বর্তমান পৃথিবীতে ৭,০৯৯ টি ভাষা প্রচলিত আছে। ভাষা হল মানুষের মনের ভাব প্রকাশের বিশেষ একটি মাধ্যম। বিশ্বের অনেক ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছে। প্রত্যেকটি জাতির জন্য আলাদা আলাদা ভাষা রয়েছে। যে ভাষা ব্যবহার করে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে। ভাষা হল মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার একটি বিষয়। মানুষ তার জন্মসূত্র থেকে যে দেশে সে জন্মগ্রহণ করেছে সেই ভাষা বা তার মায়ের ভাষা শিখে তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। তাই আপনারা অনেকেই ভাষা সম্পর্কে আগ্রহী।
তাই ইন্টারনেটে অনেকেই অনুসন্ধান করছেন ভাষা কত প্রকার। আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে ভাষা কত প্রকার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এই বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে এখানে ওখানে না খুঁজে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে ভাষা কত প্রকার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ টি মনোযোগ সহকারে করতে হবে।
ভাষা হল মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের সেতু বন্ধন এর মাধ্যম। মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মুখ থেকে বেরিয়ে আসা অর্থপূর্ণ কতগুলো আওয়াজ বা ধ্বনির সৃষ্টি হয় তাকেই ভাষা বলা হয়। ভাষা হল মানুষের উচ্চারিত প্রণালী বদ্ধ ধ্বনি-সংকেত, যা দিয়ে এক একটি বিশিষ্ট সমাজ পরস্পরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করতে পারে। ভাষার মাধ্যমে একজন মানুষ আর একজন মানুষের মনে সঞ্চারিত কথাগুলো বিনিময় করতে পারে। বাগ যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি ব্যবহারের মাধ্যমে ভাষার উদ্ভাবন ঘটে। কিন্তু বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি কিন্তু ভাষা নয়, যদি ধ্বনি ভাব প্রকাশের উপযোগী অর্থপূর্ণ শব্দ না হয়।
মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য কণ্ঠধ্বনি এবং হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে ইঙ্গিত করে থাকে। কিন্তু ভাষার সাহায্যে মানুষ খুব সহজেই যত বেশি পরিমাণ মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে ইঙ্গিতের সাহায্যে ততটা পারে না। আর ভাষার সাহায্যে মানুষ মনের সুন্দর ও সূক্ষ্ম ভাব প্রকাশ করতে সমর্থ হয়।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বস্তু ও ভাবের জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি করেছে। সেসব শব্দ মূলত নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক মাত্র। এ জন্যই আমরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার দেখতে পাই। সে ভাষাও আবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে উচ্চারিত হয়ে এসেছে।
আপনারা যারা ভাষা কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য বেশ আগ্রহী তাদের জন্য আমরা বলছি ভাষাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে
১. কথ্য ভাষা বা মুখের ভাষা ও ২. লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা।
১. কথ্য ভাষা বা মুখের ভাষা: আমরা সাধারণত যে ভাষায় কথা বলে একে অন্যের মনের ভাবের আদান-প্রদান করে থাকি তাকে সাধারণত কথ্য ভাষা বা মুখের ভাষা বলা হয়।
২. লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা: যে ভাষাই মধ্যেমে বই পুস্তক, চিঠিপত্র ইত্যাদি লেখা হয় তাকে সাধারণত লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা বলা হয়।
আপনারা যারা ভাষা কত প্রকার এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের এই কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি সঠিক ভাবে জেনে নিন