হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে

হিসাব সংক্রান্ত বিজ্ঞান কে হিসাববিজ্ঞান বলে। কিসের হিসাব কার হিসাব এগুলি জানতে আমাদের এখন এই পোস্টটি আপনাদের বিস্তারিত ভাবে পড়তে হবে, তাহলে হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে আপনারা বুঝতে পারবেন বলে আশা রাখি। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হিসাব-নিকাশ করতে হয়। অর্থাৎ হিসাব নিকাশগুলি ঠিক না রাখলে বা ভালোভাবে না করলে বা পদ্ধতিগত ভাবে না করলে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাভ করা যাবে না বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো চালানো যাবে না। আর এই কারণে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঠিকমতো ভালোভাবে চালানোর জন্য হিসাব নিকাশ ভালোভাবে করে যেতে হবে। তাই বৈজ্ঞানিকভাবে হিসাব-নিকাশ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই হিসাব সংক্রান্ত সকল তথ্য-উপাত্তগুলি জানতে হবে বা কৌশল গুলি অবলম্বন করতে হবে।

তাই এ সকল হিসাব-নিকাশ রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হতে হবে এবং তারাই ভালোভাবে হিসাব নিকাশ করে একটি প্রতিষ্ঠানকে খুব সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তাই আমরা ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে, যে পদ্ধতি বা কৌশল ব্যবহার করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আর্থিক উন্নতি করা যায় এবং আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় তাকেই বাংলায় হিসাববিজ্ঞান এবং ইংরেজিতে একাউন্টিং বলা হয়ে থাকে।

যে পদ্ধতি বা কৌশল ব্যবহার করে কোন ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নতি সাধন করা যায় এবং প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে পরিচালনা করা যায় তাকেই হিসাববিজ্ঞান বলা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বা অল্প সময়ের মধ্যে যদি কোন প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় লেনদেনের হিসাব নিকাশগুলি এক ধরনের ছকের মাধ্যমে যদি করা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই হিসাব নিকাশ গুলির খুব ভালোভাবে মেনটেন করা যায় এবং সহজ পদ্ধতিতে করা যায়। তবে এই হিসাব নিকাশগুলি করতে হলে আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে। তাই বলা যায় হিসাব বিজ্ঞান হল এমন একটি বিষয় বা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির যাবতীয় আর্থিক কার্যক্রম অর্থাৎ আয় ব্যয় ক্রয় বিক্রয় পরিষদ পাওনা ইত্যাদি খুব সুন্দর ভাবে ছকে বাঁধা নিয়মে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করে রাখা যায় এবং তাই হলো হিসাববিজ্ঞান।

এবং এই হিসাব বিজ্ঞানের মাধ্যমে যদি হিসাবগুলি করা হয়ে থাকে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ সঠিক হিসাব করে ফেলতে পারা যায়। এই কারণে ব্যক্তি পর্যায়ে হোক বা প্রতিষ্ঠান হিসাব সেটিই হোক হিসাব বিজ্ঞানের মাধ্যমে সেটি করা অত্যন্ত জরুরী। তাই এই হিসাব বিজ্ঞানের বিজ্ঞানসম্মত সংজ্ঞা বিভিন্ন হিসাব বিজ্ঞানী দিয়েছেন আলাদা আলাদা ভাবে। তাই হিসাববি্দের দুই একজনের মতামত আমরা এখানে দেখে নিতে পারি।

প্রথমে দেখা যাক হিসাব বিজ্ঞানী ডব্লিউ জনসন হিসাব বিজ্ঞানের কি ধরনের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। তিনি হিসাব বিজ্ঞানের সংজ্ঞা এভাবে দিয়েছেন তা হল-
“the collection, compilation and systematic recording of business transactions in terms of money, the preparation of financial reports, the analysis and interpretation of these reports for the information and guidance of management.”
অর্থাৎ তিনি বলেন বা বলতে চেয়েছেন যে- অর্থের অংকে ব্যবসায়ের বিভিন্ন লেনদেন সমূহ সংগ্রহ করুন সংবর্ধকরণ লিপিবদ্ধ করণ আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করুন এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে এইসব বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন কে বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশদ ব্যাখ্যা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বা তথ্যের যোগান কেই বলা হয়ে থাকে হিসাববিজ্ঞান।

তাই আমরা বলতে পারি যে যে শাস্ত্র পাঠ করলে হিসাববিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়গুলি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে জানা যায় বোঝা যায় এবং হিসাবগুলি রাখা যায় তাকেই সাধারণ ভাষায় হিসাববিজ্ঞান বলা হয়ে থাকে। তাই বলা যায় হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যই হল একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবগুলিকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কোন বইয়ের যথাযথ ভাবে লিপিবদ্ধ করা। এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় দেনা পাওনা সম্পর্কিত বিষয়গুলি অবগত হতে পারা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত অল্প সময়েই ধারণা লাভ করতে পারা। তাহলে আমরা একথা বলতে পারি যে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা হিসাববিজ্ঞান সম্পর্কে অবশ্যই একটি সম্মুখ ধারণা পেলেন আশা রাখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *