ব্যাপন কাকে বলে

ঘরের এক কোণে কিছু সুগন্ধি ঢেলে দিলে তার সুগন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে যায়। এর একটি অবশ্যই কারণ আছে কারণটি কি সেটি দেখতে দেখতে আমরা ব্যাপন কাকে বলে তা পেয়ে যাব। এর কারণ হলো ক্ষুদ্র কণা বাতাসে ছড়িয়ে পড়া। আবার এক গ্লাস পানিতে কিছু চিনি ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে গ্লাসের পানি মিষ্টি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে চিনির অণু পানিতে ছড়িয়ে পুরো পানিকে মিষ্টি শাকযুক্ত করে তোলে। এই প্রক্রিয়াকেই ব্যাপন বলে। অর্থাৎ একই বায়ু চাপে কোন একটি দ্রবণ ও দ্রাবকের ব্যাপন চাপের পার্থক্যের ব্যাপন চাপ ঘাটতি বলে। উদ্ভিদের পাতার মেশপিল টিস্যুতে এই ব্যাপন চাপ ঘাটতির ফলে পানির ঘাটতি আছে এমন কোষ পাশের কোষ থেকে পানি টেনে নেয়। এক কথায় উদ্ভিদের পানিশোষণে ব্যাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাপন তাই উদ্ভিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কোন মাধ্যমে কঠিন তরল ও বায়ুবীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত এবং সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কঠিন তরল কিংবা বায়বীয় পদার্থ উচ্চ গণমাত্রা স্থান থেকে নিম্ন গণমাত্রা স্থানের দিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ হিসেবে আমরা ধরে নিতে পারি। কোন অপদার্থ ছড়িয়ে পড়তে সময় কম লাগলে ওই পদার্থের ব্যাপন হার বেশি এবং কোন অপদার্থ ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগলে ওই পদার্থের ব্যাপন হার কম হয়। তাহলে আমরা একটি পরীক্ষা মাধ্যমে দেখে নিতে পারি ব্যাপন কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

পরীক্ষা: কক্ষ তাপমাত্রায় একটি কাঁচের পাত্রে কিছু বিশুদ্ধ পানি নিলাম। এই পানিতে সামান্য গোলাপি বর্ণের কঠিন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ছেড়ে দিলাম। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, কিছুক্ষণ পর পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দানা গুলো দ্রবীভূত হয়ে গোলাপি দ্রবণে পরিণত হয়েছে।

এক্ষেত্রে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের কণাগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধীরে ধীরে গতিশক্তি অর্জন করে এবং পানির মাঝে এদিক সেদিক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বেশ কিছু সময় পর পুরো পাত্রী গোলাপের রং ছড়িয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে পানিতে তথা তরল মাধ্যমে কঠিন পদার্থ পরম্যাঙ্গানেট ব্যপীত হয়েছে। তরলে কঠিন পদার্থের ব্যাপন হার অনেক কম হয়। এক্ষেত্রে তা প্রদান করলে ব্যাপন হার বেশি হয়। এইভাবে যদি গরম পানিতে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর ব্যাপন এর পরীক্ষাটি সম্পন্ন করি তাহলে দেখা যাবে ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর কণাগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র পানিকে গোলাপী বর্ণ পরিণত করেছে।

কারণ গরম পানি থেকে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট কণাগুলো তা গ্রহণ করে অধিক গতিশক্তি প্রাপ্ত হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ তা প্রয়োগ করলে কঠিন পদার্থের ব্যাপন হার বৃদ্ধি পায়। আজকে আমাদের দেখাতে হবে ব্যাপন কাকে বলে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য বা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে।

প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনাদের প্রয়োজন হলে অবশ্যই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করার মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবেন। আপনারা আমাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের এক্সটা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। তাহলে চলুন দেখা যাক ব্যাপন কাকে বলে?

ব্যাপন: ব্যাপন একটি ভৌত প্রক্রিয়া ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Physical process. অর্থাৎ বলা যায় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন দ্রব্যের অনুপ বেশি ঘনত্ব এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন প্রক্রিয়া বলে। একই তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কোন পদার্থের বেশি ঘনত্ব বিশিষ্ট দ্রবণ থেকে কম ঘনত্বের দ্রবণের দিকে দ্রাবকের ব্যতীত হওয়ার প্রচ্ছন্ন ক্ষমতাকে ব্যাপন বলে। একই বায়ু চাপে কোন একটি দ্রবণ ও দ্রাবকের ব্যাপন চাপের পার্থক্য কে ব্যাপন চাপ ঘাটতি বলে থাকে। এই ব্যাপন প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য অনেক প্রযোজ্য কারণ ব্যাপন এর দ্বারা উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি এবং খনিজ লবণ শোষণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *