বাংলা ব্যাকরণ মতে বাক্যে ব্যবহৃত যে প্রকার পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়া পদকে বিশেষিত করে, তাকেই বিশেষণ বলে। আমরা অনেকেই ভাব বিশেষণ কয় প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছি আর এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে এখানে ওখানে না খুজাখুঁজি করে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে,তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেব ভাব বিশেষণ কয় প্রকার আর এই প্রশ্নটির উত্তরটি জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পূর্ণ ভাবে একটু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি আমাদের এখান থেকে পেয়ে যাবেন
যে সকল শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যতীত অন্য পদ গুলোকে বা বাক্যকে বা উভয়ের অর্থকে বিশেষিত করে, তাদেরকে ভাব-বিশেষণ বলা হয়। ভাব বিশেষণ প্রধানত চার প্রকার। যথাঃ ১. ক্রিয়া বিশেষণ। ২. বিশেষণের বিশেষণ । ৩. অব্যয়ের বিশেষণ। ৪. বাক্যের বিশেষণ।
১. ক্রিয়া বিশেষণ: যে শব্দ ক্রিয়ার ভাব, কাল ও রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া-বিশেষণ বলা হয়।এছাড়া একটি শব্দের ভাব অন্য শব্দের যুক্ত হয়ে যদি পরের কোনো শব্দকে বিশেষিত করে তখনও ক্রিয়া বিশেষণ হয়। এই জাতীয় শব্দের শেষে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন অকুণ্ঠ প্রাণে। এখানে অকুণ্ঠ শব্দটি প্রাণ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে তৈরি হয় তৈরি হয় অকুণ্ঠ প্রাণ। এই শব্দের সাথে এ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় অকুণ্ঠ প্রাণে। এই জাতীয় শব্দ হতে পারে।
২. বিশেষণর বিশেষণ: যে শব্দ বিশেষণ বা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে। তাকে বিশেষণীয় বিশেষণ বলা হয়। যেমন-সামান্য একটু পানি দিও।
৩. অব্যয়ের বিশেষণ: যে শব্দ অব্যয়কে বা অব্যয়ের ভাবকে বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলা হয়। যেমন-শত ধিক নির্লজ যে জন।
৪. বাক্যের বিশেষণ: যখন কোন পদ একটি পুরো বাক্যকে বিশেষিত করে, তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমন- বাস্তবিকই এটা একটা কঠিন কাজ। একাধিক পদ দ্বারা গঠিত বিশেষণ। এক্ষেত্রে পদগুলো পৃথকভাবে থাকতে পারে, কিম্বা সমাস বা সন্ধি যোগে যুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ভাব বিশেষণ কয় প্রকার এই প্রসঙ্গে শুরু থেকে শেষ অব্দি আলোচনা করলাম আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আমাদের এখান থেকে এসে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি দেখে নিন।