আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে

জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছানুসারে পরিচালিত রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র বলা হয়। গণতন্ত্র এমন একটি বিষয় যেখানে আইন, নেতৃত্ব, নীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনা, পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি প্রণয়ন করতে জনগণ দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহু প্রাচীনকাল থেকে গণতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে গণতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে। তবে আধুনিককালে আমরা গণতন্ত্র বলতে যা বুঝি তার উৎপত্তি হয়েছে শিল্প বিপ্লবের পরে। কারণ প্রাচীন গ্রিক নগরায়নের প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র এবং আধুনিক গনতন্ত্রের মধ্যে সাদৃশ্য থাকলেও বৈসাদৃশ্য অনেক। আধুনিক গণতন্ত্রের মূল দার্শনিক ভিত্তি নিহিত রয়েছে। তাই আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা উচিত। কারণ এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে পরতে হয়। তাই আমরা আপনাদেরকে জানি য়ে দেবো আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে। আর এ বিষয়টি জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অব্দি পরতে হবে।

আধুনিক যুগে সারা পৃথিবীতে সবচাইতে জনপ্রিয় সরকার ব্যবস্থা হল গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার মধ্যমে সাধারণ মানুষ তার নিজের অধিকার গুলো রক্ষা করতে পারে। তাই যে সকল রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে প্রত্যেকে এ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখেছে। তবে এক এক দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা একেক রকম নয় প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গুলো এক হয় না আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
গণতন্ত্র প্রতিঠিত হয় সর্বপ্রথম গ্রিসের একটি রাজ্যে। আর এখান থেকেই গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। গণতন্ত্র শব্দটি গ্রিক শব্দ ডেমোক্র্যাটীয়া থেকে উদ্ভূত। এই ডেমোক্রেটিয়ার আভিধানিক অর্থ হলো জনগণের দ্বারা শাসন। আর এই গণ তন্ত্র শাসন ব্যবস্থাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শাসন ব্যবস্থা।

গণতন্ত্র এমন একটি বিষয় যেটা প্রতিনিয়ত একটি রাষ্ট্রের জনগণের উপর সকল ধরনের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। আর এর জন্যই অতি প্রাচীনকাল থেকে গণতন্ত্র শাসন ব্যবস্থাটি খুব জনপ্রিয় একটি শাসন ব্যবস্থা। তাই আমাদের জেনে রাখা উচিত গণতন্ত্রের জনক কে এরিষ্টটলকে গণতন্ত্রের জনক বলা হয়। তবে গণতন্ত্র কে আরো আধুনিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে আধুনিক গণতন্ত্রের জনক হিসেবে জায়গা দখল করে নেন বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন লক। গণতন্ত্র এমন একটি বিষয় যেখানে যে কোন মুহূর্তে জনগণের ইচ্ছায় সরকার ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন সরকার তৈরি করতে পারে। গণতন্ত্র হলো জনগণ দ্বারা পরিচালিত একটি সরকার। এই কারণে সরকার ব্যবস্থায় সকল জনগণের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়
যেটা জনগণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *