ত্বরণ কাকে বলে

যখন কোন বস্তু সমবেগে যায় তখন তার কোন ত্বরণ কারণ হয় না। বেগের পরিবর্তন হলেই বুঝতে হবে আমাদের সেখানে তরুণ রয়েছে। ব্যাগের যেহেতু দিক এবং মান দুটোই আছে তাই বেগের পরিবর্তন দুই ভাবেই হতে পারে। আমাদের আগের উদাহরণে আমরা যখন আঁকাবাঁকা পথে সাইকেল চালিয়ে গিয়েছি তখন যতবার আমরা বাদ পরিবর্তন নিয়েছি ততবার আমার বেগের পরিবর্তন হয়েছে অর্থাৎ আমার ত্বরণ হয়েছে। আমরা যদি আগের উদাহরণের মতো একটা পাথরকে সুতা দিয়ে বেঁধে মাথার উপর সমুদ্র তিতে ঘরাতে থাকি তাহলে ঘুরতে থাকা পাথরটির ক্রমাগত দিক পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ তার বেগের পরিবর্তন হবে বা ত্বরণ হবে।

যদি আমরা গতি সরলর রচিত ভাবে হয়ে থাকে তাহলে দিক পরিবর্তনের কোন সুযোগ হয় না। তার ত্বরণ হতে পারে শুধু বেগ এর মানের অর্থাৎ দ্রুতির পরিবর্তনের কারণে। যদি বেগের মান বাড়তে থাকে তাহলে আমরা বলি মেঘের দিকে বস্তুটির ত্বরণ হচ্ছে। যদি বেগের মান কমতে থাকে আমরা তখন বলি বস্তুটির ঋণাত্মক তরন বা মন্দন হচ্ছে। আমরা এখন সরলরেখায় চলমান কোন একটি বস্তুর ত্বরণের বের করার উদাহরণ দেখতে পারি। যদি কোন চিত্রে একটা বস্তুর সময়ের সাথে বেগের পরিবর্তন দেখানো যায় তাহলে কোথায় তরুণ হয়েছে কোথায় নেই তখন তা বলা যায়। আমরা বলতে পারি এখন পর্যন্ত যা বলা হয়েছে তার সবকিছু সত্যি ত্বরণের জন্য বা সমত্বরনের জন্য। যদি সমতরন না হয় তাহলে কিন্তু এত সহজে শুধু আদিবেগ আর শেষ ব্যাগ থেকে কারণ বের করে ফেলা যাবে না। আমরা আমাদের চারপাশে গতির যেসব উদাহরণ দেখি গাড়ি ট্রেন বা সাইকেলের গতি তাদের ত্বরণ প্রায় সব সময় অসমত্বরণ হয়ে থাকে।

যেমন একটি গাড়ি যদি স্থির অবস্থা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বেগবান হয় তাহলে তার তরুণ শূন্য থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে একটি মানে গিয়ে পৌঁছায়, গাড়ি যখন তার পূর্ণ বেগে পৌঁছায় তখন তার গতি আর বাড়ে না অর্থাৎ ত্বরণ আবার শূন্য হয়ে যায়, আবার গাড়িটি যদি বেগ কমিয়ে নামতে শুরু করে তাহলে মন্দন হতে থাকে। গাড়িটি যদি পুরোপুরি থেমে যায় তাহলে তার বেগ এবং তরল দুটি শূন্য হয়ে যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে সমতরনের উদাহরণ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। আসলে আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখি তার মাঝে কিন্তু সমতরনের খুব চমকপ্রদ একটা উদাহরণ আছে। সেই উদাহরণটি হচ্ছে মধ্যাকর্ষণ জনিত ত্বরণ।

পৃথিবীপৃষ্ঠের কাছাকাছি তার মান ৯.৮m/s2 আমরা যদি কোন একটা বস্তু স্থির অবস্থা থেকে ছেড়ে দিই তাহলে দেখতে পায় তার গতিবেগ v=gt হিসেবে বাড়তে থাকে। আমরা যেহেতু শুধু রৈখিক গতি নিয়ে আলোচনা করব তাই গতি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত যে যে রাশিগুলোর কথা বলেছি সেগুলো হচ্ছে-
u: আদি বেগ, সময়ের শুরুতে যে বেগ
a: ত্বরণ
t: যে সময়টুকু অতিক্রান্ত হয়েছে
v: অতিক্রান্ত সময়ের পর বেগ
s: অতিক্রান্ত সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করেছে।

অর্থাৎ এই রাশি গুলোর কখনোই দিকের পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ আমরা এগুলোকে ভেক্টর হিসেবে বিবেচনা না করে শুধু এগুলোর মান নিয়ে আলোচনা বা কাজ চলে যাবে। ত্বরণ সম্পর্কে অনেক কথাই হলো তাহলে এখন চলুন দেখা যাক ত্বরণ কাকে বলে?

ত্বরণ: ত্বরণ হলো বেগের পরিবর্তন। আরো সুস্পষ্ট করে বললে বলতে হবে ত্বরণ হচ্ছে সময়ের সাথে বেগের পরিবর্তনের হার।
দারুন হচ্ছে বেগের পরিবর্তনের হার, যদি সমতরণ হয় অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে ত্বরণের পরিবর্তন না হয় তাহলে আমরা লিখতে পারি
ত্বরণ=(শেষ বেগ – আদিবেগ) ÷অতিক্রান্ত সময়
‌ অর্থাৎ যদি প্রথমে কোন বস্তুর বেগ u এবং t সময় পর তার বেগ হয় v তাহলে ত্বরণ a হচ্ছে
a=(v-u)÷t
ত্বরণের মাত্রা [a] = LT-2
ত্বরণের একক ms -2

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *