কারেন্ট কাকে বলে

বিদ্যুৎ বা কারেন্ট আমাদের বাড়ি স্কুল অফিস ইত্যাদিকে আলোকিত করে অর্থাৎ বর্তমান জীবনে এই কারেন্টের ব্যবহার সর্বাধিক। আমাদের যদি এখন বিদ্যুৎ বা কারেন্ট না থাকে তাহলে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। এই বিদ্যুতের সাহায্যে আমরা আমাদের বাড়ি অফিস বা অন্য যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হোক ফ্যান রেডিও টেলিভিশন স্ত্রী তার মোটর কম্পিউটার এবং আরো অনেক কিছু চালিয়ে থাকি। অর্থাৎ শক্তির একটি কবিতা জনক রূপ হচ্ছে এই কারেন্ট। শক্তির এই সুবিধা যেন গ্রুপটি আমরা তাই যত্রতত্ত্ব ব্যবহার করে থাকি। তাই আমরা জানি পদার্থ কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত যার নাম আমরা পরমানু বলি।

এই পরমাণু গুলি ইলেকট্রন প্রোটন এবং নিউটনের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। ধনাত্মক বা ঋণাত্মক কোনটাই হয় না পরমাণু। পরমাণুতে কোন চার্জ থাকে না বলেই এ ধরনের হয়ে থাকে। তাই যার ফলে পরমাণু সার্চ বা আধার নিরপেক্ষ হয় তাই হচ্ছে ইলেকট্রন। কিন্তু যখনই দুটি পদার্থকে ধর্ষণ করা হয় তখন একটি পদার্থের ইলেকট্রন অন্য একটি পদার্থের চলে যেতে পারে ফলে একটি পদার্থের ইলেকট্রনের আধিক্য দেখা দিতে পারে। আমরা এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি যে কিভাবে আযানের উৎপত্তি হয় । এবার আমরা দেখি যে আধানগুলো কিরূপ ধর্ম প্রদর্শন করে এর জন্য আমরা তাহলে দেখি যে আধান কি রূপ ধর্ম প্রদর্শন করতে পারে। আমরা যদি একটি ছোট প্লাস্টিকের চিরনিকে সুতা দিয়ে বেঁধে একটি শুকনো কাঠের মাথায় ঝুলিয়ে দিই, তাহলে এটি ভালোভাবে ঝুলতে হবে যাতে আশেপাশে কোন কিছু স্পর্শ না করে।

তাহলে এবার একটি শুকনো কাঠের মাথায় অন্য একটি প্লাস্টিকের চিরুনি যাতে একটা মুক্ত ভাবে ঝুলতে থাকে । এবার উভয় চিরুনিকে কিছুক্ষণ পশমি কাপড় দিয়ে ঘষার পর চিরুনি দুটিকে কাছাকাছি আনলে একটা জিনিস লক্ষ্য করব। তাহলে দেখব যে চিরুনি দুটি পরস্পর পরস্পরকে বিকর্ষণ করছে। আবার যদি সেই চিরনী দুটিকে পশমি কাপড়ের কাছাকাছি আনি তাহলে দেখব যে চিরনি কাছে চলে আসবে কাপড়টি। তাই দেখা যাচ্ছে চিরনি দুইটি একই ধরনের চার্জ এর উৎপত্তি হওয়ার কারণে এটা একে অপরকে বিকর্ষণ করছে এবং কাপড় এবং চিরুনি বিপরীতধর্মী চাঁদের উৎপত্তি হওয়ার কারণে দুজনকে আকর্ষণ করছে। আবার এবার আমরা একটি সহজ কাজের মধ্যে যে চার্জের অস্তিত্ব আছে সেটিও লক্ষ্য করতে পারব। আমরা কিছুক্ষণ সেই শুকনো চিরুনি দিয়ে যদি শুকনো চুল অর্থাৎ মাথার চুল আঁচড়ায় এবং কিছু খবরের কাগজের ছোট ছোট টুকরো করে রাখি মাথার চুল আঁচড়ানোর পর আমরা যদি সেই কাগজের টুকরা গুলির দিকে ধরি তাহলে দেখব যে চিরনি সেটাকে আকর্ষণ করছে।

তাহলে আমরা বুঝতে পারছি যে কোন একটা আকর্ষক এর কারণেই এই কাগজের টুকরা গুলি চিরনির দিকে চলে আসছে। আর এটিই হলো সেই আধান বা চার্জ এর কারণ। আমরা এই আধান বা কারেন্ট বা বিদ্যুৎ কে যদি একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চাই তাহলে অবশ্যই একটি পরিবাহীর দরকার হয় এই পরিবাহী টি চিকন তারের হতে পারে অর্থাৎ ধাতব তার হতে পারে। ধাতব তারের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ খুব ভালোভাবে পরিবাহিত হতে পারে। বিদ্যুৎ বা কারেন্ট সাধারণত দুই ধরনের হয়।

ডিসি এবং এসি। আমরা কারেন্ট বা বিদ্যুৎ বলতে বিভিন্ন ধরনের তথ্যগুলি আপনাদের সামনে উপস্থিত করলাম এবং এই পোস্টটি পড়ার পর এতক্ষণে আপনারা এ সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা লাভ করেছেন বলে আমরা আশা রাখি। তারপরেও চলুন দেখি কারেন্ট কাকে বলে?
কারেন্ট: তাই সাধারণ ভাষায় আমরা কারেন্ট বলতে যা বুঝি তা হলো ঘরের বাল্ব, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ, টিভি ব্যবহারের জন্য বা কারখানায় বিভিন্ন যন্ত্রকে পরিচালনা করার জন্য ব্যবহৃত শক্তি। তাই আজ জানবো কারেন্ট কি তা নিয়ে বিস্তারিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *