গণিতের যাবতীয় সংখ্যা শেখার জন্য যেসব প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকেই অংক বলে। গণিতের মোট ১০ টি অংক রয়েছে এগুলি হল যথাক্রমে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮, এবং ৯ । এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অংক এবং শেষেরটিকে শূন্য (০কে আবার সংখ্যার অভাব ব্যাপক অংক বলা হয়) বলা হয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা নিয়ে কাজ করতে হয়। সংখ্যাগুলিকে ঠিকমতো না জানলে বা ভালোভাবে না বুঝতে পারলে আমরা গণিত শিখতে পারবো না। তাই গণিত শেখার প্রয়োজনীয়তার দিক থেকেই সংখ্যাগুলিকে আমাদের ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে শিখে নিতে হবে। বিভিন্ন সংখ্যা গুলির মধ্যে আছে মূলদ সংখ্যা অমূলদ সংখ্যা বাস্তব সংখ্যা অবাস্তব সংখ্যা পূর্ণ সংখ্যা ধনাত্মক সংখ্যা ঋণাত্মক সংখ্যা অরিনাত্মক সংখ্যা মৌলিক সংখ্যা যৌগিক সংখ্যা ইত্যাদি।
তাহলে আমরা বলতে পারি সংখ্যার শ্রেণীবিন্যাস টা কেমন হতে পারে। নিচে আপনাদের অবগতির জন্য আমরা সংখ্যার শ্রেণীবিন্যাস টা দেখিয়ে দিচ্ছি। সংখ্যা প্রধানত দুই প্রকার একটি বাস্তব সংখ্যা অপরটি অবাস্তব সংখ্যা। বাস্তব সংখ্যা দুই প্রকার একটি মূলদ সংখ্যা অপরটি অমূলদ সংখ্যা। মূলদ সংখ্যা দুই প্রকারের একটি পূর্ণ সংখ্যা আরেকটি ভগ্নাংশ সংখ্যা। অমূলদ সংখ্যা অসীম অনাবৃত দশমিক সংখ্যা হয়। পূর্ণ সংখ্যা তিন ধরনের হয় ধনাত্মক ঋণাত্মক এবং অভাব জ্ঞাপক অর্থাৎ শূন্য। ভগ্নাংশ সংখ্যা দুই ধরনের হয় একটি সাধারণ ভগ্নাংশ সংখ্যা আরেকটি দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা। ধনাত্মক সংখ্যা তিন ধরনের হয় একটি মৌলিক ধনাত্মক সংখ্যা আরেকটি অমৌলিক ধনাত্মক সংখ্যা এবং এক যেটি মৌলিক এবং অমৌলিক কোনোটাই নয় অর্থাৎ এক হচ্ছে সাধারণ সংখ্যা। সাধারণ ভগ্নাংশ সংখ্যা দুই ধরনের, একটি প্রকৃত সাধারণ ভগ্নাংশ, আরেকটি অপ্রকৃত সাধারণ ভগ্নাংশ, তবে অপ্রকৃত সাধারণ ভগ্নাংশকে আবার মিশ্র সাধারণ ভগ্নাংশ বলা হয়ে থাকে।
দশমিক ভগ্নাংশ দুই ধরনের একটি সসীম দশমিক ভগ্নাংশ আরেকটি অসীম আবৃত দশমিক ভগ্নাংশ বলা হয়ে থাকে। যে সমস্ত সংখ্যাকে দুইটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত a/b হিসেবে লেখা যায় তাকে মূলদ সংখ্যা বলে। যে সকল সংখ্যাকে a/bআকারের ভগ্নাংশ রূপে প্রকাশ করা যায় না সেগুলো অমূলদ সংখ্যা। সকল মূলদ সংখ্যা এবং অমূলদ সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলা হয়। আবার ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে অবাস্তব সংখ্যা বলে। শূন্য সহ সকল ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অখন্ড সংখ্যাকে পূর্ণ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। শূন্য অপেক্ষা বড় সকল বাস্তব সংখ্যা কে ধনাত্মক সংখ্যা বলা হয়। আবার শূন্য অপেক্ষা ছোট সকল বাস্তব সংখ্যাকে ঋণাত্মক সংখ্যা বলা হয়। শূন্য সহ সকল ধনাত্মক সংখ্যাকে অর্নাতক সংখ্যা বলা হয়। এতসব সংখ্যার বর্ণনার পরেও আরো কিছু সংখ্যা থেকে যায় সেই সংখ্যাগুলো আমাদের এখন জানতে হবে।
অর্থাৎ আমাদের জানতে হবে মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে। আগে আমরা দেখি যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে। যেসব সংখ্যা এক এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য সংখ্যা দাঁড়াও নিঃশেষে বিভাজ্য হয় সেইসব সংখ্যাকে যৌগিক সংখ্যা বলে। যৌগিক সংখ্যার উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ৬,১৫,৩০ ইত্যাদি। তাহলে চলুন দেখা যাক এবার মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে।
মৌলিক সংখ্যা: যেসব সংখ্যা এক এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোন সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য নয় সেসব সংখ্যাকে মৌলিক সংখ্যা বলে।
আমরা এখানে এক হতে ১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা গুলি কি সেগুলি দেখতে পারি। এক হতে ১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা গুলি হল-২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩,২৯,৩১,৩৭,৪১,৪৩,৪৭,৫৩,৫৯,৬১,৬৭,৭৯,৭১,৭৩,৭৯,৮৩,৮৯,৯৩,৯৭ । আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সংস্কৃতি বিষয়ক চিকিৎসা বিজ্ঞান দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন পড়ে এ ধরনের সকল বিষয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। তাহলে আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য গুলি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।