আমরা যদি পরিসংখ্যান অংক করতে যাই তাহলে অবশ্যই ঘর মধ্যে এবং প্রচুর লোকের সাথে পরিচিত হতে পারি। অর্থাৎ আমাদের পরিসংখ্যান আগে বুঝে নিতে হবে তারপর প্রচুরক কাকে বলে সেটা জানা যাবে। তাহলে পরিসংখ্যান বলতে আমরা বুঝি যে কোন ঘটনা বিষয়ের সংখ্যাত পরিমাপ অর্থাৎ তথ্য বুঝায়। অর্থাৎ কোন কোন পরিসংখ্যানবিদ এই পরিসংখ্যান কে সংখাতক তথ্য আবার কেউ কেউ একে সংখ্যা নিয়ে গবেষণা বিজ্ঞানের সাথে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তাই পরিসংখ্যান হচ্ছে তথ্য বিষয়ক বিজ্ঞান। যেমন জনসংখ্যা বিষয়ক জন্ম মৃত্যু দ্রব্যমূল্য মজুরি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য সংখাতক তথ্য দ্বারা এদের পরিসংখ্যান বোঝানো হয়। পরিসংখ্যানের উদ্দেশ্য অনিশ্চিত কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নীতি ও পদ্ধতি প্রণয়ন কিংবা কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সংখ্যা ভিত্তিক গবেষণায় হচ্ছে পরিসংখ্যানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হয়ে থাকে।
আবার পরিসংখ্যানের উপাত্ত যদি বলতে চাই তাহলে কোন শহরে অধিবাসীদের বয়স বা আয় অনুষ্ঠানের দৈনিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাতের পরিমাপ বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৈনিক আয় ইত্যাদি সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করাই হলো উপাত্ত। উপাত্ত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি অবিন্যস্ত উপাত্ত আরেকটি বিন্যস্ত উপাত্ত। যে উপাত্তকে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা হয় তাকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়। আবার যে উপাত্ত গুলি শুধুমাত্র সংগ্রহ করা হয়ে থাকে এটিকে সাজানো গোছানো হয় না সেটি হল অবিন্যস্ত উপাত্ত। এরপর আসা যাক শ্রেণী ব্যাপ্তি নিয়ে পরিসংখ্যানেও শ্রেণীবিব্যক্তিরও একটি গ্রহণযোগ্যতা আছে।
যেকোনো শ্রেণীর ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্ন সীমার ব্যবধান হলো ওই শ্রেণীর শ্রেণীব্যাপ্তী। আমরা যদি পরিসংখ্যানের গঠন সংখ্যা বের করতে চাই তাহলে তথ্যগুলিকে গঠন সংখ্যার আলোকে সাজাতে হলে আমাদের অবশ্যই শ্রেণী ব্যাপ্তীর প্রয়োজন হয়। ঘটনসংখ্যা ও পরিসংখ্যানের প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। উপাত্ত গুলোর মধ্যে কোন একটির মান যতবার উপস্থিত থাকে তাকে এই ঘটন সংখ্যা বলা হয়। এবং টালি চিহ্নে এই একটি উপাত্যের জন্য একটি টেলিসর না নিতে হয়। এভাবে যতগুলো তেলি চিহ্ন হবে তার মোট সংখ্যা কে গঠন সংখ্যা বলা হয়। এরপর আসা যাক মধ্যকে। মধ্য খোলা প্রদত্ত উপাত্ত গুলোর মানের ক্রমানুসারে অর্থাৎ উর্ধ্বক্রম বা নিম্ন ক্রম যেকোন ভাবে সাজালেই উপাত্ত গুলোকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিতে হয়।
এরপর তাকে উপাত্ত গুলোর মধ্যে ভাগ্যে মধ্যক বা মধ্যমা বলা হয়। পরিসংখ্যান অংক করতে হলে আমাদের এই বিষয়গুলি লিখে খুব সুস্পষ্টভাবে নজর রাখতে হয়। এবং আমাদের বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম দশম শ্রেণী পর্যন্ত যে গণিত বইয়ের রয়েছে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তক রয়েছে, সেখানকার প্রত্যেকটি গণিত বইয়ের মধ্যে এই পরিসংখ্যান অংশটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী এই পরিসংখ্যান বিষয়ের সামান্য হলেও জ্ঞান অর্জন করতে পারে। কারণ পরিসংখ্যানের জ্ঞান কাজে লাগিয়েই তারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশগুলি খুব সঠিকভাবে করে নিতে পারবে। আর যে কোন কাজ সঠিকভাবে করতে হলে তাকে অবশ্যই পরিসংখ্যানের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য বিভিন্ন এনজিও ব্যাংক বীমা কর্পোরেশন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তারা তাদের হিসাবগুলি অত্যন্ত সহজ সরল ভাবে করে থাকে প্রতিনিয়ত। এই কারণে আমাদের সকলের উচিত পরিসংখ্যানের বিষয়গুলি একটু ভালোভাবে নজর দিয়ে দেখা। অর্থাৎ পরিসংখ্যানে যত্নবান হলে গণিতেও খুব ভালো ফলাফল করা যেতে পারে। পরিসংখ্যান গণিতের একটি অংশ। তাই অবশ্যই গণিতে ভালো করতে হলে পরিসংখ্যান জানা আবশ্যক। আজকে আমাদের দেখাতে হবে প্রচুরক কাকে বলে। এতক্ষণ আমরা পরিসংখ্যানের বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে মোটামুটি ভাবে আলোচনা করা হলো।
এবং এই আলোচনা থেকে আমরা গড় মধ্যক ইত্যাদি সকল কিছু সম্পর্কে জেনে নিতে পারলাম। এখন আমাদের দেখতে হবে যে পরিসংখ্যান কাকে বলে? তাহলে চলুন দেখা যাক যে
প্রচুরক কি বা প্রচুরক কাকে বলে।
প্রচুরক: প্রদত্ত উপাত্তের মধ্যে যে সংখ্যাটি সর্বাধিক বার ব্যবহৃত হয় বা যে সংখ্যাটি সর্বাধিক বার আছে সেটি পরিসংখ্যানের প্রচুরক বলা হয়।