ওয়ালাইকুম আসসালাম ইংরেজি বানান

মুসলমান জাতি একে অপরের সাথে দেখা হলে সালাম জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করে। সালাম জানানো যেমন একটি নেকির কাজ তেমনি ভাবে ভদ্রতার মধ্যেও পড়ে। তাই মুসলমান মানুষ একে অপরের সাথে দেখা হলে সালাম জানিয়ে কথা শুরু করে। এটা খুবই ভালো অভ্যাস। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে সালামের অর্থ অনেকে জানে না বা সালামের বানান লিখতে ভুল করে। ভুলভাবে যদি উচ্চারণ করা যায় বা ভুল বানান লেখা হয় তাহলে সালামের অর্থের অন্য মানে আসতে পারে।

আরবি কথাগুলো যদি সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে না পারা যায় তাহলে সেগুলোর মানে বিকৃত হয়ে যায়। আর সেগুলোর মানে অন্যরকম দেখায়। তাই অবশ্যই আরবি বিভিন্ন জিনিস উচ্চারণ করা বা লেখার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। আর সঠিকভাবে লিখতে হবে। আর উচ্চারণ করতে হবে। তাহলে সেগুলোর অর্থ ঠিক থাকবে এবং তার ফলে নেকিও পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি ভুল ভাবে উচ্চারণ করা যায় বা ভুলভাবে লেখা যায় তাহলে সেগুলোর অর্থ ভুল হয়ে বিকৃত মানে আসবে। সেগুলোর ফলে নেকি পাওয়া যাবে না বরং পাপ হতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদেরকে আরবির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে।

আসসালামু আলাইকুম শব্দের অর্থ হচ্ছে আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। মুসলমান জাতির মধ্যে একটি খুবই প্রচলিত একটি কথা। কারণ তারা একে অপরের সাথে যখনই দেখা হোক, যেখানে দেখা হোক, ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিয়ে থাকে। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী যে ব্যক্তি আগে সালাম দেয় সে ব্যক্তি অনেক বেশি নেকি পায় এবং যে ব্যক্তি শুদ্ধভাবে সালামের উত্তর নেয় সেই ব্যক্তি ও নেকি লাভ করে। তাই ছোট-বড় নির্বিশেষে সবাইকে সালাম দেওয়া দরকার এবং সালামের উত্তর নেওয়া দরকার। মুসলমান জাতিরা এরকমটাই করে। কিন্তু এই সালামটি শিখতে হবে খুবই শুদ্ধ এবং সুন্দরভাবে। কারন শুদ্ধভাবে না শিখলে সালামের অর্থের পরিবর্তন হয়ে যাবে। আর এই সুন্দর একটি অর্থের পরিবর্তন হয়ে বিকৃত অর্থ দাঁড়াবে। যার ফলে নেকির বদলে পাপ অর্জিত হতে পারে।

মুসলমানেরা ছোটবেলা থেকে তাদের বাচ্চাদেরকে ভদ্রতা শিখায়। আর ভদ্রতার একটি অংশ হিসেবে শেখায় বড়দেরকে সালাম দেওয়া। তবে বড়দেরকে সালাম দিতে হবে এমন কোন নিয়ম নাই। ছোট-বড় নির্বিশেষে একে অপরকে সবাই সালাম দিতে পারে। আবার শুধু নারী পুরুষকে সালাম দিবে বা পুরুষ নারীকে সালাম দিবে এমন কোন বিধানও নেই। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সবাইকে সালাম দিতে পারবে এবং এটি একটি খুবই ভালো কাজ। আমাদের বাসায় যেমন সালাম দেওয়া শেখানো হয়। বাচ্চাদেরকে সালামের উত্তর নেওয়া শেখানো হয়। তাছাড়া স্কুলগুলোতেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের কে সালাম দেওয়া এবং সালাম দেওয়া শিখায় সেই সাথে সাথে শুদ্ধ উচ্চারণে শেখানোটা জরুরী। কারণ শুদ্ধভাবে যদি না শিখানো হয় তাহলে বাচ্চারা ভুল শিখে থাকে। আর ওই ভুল শিখার মধ্যে পাপ হতে পারে। তাই অবশ্যই বিশেষ করে ইসলামিক কোনো বিধান শিখতে হলে বা সালাম দেওয়া বা নেওয়া শিখতে হলে আমাদেরকে বিশেষভাবে সজাগ থাকতে হবে আর শুদ্ধভাবে তা শিখতে হবে।

আর আরবি নামের ইংরেজি বানান গুলো লিখতে হলে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল লিখি। কিন্তু আরবি নামের ইংরেজি বানানগুলোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর ভুল বানানগুলো পরিহার করতে হবে। যদি ভুল পরিহার না করা যায় তাহলে তো ভুলে থেকে যেতে পারে। তাই যেকোন আরবি কথা বা বিষয়ে যদি ইংরেজিতে লেখা যায় তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ একটি অক্ষর বা ওয়ার্ডের ভুলের কারণেও তার মানে অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের ইংরেজি কোন কিছু লেখা যায় তাহলে আরও বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। সেই লিখায় আর গভীরভাবে মনোযোগী হতে হবে। তাহলে আমরা ভাষার বিভিন্ন কথা লিখতে বা পড়তে হলে ভুলগুলো পরিহার করতে পারব। আর সঠিকভাবে লিখতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *