পদার্থবিজ্ঞানে কোন বস্তুর গতি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি প্রসঙ্গ কাঠামোর প্রয়োজন হয় যার সাপেক্ষে ওই বস্তুর গতির সম্মুখ অবস্থা বর্ণনা করা যেতে পারে। অর্থাৎ আমরা এ কথা বলতে পারি যে কোন দৃঢ় প্রস্তুত সাপেক্ষে যদি কোন স্থানে কোন বিন্দু বা বস্তুকে যদি সুনির্দিষ্ট করা হয় তবে তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলা হয়। আমরা কোন বস্তু ঘর টেবিল ঘরের মেঝে পার্ক খেলার মাঠ পৃথিবীপৃষ্ঠ সূর্য ছায়াপথ এসব বস্তুর যেকোনো কিছুকে প্রসঙ্গ কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করে নেওয়া যেতে পারে। তবে এ সকল কিছুকে বিবেচনা করা নেওয়ার সময় আমাদেরকে অবশ্যই এদের সুনির্দিষ্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ আমরা যদি কোন বস্তুর গতি ব্যাখ্যা করার জন্য অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্ক বিবেচনা করতে হবে এবং যার সাপেক্ষে বস্তুটির গতি আমরা বর্ণনা করি। আর একেই প্রসঙ্গ কাঠামো বলা হয়।
অর্থাৎ আমরা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি যে পরস্পর তিনটি নম্বর সরলরেখা দ্বারা গঠিত যে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার সাহায্যে যদি কোন বস্তুর অবস্থান বা গতি আমরা নির্ণয় করতে পারি তবে তাকে এই প্রসঙ্গ কাঠামো বলা হবে। প্রসঙ্গ কাঠামো একমাত্রিক দ্বিমাত্রিক ত্রিমাত্রিক ইত্যাদি হতে পারে। তাই একমাত্র গতির ক্ষেত্রে যে সরলরেখা বরাবর বস্তুটির গতিপথ প্রথমে তার একটি বিন্দুকে মূল বিন্দু এবং একটি দিককে ধনাত্মক দিক ধরে নিয়ে প্রসঙ্গ কাঠামো নির্ণয় করতে হয়। তারপর এই প্রসঙ্গ কাঠামো এর সাপেক্ষে যাবতীয় পরিমাপ করে ফেলতে হবে।
আমরা যদি ধরি পূর্ব-পশ্চিমে বৃদ্ধিত একটি সোজা রাস্তা বরাবর একটি গাড়ি গতিশীল আছে। তাহলে এই গাড়ির গতি বর্ণনার জন্য আমরা এই রাস্তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করতে পারব। এই রাস্তার ওপর অবস্থিত যে কোন একটি সুবিধা জনক বিন্দুকে মূল বিন্দুর ধরে নেওয়া যেতে পারে। আমরা যদি এই সড়কের ধারে অবস্থিত একটি বড় বৈদ্যুতিক খুঁটিকে মূল বিন্দু এবং রাস্তাটিকে এক্স অক্ষ ধরি তাহলে এর পূর্ব দিক একক ভেক্টর এর জন্য ধনাত্মক ত্রিমাত্রিক গতি বর্ণনা করার জন্য তিনটি অক্ষের তথার্থ ত্রিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামোর প্রয়োজন হবে।
আমরা জানি প্লেনের গতি ত্রিমাত্রিক গতি। তাই যদি কোন স্থানে একটি বিন্দু কল্পনা করে ওই বিন্দুতে তিনটি পরস্পর সে সরলরেখা যাদের একসক্ষক্ক ওয়াই অক্ষ এবং জেড অক্ষ ধরি তবে প্লেনটির বা বিমানটির গতি ত্রিমাত্রিক গতি হবে। আর এই গতি বোঝানোর জন্য আমরা সর্বদাই পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ এবং উপর নিচ এই তিনটি মান উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়। তাই পদার্থবিজ্ঞানে গতি নির্ণয় করার জন্য আমাদের অবশ্যই দিকের মান উল্লেখ করতে হয়। যদি ভেক্টরের দিকের মান উল্লেখ না করা যায় তাহলে অবশ্যই এই মান নির্ণয় করা যায় না।
সেই কারণে ভেক্টরের রাশির সাহায্যে আমাদের অবশ্যই দিক ও নির্ণয় করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আপনারা এতক্ষণ প্রসঙ্গ কাঠামো সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমাদের এই পোস্টে পড়ার পর বিষয়টি অবশ্যই অনুধাবন করতে পারছেন যে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রসঙ্গ কাঠামো বিষয়টি কি। এবং প্রসঙ্গ কাঠামো সম্পর্কিত আপনাদের অজানা অনেক তথ্যই এই পোস্ট থেকে আপনারা ধারণা নিতে পারলেন। তাহলে আপনারা এ ধরনের সকল তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করবেন আশা করি।
যেহেতু আমাদের ওই ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা প্রকাশ করে থাকি এবং আমাদের প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তরগুলি প্রত্যান্ত সুন্দর ভাষায় সাবলীল ভাষায় প্রকাশিত হওয়ার কারণে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে এটি বোধগম্য হয়। আর এই কারণে আপনারা আরো আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন। অনেক কথা বলার পর তাহলে চলুন দেখা যাক পদার্থবিজ্ঞানে প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?
প্রসঙ্গ কাঠামো: যার সাপেক্ষে স্থিতি বা গতি পরিমাপ করা হয় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলা হয়।
প্রসঙ্গ কাঠামো তিন প্রকার। যথা:
ক. একমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো,
খ. দ্বিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো
গ. ত্রিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো