রম্বস কাকে বলে

আমরা জানি তিনটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্রকে একটি ত্রিভুজ বলে। রেখাংশগুলোকে ত্রিভুজের বাহু বলা হয়ে থাকে। যেকোনো দুটি বাহু সাধারণ বিন্দুকে আবার শীর্ষবিন্দু বলা হয়ে থাকে। আবার চারটি বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে চতুর্ভুজ বলা হয়। অর্থাৎ চার বাহূর দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে চতুর্ভুজ বলা হয় বিভিন্ন ধরনের চতুর্ভুজ আমাদের জ্যামিতিতে রয়েছে। এগুলির মধ্যে হলো বর্গক্ষেত্র আয়তক্ষেত্র সামান্তরিক রম্বস ট্রাপিজিয়াম ঘুড়ি ইত্যাদি। পৃথিবীতে জ্যামিতির আবিষ্কার হয় প্রাচীনকালেই। অর্থাৎ প্রাচীনকাল থেকেই জ্যামিতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে ঐতিহাসিকদের মত। অর্থাৎ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন গুলোতে জ্যামিতির চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায় । প্রাচীন মিশর ব্যাবিলন ভারত চীন ও ইনকা সভ্যতার বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজে জ্যামিতির প্রয়োগের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।

পাক-ভারত উপমহাদেশে সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতাতেও জ্যামিতির বহুল ব্যবহার ছিল। এই সভ্যতা গুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তাদের শহরের নকশাগুলি অবশ্যই জ্যামিতিক চিত্র মান্য করে তৈরি করা হয়েছিল। অর্থাৎ এই নকশাগুলি বিশ্লেষণ করে এটি বোঝা যায় যে তারা জ্যামিতি সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা থাকার কারণেই এই ধরনের নকশা তৈরি করতে পেরেছে। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর খননে দেখা যায় সেখানে সুপরিচিত পরিকল্পিতভাবে নগরীর অস্তিত্বের প্রমাণ মিলে। বৈদিক যুগেও বেবি তৈরি করতে নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকার এবং ক্ষেত্রফল মেনে চলা হত তাই এগুলো প্রধানত ত্রিভু চতুর্ভুজ এবং ট্রাপিজিয়াম আকারের হওয়ার কারণে তাদের মধ্যেও জ্যামিতিক জ্ঞান থাকার কথায় প্রমাণিত হয়। তবে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার যুগেই জ্যামিতির প্রণালীবদ্ধ রূপটি আমরা সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাই। গ্রিক গণিতবিদ থেলিস প্রথম জ্যামিতিক প্রমাণের কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাকে। তিনি যুক্তিমূলক প্রমাণ করে দেন যে ব্যয় দ্বারা বৃত্ত দ্বি বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে তাঁরই শিষ্য পিথাগোরাস জ্যামিতিক তত্ত্বের বিস্তৃতি ঘটান।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ শিক্ষা চিকিৎসা স্বাস্থ্য পুষ্টি বিজ্ঞান যে ধরনের তথ্য আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হয়ে থাকে এ সকল ধরনের তথ্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করে থাকি। ভাই আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন।

যেহেতু প্রাচীন যুগ ছিল কৃষিভিত্তিক সভ্যতার যুগ তাই সেসময় অবশ্যই ভূমির পরিমাপের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আর এই ভূমির পরিমাপ থেকেই জ্যামিতি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে বলে সকলেই ধারণা করে থাকেন। তবে জ্যামিতি আজকাল কেবল ভূমি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয় না বরং বহু জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রেও এই জ্যামিতিক জ্ঞান কাজে লাগাতে হয়। বা কাজে লাগিয়ে সেটির সমাধান করা হয়। যেকোনো গাণিতিক তত্ত্বে কতিপয় প্রাথমিক ধারনা সংজ্ঞা এবং শিকাদের উপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে ওই তথ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন উক্তি যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করা হয়। এর ওপর থেকে সাধারণত প্রতিজ্ঞা বলা হয়ে থাকে। প্রতিজ্ঞা যৌক্তিকতা ভ্রমণের জন্য যুক্তিবিদ্যার কিছু নিয়ম প্রয়োগ করা হয়। যেমন: আরোহ পদ্ধতি, অবরোহ পদ্ধতি, বিরোধ পদ্ধতি।

বিরোধ পদ্ধতি: দার্শনিক এরিস্টটল যুক্তিমূলক প্রমাণের এই পদ্ধতিটির সূচনা করেন। এ পদ্ধতির ভিত্তি হল:
১. একই গুনকে একই সময়ে স্বীকার ও অস্বীকার করা যায় না।
২. একই জিনিসের দুইটি পরস্পর বিরোধী গুণ থাকতে পারে না.
৩. যা পরস্পর বিরোধী তা অচিন্ত্যনীয়। এবং
৪. কোন বস্তু এক সময়ে যে গুণের অধিকারী হয়, সেই বস্তু সেই একই সময়ে সেই গুণের অনধিকারী হতে পারে না।
তাহলে দেখা যাক রম্বস কাকে বলে?
রম্বস: রম্বস এমন একটি সামান্তরিক যার সন্নিহিত বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য সমান হয়ে থাকে। অর্থাৎ রম্বসের বিপরীত বাহুগুলো সমান্তরাল এবং চারটি বাহু সমান হয়ে থাকে। রম্বসের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্র ক্রয়ই রম্বস ক্ষেত্র বলে। অন্যভাবে বললে বলা যায় যে, সামান্তরিকের শীর্ষ দামী বাসুদয় যদি সমান হয় এবং যদি একটি কোন সমান না হয়ে থাকে তবে তাকে রম্বস বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *