জলবায়ু অর্থাৎ কোন এলাকার 20 থেকে 30 বছরের আবহাওয়ার গড় কে ওই অঞ্চলের জলবায়ু বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন এলাকায় ২০-৩০ বছর ধরে আবহাওয়া কেমন যাচ্ছে অতি খরা অতি বৃষ্টিপাত বন্যা শীত গ্রীষ্ম কেমন ধরনের হচ্ছে সেটিকে সমষ্টি করে তার গড় আবহাওয়া কেমন হতে পারে অর্থাৎ কেমন বৃষ্টিপাত হবে ওই এলাকায় কেমন করা ওই এলাকায় এই ধরনের একটি ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে এবং এটাই হলো ওই এলাকার জলবায়ু নামে পরিচিত। অর্থাৎ আমার এলাকায় গত 20 বছর ধরে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সেই বৃষ্টিপাত টা কোন মাসে বেশি হয়েছে এ ধরনের বেশি বৃষ্টিপাত কোন সময় হয় এ সকল তথ্য নিয়ে সেই বৃষ্টিপাত মোট করে তাকে বিশ দিয়ে ভাগ করে আমরা বলতে পারি যে আমার এলাকায় বছরে কেমন বৃষ্টিপাত হতে পারে বা আমার দেশের জলবায়ু কেমন।
কোন এলাকার জন্য অতিবৃষ্টিপাত এবং অতি খরা দুটিই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ প্রতি বছর আমাদের এলাকায় কেমন বৃষ্টিপাত হয় তার ওপর ভিত্তি করে আমাদের ফসল বুনতে হয় যে ধরনের ফসল এরকম বৃষ্টিপাতে বা এরকম খরায় অনাবৃষ্টিতে হতে পারে সে ধরনের ফসল উৎপাদন করতে হয়। তাই আবহাওয়া সম্পর্কে জানা প্রতিটি মানুষের জন্য কর্তব্য। শুধু কৃষকরাই আবহাওয়া জেনে ফসল ফলাবে এমন নয় অন্য পেশাজীবীদেরও এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। অর্থাৎ মাঠের মধ্যে দিয়ে যদি কোন রাস্তা করতে হয় ওই এলাকায় কেমন বন্যা আসে বা আসতে পারে তার উপর ভিত্তি করে এলাকার রাস্তাটি উঁচুবা নিছে করতে হয়। তাই যে কোন পেশাজীবীর জন্য আবহাওয়া বা কোন এলাকার আবহাওয়া জানা জরুরি বিষয়।
বর্তমানে বিশ্বের জলবায়ু বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তিত আবহাওয়ায় বা পরিবর্তিত জলবায়ুতে কিভাবে টিকে থাকা যায় সেই দি ক কে বিজ্ঞানীরা নজর দিয়েছে। কারণ বর্তমান পৃথিবীতে পরিবেশ দূষণের হার অনেক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। আর এই পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের পৃথিবীকে ঘিরে যে ওজোন স্তর নামে একটি বাতাসের স্তর রয়েছে সেই বাতাসের স্তরটি নষ্ট হতে চলেছে। অর্থাৎ বাইরে ওই ওজোন স্তরটি পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অর্থাৎ সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি এই ওজোন স্তর পৃথিবীতে আসতে দেয় না। বিভিন্ন বায়ু দূষণের ফলে এই ওজোন স্তর নষ্ট হওয়ার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌঁছানোর কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর জমাট বাধা বরফ গলতে শুরু করবে।
বরফ গল্লা পানি প্লাবিত হয়ে একাধিক অঞ্চল প্লাবিত হবে অর্থাৎ সমুদ্র বিলীন হয়ে যাবে। তাই আমাদের পরিবেশ দূষণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে নিজেদের প্রয়োজনেই। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব গুলি আমাদের পৃথিবীতে এসে পড়বে অর্থাৎ যে সকল গরীব রাষ্ট্র তাদের উপর প্রভাব বেশি পড়বে। ওজোন স্তর ফাটল বা ছিদ্র হওয়ার কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে অনেক ধরনের এসি বা এয়ার কুলার এ ধরনের যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই যন্ত্র গুলির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখান থেকে আরো ক্ষতিকর গ্যাস বের হয়ে পৃথিবীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। প্রকৃতিগতভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর পরিবর্তে কৃত্রিমভাবে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করার কারণে আরো পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
জলবায়ু বা আবহাওয়া সম্পর্কিত অনেক তথ্য আমরা দেখলাম আমাদের এই আলোচনায়। তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি জলবায়ু কাকে বলে এই উত্তরটি।
জলবায়: জলবায়ু বলতে বুঝি কোন স্থানের দীর্ঘ সময়ের অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ বৎসর সময়ের আবহাওয়ার গড় কে ওই অঞ্চলের জলবায়ু বলা হয়ে থাকে। এবং এই এলাকাটি হল বৃহৎ এলাকা হতে হবে। জলবায়ু বলতে আসলে বৃহৎ এলাকা কেই বুঝায়। কোন ক্ষুদ্র এলাকার জলবায়ু হয় না। যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোন একটা বিভাগের হতে পারে অথবা কোন একটা অঞ্চল অর্থাৎ কয়েকটি জেলার একসঙ্গে হতে পারে।