সংখ্যা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে এই বিভিন্ন ধরনের সংখ্যার মধ্যে আজকে দেখাতে হবে আমাদের সহমৌলিক সংখ্যা কাকে বলে। তাহলে সংখ্যার বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে আমরা আগে জেনে নিতে পারি। প্রথমেই আমরা আগে দেখি মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে।
মৌলিক সংখ্যা: যেসব সংখ্যা এক এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোন সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য নয় সেসব সংখ্যাকে মৌলিক সংখ্যা বলে। মৌলিক সংখ্যার উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি ২,৩, ৫,৭ এই সংখ্যাগুলির এক এবং সেই সংখ্যা ছাড়া এদের অন্য কোন উৎপাদক নেই অর্থাৎ এক এবং পরিসংখ্যার ছাড়া এদেরকে ভাগ করা যায় না তাই এই ধরনের সংখ্যাগুলি হল মৌলিক সংখ্যা।
যৌগিক সংখ্যা: যেসব সংখ্যা এক এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য সংখ্যা দাঁড়াও নিঃশেষে বিভাজ্য হয় সেইসব সংখ্যাকে ই যৌগিক সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। যৌগিক সংখ্যার উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখাতে পারি-৪,৬,৯,১৫ ইত্যাদি সংখ্যাগুলি ১ছাড়াও অন্যান্য সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য হয়ে থাকে তাই এই সংখ্যাগুলিকেই যৌগিক সংখ্যা বলা হয়।
এছাড়াও আমরা আরও সংখ্যা দেখতে পাই সেগুলি হল বাস্তব সংখ্যা ভগ্নাংশ সংখ্যা সাধারণ সংখ্যা ঋণাত্মক সংখ্যা ধনাত্মক সংখ্যা ইত্যাদি। তবে এই সংখ্যা কবে থেকে শুরু হয়েছিল এটা বলা খুবই মুশকিল। তবে ধারণা করা হয় যে মানব সভ্যতার একদম শুরুর দিকেই সংখ্যা গণনা করার রীতি প্রচলিত হয়। তবে এই সংখ্যায় যে প্রাচীনকালের একই রূপ সংখ্যা ছিল সে রকম ধরনের কিন্তু নয়। বিভিন্ন দলের বা গোষ্ঠীর নিজেদের মধ্যে কিছু সংখ্যা আদান-প্রদান করার জন্য তারা কিছু প্রতীক ব্যবহার করে করে থাকতো।
তবে পরবর্তীতে সেই প্রতীক চিহ্ন গুলির সংমিশ্রণে বা বিভিন্ন দলের উপদলের গোষ্ঠী গোষ্ঠীর মিথস্ক্রিয়ায় সংখ্যার উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রাচীন সভ্যতাগুলি বিচার বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায় যে সেই সময় তারা সংখ্যার ব্যবহার গুলি শিখেছিল বা খুব ভালোভাবেই তারা সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন খেলা বিভিন্ন গণিত ইত্যাদি করতে হতো তাদের। তাই আমরা একথা বলতে পারি যে মানব সভ্যতার শুরুতেই মানুষ তার দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্যই গণনার প্রয়োজন অনুভব করেছিল। প্রথম অবস্থায় বিভিন্ন প্রতীক বাকারের একই প্রকার বস্তু বা কাঠি এবং মাটিতে বিভিন্ন পাথরের দাগ দিয়ে প্রাণী বা বস্তুর হিসাব রাখতে বলে মনে করা হয়। কিন্তু সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে বেশি সংখ্যক প্রাণী বা দ্রব্যের হিসাব রাখার জন্য অন্য ধরনের প্রতীক বা সংখ্যার তাদের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই প্রয়োজন থেকে গণনা রোজা জন্ম হয় এবং ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হয় এখন এখনকার ব্যবহৃত সংখ্যা প্রতীকের।
আর পরবর্তীতে বিভিন্ন অংক বিদের হাত ধরে বর্তমান বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতীয় বিজ্ঞানী গণিতবিদ আর্যভট্ট দশমিক সংখ্যা এবং শূন্য আবিষ্কার করার ফলে গণিতের অভাবনীয় পরিবর্তন দেখা যায়। এরই হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গণিতবিদ এখান থেকে গণিতকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। গণিতের এই অবস্থায় আসতে চেনা বিজ্ঞানীদের ও অনেক অবদান রয়েছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে যেতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটে আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য পত্র আমরা প্রকাশ করে থাকি। যে সকল তথ্য ও পাত্র আপনার ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন সেগুলি আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আবার ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন চার্জও প্রযোজ্য হয় না। সংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমরা আমাদের এই লেখায় দেখতে পেলাম। তাহলে এখন আমরা সহমৌলিক সংখ্যা কাকে বলে সে বিষয়ে জানতে পারি। তাহলে চলুন দেখা যাক সহমৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?
সহমৌলিক সংখ্যা: দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়ক শুধু ১ হলে সংখ্যাগুলো পরস্পর সহ মৌলিক হয়।