প্রাচীন গ্রিক থেকে শুরু জ্যামিতির। জ্যামিতিতে আমাদের বিন্দু রেখা কোন চতুর্ভুজ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে। জ্যামিতি গণিতের পুরনো কিন্তু মজার একটি শাখা। এই শাখা কারণে এখন সকলে জ্যামিতি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে। আমরা যদি আমাদের খেলার মাঠ ঘরবাড়ি জমি জমা ইত্যাদি পরিমাপ করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের জ্যামিতির সাহায্য নিতে হবে। জ্যামিতির ধারণায় এসেছে প্রাচীনকালে জমি জমার মাফ- যোখের থেকে। আমরা জানি গ্রিক দেশের মানুষেরা ভূমিকে Geo বলতো metron এবং পরিমাপকে বলতো metron এই Geo এবং metron মিলেই বর্তমানের Geometry এবং আমরা বাংলায় বলতে পারি জ্যামিতি। প্রাচীনকালে মানুষদের জমি জমার মাপ জোখের প্রয়োজনেই জ্যামিতির উদ্ভব হয়েছিল। অর্থাৎ জমিজমা পরিমাপ করার জন্যই প্রয়োজন হয় জ্যামিতির।
আজকাল শুধু জ্যামিতি জমিজমা পরিমাপের জন্যই ব্যবহার হয় এমন নয়। কারণ জ্যামিতিক আকৃতির অনেক বস্ত্র পরিমাপ করতে হয় এই জ্যামিতির সূত্র প্রয়োগ করে। গণিতের অনেক জটিল সমস্যা ও আমরা জ্যামিতির জ্ঞান ব্যবহার করে সমাধান করে ফেলতে পারব। আমরা জানি প্রাচীন মিশর ব্রাজিলিয়ন ভারতবর্ষ জিন ও দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা সভ্যতার বিভিন্ন কাজে জ্যামিতির ব্যবহারের তথ্য আমরা পেয়ে থাকি। তাই প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার যুগেই জ্যামিতির সাজানো গোছানো সুন্দর রূপটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে আমাদের কাছে ধরা দেয়। হৃদপিন্ডের সর্বপ্রথম জ্যামিতির সূত্র গুলি সুবিন্যস্ত করেছিলেন। এই গ্রিক পন্ডিতের নাম ইউক্লিড। ইউক্লিড তার বিখ্যাত গ্রন্থ ইলিমেন্টস রচনা করেন। এবং বর্তমান পর্যন্ত এই গ্রিক পন্ডিত ইউক্লিড এর সেই বিখ্যাত গ্রন্থ ইলিমেন্টসকে একটি অনন্য সৃষ্টি বলে ধরা হয়। এছাড়াও জ্যামিতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে থে ফেলিস পিথাগোরাস প্লেটো তলেমি আর্কিমিডিস সহ আরো অসংখ্য গণিতবিদদের অবদান রয়েছে।
তাই বর্তমান যুগে জ্যামিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্যামিতি না জানলে না শিখলে আমরা গণিতের অনেক সমাধান করতে পারব না। তাই আমাদের উচিত হবে জ্যামিতির জ্ঞানটুকুন ভালোভাবে বুঝে নেওয়া। আমরা আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে এই জ্যামিতির জ্ঞান ব্যবহার করে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারব। এছাড়াও আমরা বাস্তব জীবনেও এই জ্যামিতির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করে ফেলতে পারব। তাই আমাদের উচিত হবে জ্যামিতিকে ভালোভাবে জানা এবং বোঝা। জ্যামিতির শুরু একটি বিন্দু থেকে। হঠাৎ বিন্দু সম্পর্কে আমাদের সামান্য ধারণ রাখতে হবে সেটি হল বিন্দুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা এগুলি কিছুই নেই শুধুমাত্র বিন্দুর অবস্থান রয়েছে। এরপর বিন্দু থেকে রেখার সৃষ্টি হয় রেখার নির্দিষ্ট কোন দৈর্ঘ্য নেই। রেখা চলমান একটি জিনিস যেমন রাস্তা রাস্তা কে আমরা রেখার সঙ্গে তুলনা করতে পারব।
রশ্মি হল একটি রেখার যার প্রান্তবিন্দু আছে এবং এর নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নেই রশ্মি চলতেই থাকবে। এরপর দেখি জ্যামিতিক আকৃতির তল তলের শুধু দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আছে দলকে আমরা দ্বিমাত্রিক হলেও বুঝে নিতে পারি। তারপর দেখা যায় কোণ, কোণ হল দুইটি রেখাংশের ছেদ বিন্দুতে যে জ্যামিতিক আকৃতি তৈরি হয় তাকে কোণ বলা হয়ে থাকে। এরপর আমরা আসি ত্রিভুজ সম্পর্কিত ধারণা নিয়ে। তিনটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্রকে ত্রিভুজ বলা হয়। এবং এই আবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ ক্ষেত্র বলা হয়ে থাকে। আমরা জানি ত্রিভুজকে দুই প্রকারের ভাগ করা যেতে পারে একটি বাহু ভেদে এবং অপরটি কোণ ভেদে। বাহু ভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকারের হয়। যথা: সমবাহু ত্রিভুজ সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ এবং বিষমবাহু ত্রিভুজ। আবার কোণ ভেদে ত্রিভুজকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: সমকোণী ত্রিভুজ, স্থূলকোণী ত্রিভুজ এবং সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ।
আজ আমাদের দেখাতে হবে সমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে? তাহলে আমরা এখন দেখে নিতে পারি সমবাহু ত্রিভুজ কি বা কাকে বলে। সমবাহু ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের তিন বাহুই সমান হয় তাকে সমবাহু ত্রিভুজ বলা হয়। তাই এ ধরনের সকল তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে যাবেন।