কোষ কাকে বলে Class 6, 7, 9

জীব মানেই তাদের কোষ আছে। এককোষীদের থেকে শুরু করে বহু কোষী জীব আমাদের আশেপাশে অসংখ্য দেখতে পাওয়া যায় বা অবস্থান আছে তাদের। কোষের বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদ বা প্রাণীর বৃদ্ধি ঘটে থাকে। অর্থাৎ ইটের পর ইট সাজিয়ে যেমন একটি বৃহৎ অট্টালিকা তৈরি হয় তেমনি ভাবে ক্ষুদ্র সরিষা দানার থেকেও ছোট একটি বীজ থেকে বিশালাকার বটবৃক্ষ তৈরি হয়। তাহলে অবশ্যই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে আমরা যখন ছোট্ট একটি ভুল থেকে এত বড় বৃহৎ ব্যক্তি হয়েছি আবার ক্ষুদ্র একটা চারা গাছ থেকে কিভাবে এত বড় একটা গাছ তৈরি হয়ে গেল এ সকল কিছুই আমাদের মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগে থাকে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে কোষ কাকে বলে।

প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে তৈরি হয়। একটি মাত্র কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়। কিন্তু এই একটি কোষ সারা জীবন একটাই থাকবে এমনটি নয়। কারণ কোষ বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি জীবদেহের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোন কোন জীবদেহ একটিমাত্র পোস্ট দিয়ে গঠিত হয় এদেরকে আবার বলা হয় এককোষী জীব যেমন ব্যাকটেরিয়া অ্যামিবা প্লাসমোডিয়াম ইত্যাদি এককোষী জীব। এককোষী জীব বিভাজনের মাধ্যমেই একটি থেকে অসংখ্য এককোষী জীব উৎপন্ন করে।

আবার অনেকদিন একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত। এদের বলা হয় বহু কোষী জীব। মানুষ বটগাছ তিমি মাছ ইত্যাদি জীব কোটি কোটি কোষ দিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। বিশাল দেহী একটি বট গাছের সূচনা ঘটে একটি মাত্র কোষ দিয়েই। তাই জীবের উৎপত্তিতে বা জীবের বহিঃপ্রকাশে বা জীবের বৃদ্ধিতে কোষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোষের বিভাজনকে জীবের জীবনে একটি বড় ভূমিকা। জীব যেহেতু ছোট থেকে বড় হয় তাই অবশ্যই জীবের কোষের বিভাজন ঘটে থাকে। কোষ বিভাজন কয়েকটি ধাপে হয়ে থাকে এই ধাপ গুলি হল- মাইটোসিস কোষ বিভাজন, মিয়োসিস কোষ বিভাজন। মাইটোসিয়েস কোষ বিভাজন একটি অবিচ্ছিন্ন বা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই বিভাজনে প্রথমে ক্যারিওকাইনেসিস অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটে এবং পরবর্তীকালে সাইটোকাইনেসিস অর্থাৎ সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে। বিভাজন শুরুর আগে কোষের নিউক্লিয়াসের কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়।

এ অবস্থাকে ইন্টারফেজ পর্যায়ে বলে থাকে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের এই পর্যায়ে গুলি হচ্ছে প্রফেজ, প্র-মেটাফেজ, মেটাফেজ, আনাফেজ এবং টেলোফেজ দশা। এই মাইটোসিস কোষ বিভাজনের অনেক গুরুত্ব আছে জীবজগতে, কারণ এই মাইটোসিস কোষ বিভাজন যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অস্বাভাবিকভাবে কোষ বিভাজন চলতে থাকে। এর ফলে টিউমার সৃষ্টি হয় এবং প্রাণঘাতী টিউমারকে ক্যান্সার বলে। মিয়োসিস করবিভাজন হল একচক্রে নিউক্লিয়াস দুইবার বিভাজিত হয়। প্রথমবারের নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যায় অর্ধেক হয়ে যায়। এই বিভাজনে মাতৃ কোষের যে দুইটি নিউক্লিয়াস পাওয়া যায় দ্বিতীয়বার তার প্রতিটি আবার দুটি কোষে বিভাজিত হয়। এবার অবশ্য ক্রোমোজোমের সংখ্যা এবং পরিমাণ সমান থাকে।

তাই সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ফল হল মিয়োসিস কোষ বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ পাওয়া যায় সেগুলোর প্রতিটি মাতৃকোষের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম ধারণ করে। তাই মিয়োসিসের আরেক নাম হ্রাসমূলক বিভাজন। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে যদি খোঁজেন তাহলে অবশ্যই পাবেন বলে আমরা আশা রাখি। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বা প্রশ্নের উত্তরগুলি অত্যন্ত সহজ-সরল নির্ভুল ভাষায় প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই আপনাদের জন্য আমাদের প্রকাশ কৃত তথ্য অত্যন্ত বোধগম্য হবে।

তাহলে চলুন দেখা যাক কোষ কাকে বলে?
কোষ: জীবদেহের গঠন বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ও বংশগতি মূলক তথ্য বহনকারী একককেই কোষ বলা হয়ে থাকে। কোষ কে জীবের ক্ষুদ্রতম একক ও বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি কোষকে পৃথকভাবে জীবিত বলা যেতে পারে। এজন্যই একে জীবের নির্মাণ একক বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *