আমরা আমাদের এই সাংসারিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ সম্পর্কে বা রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে অবগত রয়েছি। সাধারণত ধাতু বা ধাতুর মত ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যার এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে তাকেই ক্ষারক বলে। ক্ষার সম্পর্কে আমাদের সাংসারিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি এই ক্ষার দ্বারা। কারণ আমরা এই ক্ষার দ্বারা বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যাদি পরিষ্কার করে থাকি। ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড ছাড়াও ক্ষারকের অনেক উদাহরণ রয়েছে। এই উদাহরণগুলি হল সোডিয়াম অক্সাইড কপার অক্সাইড ফেরাস অক্সাইড সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড সিরাজ হাইড্রোক্সাইড অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ইত্যাদি সকলি ক্ষারকের উদাহরণ।
অ্যামোনিয়াম আয়নসফোনিয়াম আয়ন এগুলো ধাতুর মত ক্রিয়াশীল মূলক। আমরা যদি খান এবং এসিডের সনাক্ত করতে যায় তাহলে সেটি আমরা লিটমাস কাগজ ব্যবহার করে ক্ষার এবং এসিডের পরীক্ষা করতে পারব। অ্যাসিড থাকলে নীল নেটমাস লাল হয় আর ক্ষারক থাকলে লালমাশ নীল হয়। ধাতু বা ধাতুর মত ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। কোন যৌগের ক্ষার হবার জন্য দুইটি শর্ত থাকে। এই শর্তগুলি হলো যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড মূলক থাকতে হবে এবং আরেকটি শর্ত হলো ওই যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার কারণ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগে ওএস মূলক রয়েছে এবং এটি পানিতে দ্রবণীয় হয় এই কারণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষারীয় পদার্থ।
আবার অপরদিকে সিরাজ অক্সাইডকে কার বলা যায় না কারণ এই সেরা অক্সাইড এর মধ্যে ওইস গ্রুপ আছে কিন্তু এটি আবার পানিতে দ্রবণীয় হয় না। আর পানিতে দ্রবণীয় না হলে অবশ্যই এটি ক্ষারীয় পদার্থ বলা যাবে না। তাই সেরা হাইড্রোক্সাইড কে ক্ষার বলা যায় না। তাই একে শুধু ক্ষারক বলা হয়। ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষারক, ক্ষার নয় কারণ ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এ ও এইচ মূলক নয় এ কারণে সেটি ক্ষার নয় ক্ষারক। আমরা যদি আরও দেখি তাহলে বুঝতে পারবো যে হাইড্রোক্সাইড মূলক ধারী পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারক গুলো শুধু ক্ষার। তাই বলা যায় সব ক্ষারকই ক্ষার নয় কিন্তু সব খাওয়াবি ক্ষারক বলা যায়।
আমরা আমাদের বাসা বাড়িতে ক্ষার জাতীয় অনেক পদার্থই ব্যবহার করে থাকি। কারণ ক্ষারক হিসেবে পাস পরিষ্কারক বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। পরিষ্কারক সামগ্রী হিসেবে এই ক্ষার গুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন দ্রব্যটি পরিষ্কার করার জন্য। টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য যে টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার থাকে। কাজ পরিষ্কার করার জন্য যে গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার হিসেবে থাকে। তাই এই খাবার বা খারকের অনেক উপকার আমাদের এই সাংসারিক জীবনে।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আমাদের এই বাস্তব জীবনে কাজ করে থাকে ক্ষার। আবার রসায়ন গবেষণাগারে আমরা নানা ধরনের যৌগ ব্যবহার করে থাকি। এদের মধ্যে এসিড ক্ষারক আর লবণ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি। তাই রসায় ন করতে হলে আমাদেরকে এসিড ক্ষারক এবং লবণ সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। খাদ্যের মাধ্যমে আমরা এসিড ক্ষারক এবং লবণ পেয়ে থাকি আমাদের শরীরের জন্য প্রত্যাবর্ষক এই পদার্থটি। এই পদার্থ গুলি শরীরে না থাকলে অনেক ধরনের রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এই কারণে এগুলো এদিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের উপাদানে আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি বেছে নিতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাদের আগে ভিজিট করতে হবে।
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। তাহলে চলুন এখন দেখা যাক যে ক্ষারক কাকে বলে?
ক্ষারক: সাধারণত ধাতু বা ধাতুর মত ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে তাকেই ক্ষারক বলে।