সুষম খাদ্য কাকে বলে

খাদ্য মানুষের জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়। বেঁচে থাকার জন্য সকল প্রাণীকেই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। তবে মানুষ, একমাত্র মানুষই বিচিত্র ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। মানুষ ভালো-মন্দ এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর সব ধরনের খাদ্যই তারা খেয়ে থাকে। যদিও সে বুঝে যে এই খাবার খেলে তার জীবনের ঝুঁকি আছে তবুও মানুষ যেহেতু বিচিত্র প্রাণী তাই তার খাবারের মধ্যেও বিচিত্রতা লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীর সকল এলাকার একই ধরনের একই জাতের প্রাণী একই রকম খাদ্য গ্রহণ করে শুধুমাত্র মানুষই বিভিন্ন এলাকার অঞ্চলের দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ বিভিন্ন ধরনের খাবার খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তবেই খাদ্য বা খাদ্য কনা গুলো র পুষ্টিমান বিচার করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে বলা হয়ে থাকে। তাই মানুষকে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

মানুষের বয়স ও কাজ অনুযায়ী খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদার পরিমাণে কম-বেশি হয়ে থাকে। তাই আমাদের জানতে হবে একজন পূর্ণবয়স্ক বা একজন কিশোর একজন বালক বা একজন বৃদ্ধ মানুষের জন্য বয়স অনুযায়ী খাদ্যের কেমন ধরনের প্রয়োজনীয়তা আছে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও সফল থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন রয়েছে শরীরে।প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং সহজেই আমরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বো এই কারণে সুষম খাদ্য আমাদের অত্যন্ত জরুরি। শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় সুষম খাদ্যের অভাবে।অসুস্থ জনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আবার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলেও ওজন জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের বয়স ও কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তবে যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে তাদের বেশি খাদ্যের প্রয়োজন হবে তা তাদের বেশি খাদ্য খাওয়া অবশ্যই উচিত।

সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করাকেই বুঝে থাকি আমরা। সকল ধরনের বয়সীদের কারো জন্য আমরা কি ধরনের খাবার গ্রহণ করব বা সব ধরনের খাবারই কত গ্রাম করে খেতে হবে সেটির একটি পরিমাপ রয়েছে সেই পরিমাপ অনুযায়ী খাদ্য খাওয়াটাই আসলে সুষম খাদ্য খাওয়া বোঝায়। আমরা বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের খাবার বাজারে খেয়ে থাকি ফাস্টফুডের খাবার বা অন্য যেকোনো রেস্তারায় হোটেল ইত্যাদি দেখিয়ে থাকি সেই খাবার গুলোর মান সম্পর্কিত কোনো যাচাই-বাছাই থাকে না আমরা সেই খাদ্যগুলো গ্রহণ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগাক্রান্তে আক্রান্ত হতে পারি। তাই আমাদের উচিত হবে সব সময় খাবারের মানদন্ড জেনে খাবার গুলো গ্রহণ করা। বর্তমানে বাজারে খাবার কে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম রঙ আমরা খাবারে মিশে থাকি। এই খাবার গুলি খাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।

তাই আমাদের উচিত হবে এ সকল মনোমুগ্ধকর বা আকর্ষণীয় খাবার গুলোর গুণমান বিচার করে বাদ জেনে জানার পরই এগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা। আমাদের দেখাতে হবে সুষম খাদ্য কাকে বলে।
সুষম খাদ্য: যে সকল খাদ্যের মধ্যে সকল ধরনের খাদ্য উপাদান সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলা হয়। অর্থাৎ যে খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান গুলি যেমন কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল ইত্যাদি খাদ্য উপাদান গুলি যথেষ্ট পরিমাণে থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলা হয়ে থাকে।
এই সুষম খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য বা শরীর গঠনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরের ঠিকমতো গঠন প্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। যে ধরনের খাদ্য গুলি শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলে অথবা বিভিন্ন রোগ ব্যাধির আগমন ঘটায় সে ধরনের খাদ্য খাওয়া বা পান করা আমাদের উচিত নয়। আবার বাজারের রং মেশানো জাঙ্ক ফুড গুলোও আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *