অর্থনীতি কাকে বলে

কোন দেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করে সেই দেশের অর্থনীতির ওপর। অর্থাৎ অর্থনীতিতে যে দেশ সমৃদ্ধ শক্তিশালী সেই দেশের উন্নতির সম্ভাবনাও তত বেশি। এবং পৃথিবীতে সেই দেশে মাথা উঁচু করে চলতে পারে এবং শক্তিধর দেশ হিসেবে সবাই তাকে মান্য করে। দেশ জাতি গোষ্ঠী পরিবার সমাজ প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ অর্থনীতিতে যে যত শক্তিশালী তাকে তত শক্তিধর বলেই মনে করা হয় সবক্ষেত্রেই। তবে কোন দেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করে সেই দেশের জাতীয় সম্পদের প্রকৃতির এবং পরিমাণের ওপর। যে দেশ জাতীয় সম্পদ বেশি সেই দেশের সমৃদ্ধি ততো বেশি উন্নতির সম্ভাবনাও তত বেশি তাই অর্থনীতি সম্বন্ধে জানতে হলে আমাদের সম্পদ সম্পর্কে একটু জানতেই হবে। অর্থনীতিকে বা অর্থশাস্ত্রকে সামাজিক বিজ্ঞান এর একটি শাখা বলা হয়ে থাকে।

এই শাখায় পণ্য এবং সেবার উৎপাদন সরবরাহ বিনিময় বিস্তরণ ভোগ এবং ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে। আমাদের সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা ব্যাপক। তাই এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে আমাদের অবশ্যই অর্থনীতি শাস্ত্র অধ্যায়ন করতে হবে। অর্থনীতি বা ইংরেজি ইকোনমিক্স শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘OikonomiaO’ শব্দ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। তাই অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে হলে আমাদের অবশ্যই এই সীমিত সম্পদকে কিভাবে সর্বোচ্চ ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে সেই দিকটি আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে তবেই অর্থনীতির দিক দিয়ে সমৃদ্ধ অর্জন করা যেতে পারে। আধুনিক অর্থনীতি দুই ধরনের, একটি সামষ্টিক অর্থনীতি আরেকটি ব্যষ্টিক অর্থনীতি নামে পরিচিত। ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে ব্যক্তি তথা মানুষের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে নীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে সমষ্টি অর্থনীতিকে একটি দেশের আয় ব্যয় বিদেশী রেমিটেন্স বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। আমরা আগেই বলেছিলাম অর্থনীতিকে জানতে হলে আগে সম্পদ কি সেটি জানতে হবে বা সম্পদের শ্রেণীবিভাগ বিভাগ সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জ্ঞান রাখতে হবে। সম্পদকে ব্যক্তিগত একান্ত ব্যক্তিগত সমষ্টিগত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এই পাঁচ শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়। সমাজের সকল সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে সেগুলোর সমষ্টিগত সম্পদ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকর ব্যক্তিগত একান্ত ব্যক্তিগত এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলা হয়ে থাকে। জাতীয় সম্পদের উৎস প্রধানত দুইটি । প্রথমটি প্রকৃতি প্রদত্ত আর দ্বিতীয়টি মানব সৃষ্ট। কোন দেশের অধিবাসীরা তাদের শ্রম এবং মূলধনের সাহায্যে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার সংগ্রহ ও উত্তোলন করে এবং সেগুলোর রূপান্তর বাস স্থানান্তরে করে যে নতুন সম্পদ সৃষ্টি করে তাই মানব সৃষ্ট সম্পদ।

তাই আমাদের জাতীয় সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দিতে হবে এবং জাতীয় সম্পদ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সকলের। তাহলে এখন দেখা যাক অর্থনীতি কাকে বলে-
অর্থনীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে এল রবিন্স বলেন “অর্থনীতি মানুষের অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে”। অর্থাৎ অর্থনীতি হচ্ছে পরিবার পরিচালনার আয় ব্যয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম। আবার বলা যায় অর্থনীতি হল কিভাবে মানুষ সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে উৎপাদন, বন্টন এবং ভোগ করে তার অধ্যয়ন। আরো সংক্ষিপ্তভাবে বললে বলা যায় যে,যেখানে বিকল্প ব্যবহার রয়েছে এমন দুষ্প্রাপ্য সম্পদ বন্টনের মাধ্যমে চাহিদা ও চাহিদার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত করাই হচ্ছে অর্থনীতির কাজ।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষার সংস্কৃতি শিল্প বিজ্ঞান অর্থনীতি পৌরনীতি সকল বিষয়ের সকল ধরনের প্রশ্ন উত্তরগুলি আমরা প্রকাশ করে থাকি। আবার আমাদের প্রকাশিত উত্তরগুলি অবশ্যই সঠিক সুন্দর নির্ভুল এবং অত্যন্ত সহজ ভাষায় লিখিত হয়ে থাকে। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে আপনার প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *