ভেক্টর রাশি কাকে বলে

এই জগতে যা কিছু আমরা পরিমাপ করতে পারি তাকে আমরা রাশি বলি। এই ফটো জগতে অসংখ্য বিষয় রয়েছে যা পরিমাপ করা সম্ভব। উদাহরণ দেওয়ার জন্য বলা যেতে পারে যে কোন কিছুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা আয়তন ওজন তাপমাত্রা রং কাঠিন্য তার অবস্থান বেগ তার ভেতরকার উপাদান বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অপরিবাহীতা স্থিতিস্থাপকতা তাপ পরিবাহিতা অপরিবাহীতা ঘনত্ব আপেক্ষিক তাপ চাপ গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক ইত্যাদি অনেক ধরনের জিনিসই আছে যেগুলি আমাদের পরিমাপ করতে হয়। অর্থাৎ আমরা বলে শেষ করতে পারবো না এত জিনিস রয়েছে যেগুলি আমাদের পরিমাপ করতে হয়। তাই আমাদের ভৌত জগতের যে সকল জিনিস পরিমাপ করতে পারি সেই পরিমাপ আবার বা পরিমাপ করার ধরনকে উপর নির্ভর করে এই রাশিগুলোকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায় অর্থাৎ এই ভৌত রাশিগুলোকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায় একটি স্কেলার রাশি অপরটি ভেক্টর রাশি।

যে ভৌত রাশি গুলি পরিমাপ করার জন্য এর মান এবং দিক উভয়েরই প্রয়োজন হয় সে ধরনের রাশি হল ভেক্টর রাশি । এবং যেগুলি বা যে ভৌত রাশি পরিমাপ করার জন্য শুধুমাত্র মানের প্রয়োজন হয় দিকের কোন প্রয়োজন হয় না তাকে স্কেলার রাশি বলা হয়। অর্থাৎ আরো ভালোভাবে বললে বলা যায় যে যে সব ভৌত রাশি কে অর্থপূর্ণভাবে বা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করার জন্য মান অধিক উভয়ের প্রয়োজন হয় সেসব রাশিকে ভেক্টর রাশি বলে। যেমন: সরণ ত্বরন বল ইত্যাদি কে ভেক্টর রাশি বলা হয়। এবং এই ভেক্টর রাশিকে প্রকাশ করার জন্য এই রাশির উপরে তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ কোন রাশির সংকেতের উপর তীর চিহ্ন দিয়ে নির্দেশ করা হয় ভেক্টর রাশি কে। ভেক্টর রাশি কতগুলো নিয়ম মেনে চলে।

এই নিয়মগুলি হলো-
ভেক্টর রাশির মান এবং দিক উভয় রয়েছে।
দুই বা তার বেশি অর্থাৎ দুই বা ততোধিক সমজাতীয় ভেক্টর কে যোগ করা যায়। ভিন্ন প্রকৃতির রাশিকে যোগ করা যায় না। দই বা প্রাথমিক ভেক্টর রাশিকে যোগ করলে যে সেক্টর পাওয়া যায় তা প্রথম অক্ষর ভেক্টর রাশির গতির সম্মিলিত ক্রিয়ার ফলাফলের সমান হয়।
দুটি ভেক্টরের ভেক্টর রাশি গুন ফল একটি ভেক্টর রাশি হয়ে থাকে।
দুটি স্কেলার রাশির গুণফল একটি স্কেলার রাশি হয়।

কোন ভেক্টর রাশি তার মানের অনুপাত দ্বারা ভেক্টর টি দিক নির্দেশিত হয়। ভেক্টর রাশি যোগ সংযোজন ও বন্টন সূত্র মেনে চলে। ভেক্টর রাশি কে উপাংশে বিভক্ত করা যায়। তাই অসংখ্য এই রাশিমালা পরিমাপ করার জন্য আমাদের অসংখ্য রাশির সংজ্ঞা আর অসংখ্য একক তৈরি রাখতে হবে আসলে এই কথাটি সত্য নয় মাত্র সাতটি রাশির সাতটি একক ঠিক করে নিলেই এই সাতটি একক ব্যবহার করে আমরা সবকিছু বের করে ফেলতে পারব। এই সাতটি রাশিকেই বলে মৌলিক রাশি এবং মৌলিক রাশি ব্যবহার করে যখন অন্য কোন রাশি প্রকাশ করি সেটিই হচ্ছে লব্ধ রাশি। মৌলিক রাশি গুলো হচ্ছে দৈর্ঘ্য ভর সময় বৈদ্যুতিক প্রবাহ তাপমাত্রা পদার্থের পরিমাপ এবং দীপন তীব্রতা।

এই সাতটি মৌলিক রাশির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাতটি এককে বলে এসআই একক। এসআই অর্থ সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল ডি ইউনিটস। তাই দেখা গেল যে এই ভৌত জগতের ভৌত রাশি দুটি ভাগে বিভক্ত হয় একটি মৌলিক রাশি অপরটিভ লব্ধ রাশি। আবার আরেকটিভাবেও এদেরকে ভাগ করা যায় একটি হল স্কেলার রাশি অপরটি ভেক্টর রাশি। আজকে আমরা এই ভৌত জগতের ভেক্টর রাশি সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য অবগত হলাম।

এই ভৌত জগতের রাশিগুলি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য গ্রহণ করলাম। এবং দেখে নিলাম কোনটি কোন রাশি এবং কোন রাশি কে কিভাবে প্রকাশ করা হয়। তাই রাশিগুলো বিভিন্ন বা ভিন্নতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ দেখছিলাম তাহলে এখন দেখা যাক যে ভেক্টর রাশি কাকে বলে?
ভেক্টর রাশি: যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায় না, সাথে দিকও নির্দেশ করার প্রয়োজন হয় তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *