তারাবির নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয়

রমজানে মুমিনের জন্য একটি বিশেষ নামাজের বিধান দেওয়া হয়েছে। বছরের আর কোনো মাসে এই নামাজ পড়ার বিধান নেই। বিশেষ এই নামাজের নাম তারাবি। সাধারণত এক বছর পর পর প্রতি রমজান মাসে এ নামাজ আদায় করতে হয়। তাই অনেকেই তারাবির নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় ভুলে যান বা অনেকেই সঠিক ভাবে জানেন না তারাবির নামাজ কয় রাকাত। আপনারা যারা তারাবির নামাজ কয় রাকাত এ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ও ইন্টারনেটে খুঁজছেন আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের এখানে তারাবির নামাজ কয় রাকাত এই প্রসঙ্গে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই তারাবির নামাজ কয় রাকাত এই প্রশ্নের উত্তরটি পেতে তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

তারাবির নামাজ এক ধরনের নফল নামাজ। এটির নির্দিষ্ট কোনো নামাজের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত, ২৪ রাকাত, ৩০ রাকাত যার যতটুকু সমর্থ রয়েছে তিনি ততটুকু পড়বেন। তারাবির নামাজ মূলত রাতের নামাজ এবং রাতের নামাজের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আদায় করা। কত রাকাত, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যান নি। কেউ যদি ২০ রাকাত পড়েন তাহলে পড়তে পারেন, কেউ যদি ৮ রাকাত পড়েন তাহলে সেটাও পড়তে পারেন। ইসলামে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়তে হবে। বা এমনটা উল্লেখ নাই যে তারাবির নামাজ ৮ রাকাতই পড়তে হবে।

মূলত মাহে রমজানে এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর বিতরের আগে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। সাধারণ নফল ও সুন্নতের চেয়ে অধিকতর মর্যাদা বান, গুরুত্বের দিক থেকে তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কা দাহ, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। তারাবির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। তারাবির নামাজের নিয়ত আরবি এবং বাংলা উভয় ভাবে নিয়ত করা যাবে।

তাছাড়া তারাবি নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি।

তারাবি নামাজের ফজিলত এবং মর্যাদা সম্পর্কে আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে পূর্ণ লাভের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, সে ব্যক্তির অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করা হয়। তিনি আরো বলেন যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব লাভ করার আশায় রোজা রাখেন এবং তারাবি নামাজ পড়েন, সেইসাথে কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর এবাদত করেন তার জীবনে আগের সব গুনাহ মাফ করা হবে।

পবিত্র রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়া নারী পুরুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তারাবি নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবাদের তারাবির নামাজ পড়ার জন্য আদেশ করেছেন। তারাবীর নামাজ নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তবে পুরুষ মসজিদে জামাতের সাথে আর মহিলা গণ ঘরে পড়বে।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা শুরু থেকে শেষ অব্দি তারাবির নামাজ কয় রাকাত এই প্রসঙ্গে আলোচনা করলাম। আপনারা যারা তারাবির নামাজ কয় রাকাত এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিলাম তারাবির নামাজ কয় রাকাত আপনারা চাইলে আমাদের এখান থেকে আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *