ভাইরাস হলো অতি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র অনুজীব। এদেরকে অনুযায়ী বলার কারণ হলো কখনো কখনো এরা জিভের মতো আচরণ করে এবং কখনো কখনো এরা জড় পদার্থের মত আচরণ করে এই কারণে এদেরকে জীবনা জড়বস্তু নয় অনুধিব বলে অভিহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন তারা পোষক দেহে থাকে তখন জীবের মতো আচরণ করে। আর যখন প্রসব দেখে থাকে না তাদের বংশবৃদ্ধি হয় না জড় পদার্থের মত আচরণ হয়। আমরা আমাদের চারপাশে এই ধরনের অনেক ভাইরাস রয়েছে তবে আমরা এই ভাইরাস খালি চোখে দেখতে পাই না। খালি চোখে দেখা যায় না বলেই আমরা ভাইরাসের অস্তিত্ব শুধু কল্পনা করতে পারি দেখতে পাই না।
আমাদের চারপাশে শুধু জিব্বা জড় বস্তু রয়েছে এরকম কথা নয় আমাদের আশেপাশে অসংখ্য অণুজীব রয়েছে। এসব অনুচিত থেকেই সৃষ্টির শুরুতে জীবনের সূত্রপাত হয়েছে। তাই কোন যুদ্ধের কে আদি যুগ বলা হয়ে থাকে। অজিত জগৎকেও বিজ্ঞানীগণ তিনটি রাজ্যে ভাগ করেছেন। এই তিনটি ভাগ হলো এক্যারিওটা প্রক্যারিওটা এবং ইউক্যারিওটা। এক্যারিওটা বা অকোষীয় এসব অনুজীব এতই ছোট যে তা সাধারণ আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচেও দেখা যায় না। এদের দেখতে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। আর এরাই হলো ভাইরাস।
এরপরে যদি বলা হয় প্রক্যারিওটা বা আদিকোষী এসব অণুজীবদের কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত হয় না, তারাই এই প্রক্যারিওটা বা আদিকোষী হিসাবে গণ্য করা হয়। এই পর্বের অনুজীবদের সুগঠিত কেন্দ্রিকা না থাকায় এদের কোষকে আদিকোষ বলা হয়। প্রভাবিত করতে পারে। তাই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে আমরা বা মানব দের এত প্রাধান্য দিতে হয়। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে না রাখা যায় তাহলে এরা আমাদের মানব জীবনে ব্যাপক ধরনের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারবে। ভাইরাস রিগেটস ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া শৈবাল প্রোটোজোয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অণুজীব আমাদের পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরা অধিকাংশই আমাদের উপকার করে। তবে কিছু কিছু অনুজিব রয়েছে যারা আমাদের দেহের রোগ সৃষ্টি করে। এবার আমরা এই অণুজীবী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করব। ভাইরাস হলো ইলেকট্রনীয় অণুবীক্ষণীয় যন্ত্র ছাড়া এদেরকে দেখা যায় না।
এরা সরলতম জীব। ভাইরাসের দেহ কোষ প্রাচীর প্লাস মালেমা সুগঠিত নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই থাকে না। তাই ভাইরাস দেহকে অকর্ষীয় বলা হয়। এরা শুধুমাত্র আমিষ আবরণ এবং নিউক্লিড এসিড নিয়ে গঠিত হয়। ভাইরাসের গঠন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে কারণ এদের জিনোম সিকুয়েন্সি না যদি করা যায় তাহলে যে ধরনের রোগ সৃষ্টি হয় এসব রোগের প্রতিষেধক নির্ণয় করা যাবে না। তাই ভাইরাসকে আমরা যদি এর গঠন সম্পর্কে না জানি তাহলে এই সকল রোগ আমাদের মহামারী আকার ধারণ করতে পারবে। মানব জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে।
এই কারণে আমাদের অবশ্যই ভাইরাসের গঠন সম্পর্কে জানতে হবে। তবে এদের জিনোম সিকুয়েন্সি করতে পারবে বিজ্ঞানীরা। ভাইরাসের দেহ আমি আবরণ থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড বের হয়ে গেলে এরা জীবনের সকল লক্ষণ হারিয়ে ফেলে। তবে অন্য জীবদেহে যেইমাত্র আমি সাধারণ বা নিউক্লিক অ্যাসিডকে একত্র করা হয় তখনই এরা জীবনের সব লক্ষণ আবার ফিরে পায়। অর্থাৎ জীবিত জীব দেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাইরে এরা জীবনের কোন লক্ষণ দেখায় না। আর এই কারণে ভাইরাসকে আবার প্রকৃত পরজীবী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভাইরাসের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ও ফার্স্ট ভাইরাস একটি পরিচিত ভাইরাস। ব্যাকটেরিয়া ফাস্ট অর্থাৎ এই ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া কে নষ্ট করতে পারে এজন্য এর নাম দেওয়া হয়েছে ব্যাকটেরিয়া ফাস্ট ভাইরাস। ভাইরাস সাধারণত গোলাকার দণ্ডকার ব্যাঙ্গাচূর্ণ এবং পাউরুটির্ণয় হতে পারে।
ভাইরাস মানব দেহে বসন্ত হাম সর্দি ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। সম্প্রতি আমাদের পৃথিবীতে যে করোনা মহামারী দেখা দিয়েছে এই করোনা ও এক প্রকার ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। বসন্ত হাম সর্দি ইত্যাদি বায়ু বাহিত রোগ। বাতাসের মত মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় এই কারণে এটি অত্যন্ত বিপদজনক। ভাইরাসকে সরাতে বেশি সময় প্রয়োজন হয় না। ফসলের ক্ষেত্রেও এই ভাইরাস অত্যন্ত বিপদজনক রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন ধানের টুকরো এবং তামাকের মোজাক রোগ ভাইরাসের কারণেই হয়ে থাকে।