অনেক বড় বা অনেক ছোট সংখ্যা বা রাশিকে আমরা সূচকের সাহায্যে লিখে অতি সহজে প্রকাশ করতে পারি। এই কারণে হিসাব গণনা এবং গাণিতিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে আমাদের অনেক কঠিন জিনিসের সহজতার হয়ে যায়। তাছাড়া সূচকের মাধ্যমেই সংখ্যার বৈজ্ঞানিক বা আদর্শ রূপ আমরা প্রকাশ করতে পারি এবং এই পদ্ধতিতেই অংক অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অবশ্যই সূচকের ধারণা জেনে রাখা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা যদি সুযোগের ধারণা পায় বা তাদের কাছে যদি সুযোগের ধারণা থাকে তাহলে অনেক কঠিন কঠিন গণিত বিষয়ের সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবে তারা অনায়াসেই।
এজন্যে আমরা চাই যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে সূচকের ন্যূনতম ধারণাও তৈরি হয় এবং এর প্রয়োগ গান সম্পর্কে তারা যেন অবগত হয়। যেহেতু আমাদের প্রত্যেকের ধারণা গণিত একটি কঠিন বিষয় এই কারণে গণিত বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী দুর্বল হয়ে থাকে। তবে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী গণিতের যে আলাদা আলাদা বিষয়গুলি আছে সেগুলি সম্পর্কে যদি তাদের সম্মুখ ধারণা থাকে তাহলে তারা অবশ্যই গণিত বিষয়ে ভালো ফল করতে পারবে বলে আশা রাখি। সূচক থেকেই আমরা জানি যে লগারিদমের সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে লগারিদম এর সাহায্যে সংখ্যার পা রাশির গুণ ভাগ ও সূচক সম্পর্কিত বিভিন্নভাবে গণনার কাজ সহজ করে নেওয়া যায়। নাগরিক্রমের সাহায্যে সংখ্যার বা রাশির গুণ ভাগ ও সূচক সম্পর্কিত গণনার কাজ অনেক সহজ হয়েছে বলে সূচক বিষয়টি বা লগারিদম বিষয়টি আমাদের গণিতের স্থান পেয়েছে।
তাই ক্যালকুলেটর এবং কম্পিউটারের ব্যবহার প্রচলন এর পূর্ব পর্যন্ত আমরা জানি যে বৈজ্ঞানিক হিসাব এবং গণনার ক্ষেত্রে লগারিদমের ব্যবহার ছিল একমাত্র উপায়। বর্তমানে যদিও ক্যালকুলেটর এবং কম্পিউটারের আবিষ্কারের ফলে অনেক সহজ গণিতের বিষয়গুলি এই যন্ত্র করে থাকে তাই আমাদের কাছে বিষয়টি অনেক সহজ হয়েছে। হঠাৎ একথা বলা যায় যে কম্পিউটার এবং ক্যালকুলেটর আবিষ্কারের কারণে গণিতের কঠিন হিসাব গুলি এই যন্ত্র করে দেয় এই কারণে আমাদের আর মাথা খাটাতে হয় না বা যন্ত্রনিরীর্ভর হয়ে পড়ছি আমরা। এখনো আমরা ক্যালকুলেটর এবং কম্পিউটারের বিকল্প হিসেবে লগারিদমের ব্যবহার করে থাকি। অর্থাৎ ক্যালকুলেটরের বিকল্প হিসেবে লগারিদম এর এবং সূচকের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদি সুযোগ জেনে থাকে তাহলে গণিতের সূচকীয় শাখা বলাকারিদম ও সুযোগ অংকগুলি তাদের অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে তাদের কাছে। ধনাত্মক পূর্ণ সাংখিকক সূচক এবং ঋণাত্মক পূর্ণ সাংখিক সূচক ব্যাখ্যা করে ফেলতে পারবে এবং এগুলির প্রয়োগও করতে পারবে যদি তাদের সুযোগ এবং লগারিদম সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকে। তাই আমরা জানি সূচকের নিয়মাবলী বর্ণনা এবং প্রয়োগ করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর উচিত। যদি তারা লগারিদম ব্যাখ্যা করতে পারে তাহলে তাদের অনেকাংশে ক্যালকুলেটর ব্যবহার না করলেও তারা অংক গুলি করতে পারবে বা যন্ত্র নির্ভর মেধা কমে আসবে। যদিও তাদের কাছে বা আমাদের কাছে ক্যালকুলেটর যন্ত্রটি আছে কিন্তু সব সময় সেটি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে বা অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে তাদের কাছে সে যন্ত্রটি নাই কিন্তু অংকটি করতে হবে বা হিসাবগুলি করতে হবে তাহলে তারা এটি যদি শেখা থাকে অবশ্যই অনায়াসেই করে ফেলতে পারবে।
আর এ কারণেই সূচক শেখা একটি শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমাদের মনে হয়। আমরা এতক্ষণে আপনাদের সূচকের সম্মুখ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। তাহলে আপনারা আমাদের এই পোস্টটি যদি মনোযোগ করে দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সূচক আপনারা কাকে বলে সেটি পারবেন এবং সুযোগ নির্ণয় করাও আপনারা শিখে গেলেন। তারপরেও আমাদের দেখতে হবে সুযোগ কাকে বলে? তাহলে চলুন দেখা যাক সূচক কাকে বলে সুযোগ কি।
সূচক: শাব্দিক অর্থে সূচক হল শক্তি। সংখ্যার শক্তি প্রকাশক ছোট অংক বা অক্ষরটিকে ওই শক্তির সূচক বলে। তবে শক্তির সূচক যদি ওয়ান হয় তবে তাহলে তা লেখার প্রয়োজন হয় না।