পরমাণু কাকে বলে

পরমাণু হলো মৌলিক ভারতের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকবে। আমরা জানি পৃথিবীতে অনেক ধরনের পদার্থ রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ। মৌলিক পদার্থের মধ্যে থাকে শুধুমাত্র ওই পদার্থই। অর্থাৎ মৌলিক পদার্থের ভাঙলে ওই পদার্থ ছাড়া আর অন্য কোন পদার্থের পরমাণু পাওয়া যায় না। যৌগিক পদার্থ হল একাধিক পদার্থ নিয়ে গঠিত হয়। সে কারণে যৌগিক পদার্থকে ভাঙলে ওই একাধিক পদার্থের পরমাণু পাওয়া যায়।

তাহলে আমরা আরেকটু সংক্ষেপে বললে বলতে পারি যে যে পদার্থ কে ভাঙলে সেই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বা মৌল বলে থাকে। আবার যে পদার্থ কে ভাঙলে ওই পদার্থ ছাড়াও অন্য পদার্থ পাওয়া যাবে তাকে যৌগিক পদার্থ বলা হয়। আমরা যদি সোনাকে ভাঙ্গি বা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যাবে শুধু সোনার ক্ষুদ্রতম কোনায় পাচ্ছি। অর্থাৎ সোনাকে যত ছোটই করি না কেন সোনার গুনাগুন সম্বলিত কনায় আমরা পেতে থাকবো। আবার যদি পানিকে আমরা বিশ্লেষণ করি বা প্রাণীকে যদি ভাঙ্গি তাহলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দুইটি মৌলিক পদার্থ পাব।

এই কারণে আমরা সোনাকে মৌলিক পদার্থ এবং পানিকে যৌগিক পদার্থ বলবো। তাই আমরা বলতে পারি পরমাণু হলুদ এর ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকে। যেমন নাইট্রোজেনের পরমাণুতে নাইট্রোজেনের ধর্ম বিদ্যমান আর অক্সিজেনের পরমাণুতে অক্সিজেনের ধর্ম বিদ্যমান। দুই বা দুইয়ের অধিক সংখ্যক পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধন এর মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তাকে অনু বলে। অর্থাৎ যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম অনু বলা যেতে পারে। রাসায়নিক বন্ধন সম্পর্কে আমরা এর আগেই বিস্তারিত জেনে ফেলেছি।

যদি অক্সিজেন পরমাণুর পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন অনু গঠন করে। আবার একটি কার্বন পরমাণু দুইটি অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে একটি কার্বন ডাই অক্সাইড অনুগঠন করে। একই মৌলের একাধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হলে তাকে মৌলের অনু বলে। যেমন অক্সিজেনের একটি পরমাণু O2 । ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু পরস্পর যুক্ত হলে তাকে যৌগের অনু বলা হয়। যেমন – CO2। আমরা জানি পরমাণু তিনটি কণা দিয়ে তৈরি। এই তিনটি কণা হচ্ছে ইলেকট্রন প্রোটন এবং নিউট্রন।

পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে এবং ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রন হলো পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার আধান বা চার ঋণাত্মক বা নেগেটিভ হয়। আবার প্রোটন হল পরমাণুর একটি মোলকনিকা যার চান্স বাধান ধনাত্মক বা পজেটিভ হবে। সবশেষে নিউটন নিউটন হলো পরমাণুর আরেকটি মূল কণিকা যার কোন আধান বা চার্জ নেই তাই একেএন চান্স নিরপেক্ষ বলা হয়ে থাকে। হাইড্রোজেন ছাড়া সকল মৌলের পরমাণুতে নিউটন রয়েছে।

তাই আমরা বলতে পারি কোন মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলতে পারি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় হিলিয়ামের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে দুইটি প্রোটন থাকে। যেহেতু প্রত্যেকটা পরামর্শ নিরপেক্ষ অর্থাৎ মোট চার্জ বা আদান-শূন্য তাই পরমাণু নিউক্লিয়াসে যে কয়টি প্রোটন থাকে নিউক্লিয়াসের বাইরে সে ঠিক সেই কয়টি ইলেকট্রন থাকে। আবার রসায়নে আমরা ভরসংখ্যা বলতে বুঝি কোন পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন এবং নিউটন সংখ্যার যোগফল।

পরমাণু সম্পর্কিত অনেক তথ্য আমরা এখানে পেলাম এখন দেখাতে হবে পরমাণু কাকে বলে?
পরমাণু! মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকবে তাকেই মৌলের পরমাণু বলা হয়ে থাকে। যেমন নাইট্রোজেনের পরমাণুতে নাইট্রোজেনের ধর্ম বন বিদ্যমান থাকা অনুগুলি পাওয়া যাবে সব সময় এবং অক্সিজেনের পরমাণুতে অক্সিজেনের ধর্ম বিদ্যমান পরমাণু গুলি পাওয়া যাবে।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য বিভিন্ন প্রকার প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন শ্রেণীর সকল বিষয়ের প্রশ্নের উত্তরগুলি প্রকাশ করা থাকে। তাই আপনাদের প্রয়োজনের জন্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *