ক্যাটায়ন কাকে বলে

আমরা জানি সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতটি ধনাত্মক আধান বা পজেটিভ সার্চ বিশিষ্ট প্রোটন থাকে এবং নিউক্লিয়াসের বাহিরে বিভিন্ন শক্তি স্তরে ঠিক ততটি ধনাত্মক আধান বা নেগেটিভ চার্জ বিশিষ্ট ইলেকট্রন থেকে থাকে। অর্থাৎ দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যদি হাইড্রোজেন অনুগঠন করে অনুরূপভাবে হাইড্রোজেন এবং ক্লোরিন পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গঠন করবে। ভেতরে এবং বাহিরে একই চার্জ বিশিষ্ট সময় সংখ্যক ইলেকট্রন থাকার কারণে পরমাণুটি সামগ্রিকভাবে আধান বা চার্জ নিরপেক্ষ হয়। এরকম একটি আধার নিরপেক্ষ পরমাণুর বাইরে শক্তি স্তর থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন কে সরিয়ে নিলে পরমানুটি আর আধান নিরপেক্ষ থাকে না। আধান নিরপেক্ষ থাকলে একটি তেমনভাবে কাজ করবে না তাই আধা নিরপেক্ষ না থাকায় আমাদের জন্য প্রয়োজন। এটি সামগ্রিকভাবে ধনাত্ম্য প্রধান বিশিষ্ট আয়নে পরিণত হবে। ধনাত্মক আধান বাপ পজিটিভ সার্চ বিশিষ্ট এরূপ আইনকে ক্যাটাল বলে থাকে।

সাধারণত পর্যায় সারণির বামের মৌলবাদ ধাতু গুলো তাদের সর্বশেষ শক্ত স্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন যদি ত্যাগ করে তাহলে তারা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের মাধ্যমে এই ক্যাটায়নের সৃষ্টি করে থাকে। যেমন লিখে আম পরমাণু তার সর্বশেষ শক্ত স্তরের একটি ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়ে নিষ্ক্রিয় গ্যাস হিসেবে হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে থাকে। এই হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের মাধ্যমে লিথিয়াম ক্যাটাগান তৈরি করে থাকে। এরকমভাবে সোডিয়াম পরমাণু তার সর্বশেষ শক্তিশ্তরের একটি লেট্রন ত্যাগ করে নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের মাধ্যমে সে সোডিয়াম ক্যাটায়ন তৈরি করে।

এইভাবে রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে থাকে।অর্থাৎ অণুতে পরমাণু সমূহ যে আকর্ষণের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে তাকেই আমরা রাসায়নিক বন্ধন বলে থাকব। আমরা এর মাঝে বা এতক্ষণে জেনে গেছি যে প্রত্যেক মৌলই তার সর্বশেষ শক্ত স্তরে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের চেষ্টা করে থাকে। একই মৌলের ভাব ভিন্নমূলের দুইটি পরমাণু যখন কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তারা তাদের সর্বশেষ শক্তিশালী ইলেকট্রন গ্রহন অথবা বর্জন অথবা ভাগাভাগির মাধ্যমে তারা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে থাকে। থেকে আমরা বলতে পারি ধাতুসমূহ কেন তাদের সর্বশ্বাস শক্তি স্তরের ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়ে তৈরি করে। আমরা জানি পর্যায় সারণির যেকোনো একটি পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে মৌলসমূহ ধাতক ধর্ম ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং অধাতব ধর্ম বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ যে কোন পর্যায়ে বামের মৌলসমূহ হলো ধাতু এবং ধানের মৌল সমূহ হলো অধাতু। আবার এই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে মৌলসমূহ আবারো ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।

এই কারণে একই পর্যায়ে অবস্থিত অন্য মূল্যসমূহ চেয়ে ধাতুগুলোর আকার বড় হয়ে থাকে। আবার ধাতুগুলো সর্বশেষ শক্ত স্তরে সাধারণত ১২ বা তিনটি ইলেকট্রন থাকে। আর এই আকার বড় হওয়ার কারণেই ধাতুগুলো সর্বশেষ শক্ত স্তরের ইলেকট্রন গুলোর নিউক্লিয়াস থেকে দূরে থাকে এবং নিউক্লিয়াসের সাথে আকর্ষণ কম হয় অর্থাৎ দুর্বলভাবে আবদ্ধ থাকে। ফলে এই ইলেকট্রন গুলিকে তারা ছেড়ে দেয়। এই কারণে বিভিন্ন তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্যাদি আমরা প্রকাশ করে থাকি। শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রশ্নের উত্তরই আমরা প্রকাশ করে থাকি। যে কোন শ্রেণীর যে কোন প্রশ্নই আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এসে দেখে নিতে পারবেন।

তাই আপনাদের যদি কারো নট বা গাইড বাসায় নাও থাকে তাতেও কোন অসুবিধা নেই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এসে আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবেন খুব সহজভাবেই। তাই আজকে আমরা দেখব যে ক্যাটায়ন কাকে বলে। এতক্ষন আমরা ক্যাটায়ন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম তাতেই আপনারা কম বেশি বুঝিয়ে নিয়েছেন যে ক্যাটায়ন কি এবং ক্যাটায়ন কাকে বলে?
ক্যাটায়ন:ধাতু সমূহ তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন অপসারণ করে যে আয়নে পরিণত হয় তাকে ক্যাটায়ন বলে। ক্যাটায়নে প্রোটনের তুলানায় ইলেকট্রন কম থাকায় এর আধান (চার্জ) ধনাত্মক(+) বা positive.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *