একই সমতলের দুইটি রশ্মি একটি বিন্দুতে মিলিত হলে যে চিত্র তৈরি হয় তাকে আমরা সাধারণভাবে কোণ বলতে পারি। জ্যামিতিতে কয়েক প্রকারের কোণ থাকে। যেমন: সরল কোণ সন্নিহিত কোণ, সমকোণ, স্থূলকোণ, সূক্ষ্মকোণ, পূরক কোণ, সম্পূরক কোণ, বিপ্রতিপ কোণ একান্তর কোণ ইত্যাদি। আজ আমাদের দেখাতে হবে একান্তর কোণ কাকে বলে। তার আগে আমরা বিভিন্ন কোণ সম্পর্কে দেখে নিতে পারি। প্রথমে আসা যাক সরল কোণ কাকে বলে, এখান থেকে।
সরল কোণ: যে কোণের পরিমাপ 180 ডিগ্রী সেই কোণ কে এক সরলকোণ বলা হয়। অর্থাৎ দুইটি পরস্পর বিপরীত রশ্মি তাদের সাধারণ প্রান্ত বিন্দুতে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে সরল কোণ বলে।
সন্নিহিত কোণ: যদি কোন তলে দুইটি কোণের একই শীর্ষবিন্দু হয় এবং কোণদ্বয় সাধারণ বাহুর বিপরীত পাশে অবস্থান করে তবে ওই কোণ দ্বয় কে সন্নিহিত কোণ বলে।
সমকোণ: যদি একই রেখার উপর অবস্থিত দুটি সন্নিহিত কোণ পরস্পর সমান হয়, তবে কোণ দুইটির প্রত্যেকটি সমকোণ হয়। এবং সমকোণের বাহু দুটি পরস্পরের উপর লম্ব হবে। অন্যভাবে বললে বলা যায় যে ৯০ ডিগ্রি কোণের প্রমাণ কোণকে সমকোণ বলা হয়।
পূরক কোণ: দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল ৯০ ডিগ্রি হলে কোণ দুইটি একটি অপরটির পূরক কোণ হয়। আবার অন্যভাবে বললে বলা যায় যে দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল ৯০ ডিগ্রি হলে একটি অপরটির পূরক কোণ হয়।
সম্পূরক কোণ: যদি দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল 180 ডিগ্রী হয় তাহলে কোন দুইটির একটি অপরটির সম্পূরক কোণ বলে থাকে। অর্থাৎ দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল 180 ডিগ্রি হলে কোন দুইটির প্রত্যেকটির অপরটির সম্পূরক কোণ। দুইটি পরস্পর সম্পূরক কোণকে সন্নিহিত কোণ হিসেবে আঁকলে একটি সরল কোণ তৈরি হবে।
বিপ্রতীপ কোণ: কোন কোণের বাহুদ্বয়ের বিপরীত হৃদয় যে কোন তৈরি করে তা ঐ কোণের বিপরীত কোণ। অথবা দুইটি সরলরেখা কোন বিন্দুতে পরস্পরকে শেভ করলে শ্বেত বিন্দুতে দুই জোড়া পরস্পর বিপ্রতীপ কোণ উৎপন্ন হয়। একজোড়া পরস্পর বিপ্রতীপ কোণের বাহুগুলো দুইটি পরস্পর শ্রেণী সরলরেখা তৈরি করে যাদের ছেদবিন্দু প্রদত্ত কোন যুগলের সাধারণ শীর্ষবিন্দু।
সূক্ষ্ম কোণ: এক সমকোণ বা ৯০° এর চেয়ে ছোটকোন কে আমরা সূক্ষ্মকোণ বলি।
স্থূলকোণ: ৯০ ডিগ্রি এর চেয়ে বড় কিন্তু 180 ডিগ্রী বা দুই সমকোণ এর চেয়ে ছোট কোণ কে স্থূলকোণ বলে।
প্রবৃদ্ধ কোণ: দুই সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু যার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে।
অনুরূপ কোণ: দুটো সমান্তরাল সরলরেখাকে অপর একটি সরলরেখা ছেদ করলে ছেদকের একই পাশে যে কোন উৎপন্ন হয় তাদের অনুরূপ কোণ বলে।
আমরা জ্যামিতির বিভিন্ন কোণ সম্পর্কে অবগত হলাম তাহলে এখন দেখা যেতে পারে একান্তর কোণ কাকে বলে। তার আগে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের সকল শ্রেণীর সকল প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের প্রয়োজনের জন্য যেকোনো শ্রেণীর যে কোন বিষয়ের প্রশ্নের উত্তরগুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন।
আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। প্রশ্নের উত্তর গুলো ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন সাবজেক্ট প্রয়োজন হবে না। তাই আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি আমাদের এখান থেকে অনার্সে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। জ্যামিতি সম্পর্কিত তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আমাদের জ্যামিতিক কাকে বলে সে সম্পর্কে জানা অবশ্যই কর্তব্য। জ অর্থ ভূমি এবং মিতি অর্থ পরিমাপ।
তাই জ্যামিতি অর্থ ভূমির পরিমাপ বলা হয়ে থাকে। আর জ্যামিতির প্রথমের ধিক্কার ধারণা হচ্ছে কোণ। কোণ সম্পর্কিত ধারণা জ্যামিতির প্রথমেই নিতে হবে। তাহলে চলুন দেখা যাক একান্তর কোণ কাকে বলে?
একান্তর কোণ: দুটোর সমান্তরাল সরলরেখাকে অপর একটি সরলরেখা ছেদ করলে ছেদের বিপরীত পাশে সমান্তরাল যে রেখা কোণ উৎপন্ন করে তাদের একান্তর কোণ বলে।