আমরা এর আগে জেনেছি দেখা বা রেখাংশ কাকে বলে। বিন্দু যদি চলমান অবস্থায় চলতে থাকে তাহলে তাকে রেখা বলা হয় না অর্থাৎ বিন্দু কোন একটি অবস্থান থেকে কোন একদিকে চলতে থাকলে আমরা তাকে রেখা বলে থাকি। তাই আমরা জানি বিন্দু থেকেই জ্যামিতির সকল আকৃতির উৎপন্ন হয়ে থাকে। যার কোন অংশ নাই তাকেই আমরা বিন্দু বলি। দুইটি রেখা যদি পরস্পর সেট করে একটি বিন্দুর উৎপত্তি হয়। অর্থাৎ দুইটি রেখার শ্বেত স্থান বিন্দু দ্বারা নির্দিষ্ট হয়। আমরা যদি একটি বাক্সের দিকে খেয়াল করি তাহলে দেখব যে বাক্সের দুইটি ধার যেমন বাক্সের এক কোনায় একটি বিন্দুতে মিলিত হয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি যে বিন্দুই জ্যামিতিক সকল চিত্রের উৎপত্তিস্থল। তাল রেখা বিন্দু সম্পর্কে যে ধারণা তা আমরা এখন দিতে পারি। একটি ইট বা ঘনবস্তু এর উপরিভাগ কে তল হিসেবে অভিহিত করা যায়। একটি ঈদ বা বাক্সের তিনটি মাত্রা যেমন দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা থাকে একটি গোলকের তিনটি মাত্রা আছে এর তিনটি মাত্রার বশ্য ভিন্নতা স্পষ্ট বোঝা না গেলেও এর দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা বিশিষ্ট খন্ডে বিভক্ত করা যায়।
তবে গোলকের এই তিনটি ভাগ করা একটু আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হলেও এই রকম ভাবে ভাগ করা যাবে। আমরা একটি বাক্সের ছয়টি পৃষ্ঠা ছয়টি তলের প্রতিরূপ হিসেবে ধরে নিতে পারি। কিন্তু গোলকের উপরিভাগ ও একটি তল তবে বাক্সের পৃষ্ঠতল এবং গোলকের পৃষ্ঠতল ভিন্ন প্রকারের হতে পারে বা ভিন্ন প্রকারের হয়। এর আগে আমরা বলেছি যে রেখা একমাত্রিক। রেখার শুধু দৈর্ঘ্য আছে এর প্রস্থ বা উচ্চতা কিছুই নাই। বাক্সের যদি খেয়াল করবো তাহলে একটি বাক্সের পৃষ্ঠতলের প্রস্থ ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সম্পূর্ণ হলে দেখব যে ওই দলের একটি রেখা মাত্র অবশিষ্ট থাকে। তাহলে এইভাবে দলের ধারণা থেকে আমরা রেখায় আসতে পারি।
বিন্দু থেকে যেমন রেখা পাই তেমনি রেখা থেকে আমরা দলের ধারণা বুঝতে পারলাম। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো যে দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমভাবে ইত্যাদি শব্দগুলো অসংজ্ঞায়িতভাবে গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ ধরে নেওয়া হয়েছে যে এগুলো সম্পর্কে আমাদের এর আগেই ধারণা ছিল এবং এসব ধারণার উপর ভিত্তি করেই বিন্দু সরলরেখা এবং সমতলের ধারণা দিতে পারি। আমরা আজকে এসেছি যে সন্নিহিত বাহু কি সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য। যেহেতু আমরা রেখা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি তাহলে এখন বাহুর সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারি বা বুঝতে পারব যে বাহু কি। দুইটি রেখাংশ যদি একটি বিন্দুতে ছেদ করে তাহলে একটি কোণ উৎপন্ন হয়। আবার তিনটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ যদি কোন চিত্র হয় তাহলে সেটাকে আমরা ত্রিভুজ বলবো। চারটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্র হলো চতুর্ভুজ ক্ষেত্র।
এখন চতুর্ভুজের চারটি রেখাংশ চারটি বাহু বলে বিবেচিত হয়। অনুরূপভাবে ত্রিভুজের তিনটি রেখাংশ তিনটি বাহু এবং দুইটি রেখাংশ যে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়ে একটি কোন উৎপন্ন করেছে তাহলে এই দুইটি রেখাংশ এখন কোনটির বাহু বলা হয়। তাই আমরা বলতে পারব যে বাহু কি। এখন তাহলে আমরা আপনাদের বিভিন্ন ত্রিভুজের সম্পর্কে অনেক ধারণা দেওয়া হল। এই ধারণা থেকে আমরা আমাদের বিভিন্ন কোন ত্রিভুজ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল বা আমরা ধারণাটি আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দিলাম। তাহলে এখন আমরা বলতে পারব যে সন্নিহিত বাহু কি।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায়। তাই আপনাদের প্রয়োজনের জন্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করে নিতে পারেন। বাহু সম্পর্কে আমরা ধারণা দিয়েছি এখন তাহলে দেখা যাক চলুন সন্দেহিত বাহু কাকে বলে?
সন্নিহিত বাহু: দুটি বাহু মিলে যখন একটি কোণ সৃষ্টি করে তখন প্রাপ্ত বাহুগুলোকে পরষ্পর সন্নিহিত বাহু বলে।