম পিছিয়ে রয়েছে।

অর্থাৎ আমাদের সামনে কোন আলোকবর্তিকা নেই যাকে দেখে বর্তমান প্রজন্ম এগিয়ে যাবে। তাই সমাজকে উঠে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই শিক্ষার দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। যদি এই শিক্ষার দিকে গুরুত্ব না দেওয়া হয় তাহলে দেশ আস্তে আস্তে পিছনের দিকে যাবে সামনে আর এ করবে না। তাই আমাদের দেশের সরকারের প্রতি অবশ্যই কাম্য থাকবে যে শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে যা যা করণীয় প্রয়োজন সকল কিছুই করতে হবে। আমরা শিক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম এবং আপনাদের অবগতির জন্য। আপনারা এ ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট কে বারবার ভিজিট করবেন এবং দেখে নেবেন আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর বা তথ্যগুলি।

তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি যে শিক্ষা কাকে বলে?
শিক্ষা: যে প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য যে সকল দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জনে সহায়তা করা হয়। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *