রক্তপাতহীন বিপ্লব কাকে বলে

নিরব বিপ্লবকেই রক্তপাতহীন বিপ্লব বলা হয়। সব সময়ই যে হইচই করে বিপ্লব ঘটাতে হবে এমন নয়। কখনো কখনো আমাদের নীরবভাবেই বিপ্লব ঘটে থাকে। সব সময় যে মুখে কোন কিছুর প্রতিবাদ করলেই প্রতিবাদ করা হয় এমনটি নয়। অনেক সময় একবারে মুখ বুজে থাকলেও সেটা একটা প্রতিবাদ করা হয়। এবং এই ধরনের প্রতিবাদই হল অনেক বলিষ্ঠ হয়ে থাকে। কারণ কথা বলে প্রতিবাদ করার চাইতে নীরব থেকে প্রতিবাদ করাটাও অনেক সময় খুব কাজে আসে। আর এভাবে প্রতিবাদ করলে কোন হানাহানি রক্তপাত ঘটে না।

আর এ ধরনের প্রতিবাদকেই রাখতে পারতেন বিপ্লব বলা হয়ে থাকে। আমরা পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের বিপ্লবের কথা শুনে এসেছি। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো ইউরোপের শিল্প বিপ্লব। এই ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের কথা আমরা সব সময় বা আর হামেশাই শুনে থাকি সকল ক্ষেত্রেই। ইউরোপের এই শিল্প বিপ্লবই ছিল রক্তপাতহীন বিপ্লব। আমাদের আজকে দেখাতেও হবে যে এই রক্তপাতহীন বিপ্লব কাকে বলে বা রক্তপাতহীন বিপ্লব কি? তবে আমাদের আগে দেখাতে হবে বা জানতে হবে যে বিপ্লব কাকে বলে। কোন কিছু দীর্ঘদিন ভাবে চলতে থাকা একে সমূলে পরিবর্তন করার নামই হচ্ছে বিপ্লব।

আমাদের দেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটি বিপ্লব ছিল অর্থাৎ স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লব। এর আগে আমাদের এই ভারতবর্ষ যখন ইংরেজদের শাসনে ছিল সেই ইংরেজদের শাসন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বিপ্লব হয়েছে এদের মধ্যে একটা হচ্ছে সিপাহী বিপ্লব স্বাধীনতা বিপ্লব ইত্যাদি বিভিন্ন নামে তখনকার বিপ্লব চলেছে। লক্ষ্য ছিল একটাই সেটি হচ্ছে দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করা। কিন্তু সেই সব বিপ্লব ছিল অবশ্যই রক্তপাত সমৃদ্ধ বিপ্লব। সেখানে রক্তক্ষরণ হয়েছে অনেক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যেখানে সেখানে রক্তপাত করেছে আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে। কিন্তু আজ আমাদের দেখাতে হবে রক্তপাত বিহীন বিপ্লব। এ ধরনের বিপ্লব অর্থাৎ নিরব পরিবর্তনকে বোঝায়। অর্থাৎ ১৭ ০০ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের শিল্প বিপ্লব ঘটে গিয়েছিল।

অর্থাৎ প্রথম মানবের পরিবর্তে যন্ত্রের দ্বারা কাজ শুরু হয়েছিল ইউরোপে। এবং আমল পরিবর্তন হয়েছিল মানব থেকে জানতে কাজ চলে গিয়েছিল কিন্তু সে বিপ্লবে কোন রক্তপাত ছিল না। তাই বলা যায় ইউরোপের শিল্প বিপ্লব ছিল রক্তপাত বিহীন বিপ্লব। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে ইংল্যান্ডের সেই সদস্য ৮৬ সালের বিপ্লব অর্থাৎ মানুষের কাজ যন্ত্র করবে এই ধরনের কাজ অর্থাৎ শিল্প কারখানায় যন্ত্র এসেছিল মানুষের পরিবর্তে সে বিপ্লব তাই ছিল রক্তপাতহীন বিপ্লব। তাই ইতিহাসবিদরা এই শিল্পকে শিল্প বিপ্লবকেই ইতিহাসের রক্ত পাতহীন বিপ্লব বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন।

এছাড়াও অনেক ধরনের নিরব বিপ্লব রয়েছে অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশেও যে আস্তে আস্তে এনালগ সিস্টেম থেকে ডিজিটাল সিস্টেমের রূপান্তরিত হয়েছে এটি এক ধরনের বিপ্লব। এছাড়াও শীর্ষ বিপ্লব ঘটানো যায় অর্থাৎ মাঠে মাঠে ফসলের সমাহর প্রচুর পরিমাণে ফসল ফলানো এটাও শস্য বিপ্লব বলে অভিহিত করা হলেও এগুলো আসলে রক্তপাতহীন বিপ্লব বলেই বলা হয়ে থাকে। তাই আজকে আমাদের যে রক্তপাতহীন বিপ্লব দেখানোর কথা তা আমরা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে বালিকা নির মাধ্যমে তুলে ধরলাম বলে আশা করা যায়। কারণ আমাদের এই লেখাতে বিপ্লব কাকে বলে কোনটি অস্ত্রধারী বিপ্লব বা রক্তপাত বিপ্লব এবং কোনগুলি নিরব বিপ্লব কোনগুলি রক্তপাতহীন বিপ্লব সে সকল সম্পর্কে আমরা আমাদের এই লেখনিতে তুলে ধরলাম এতক্ষণ। তাই আশা করি পাঠকদের বিপ্লব সম্পর্কে আর কোন ধরনের সমস্যা থাকার কথা নয়।

এবং কোন বিপ্লবকে রক্তপাতহীন বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়েছে ইত্যাদি সকল বিষয়ই আমরা আমাদের এখানে তুলে ধরেছি। তাই আশা করা যায় যে কোন পাঠকেরই আর এই রক্তপাতহীন বিপ্লব বলতে কাকে বলে কি বোঝায় এই সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা থাকার কথা নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *