আপনারা যারা নিয়মিত সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল আদান-প্রদান করেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের জরুরি ফোন নম্বর শেয়ার করার চেষ্টা করব। পার্সেল আদান-প্রদান করতে হলে আপনাদের বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কোন বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা সব সময় সতর্ক থাকবেন তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত কিছু কথা তুলে ধরব আপনাদের কাছে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের নাম শোনেননি এমন ব্যক্তি হয়তো খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের যে কোন জিনিস পাঠাতে আমরা বেশিরভাগ সময়ই যে কুরিয়ারের উপর ভরসা করে থাকি তাহলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস। আপনারা নিশ্চয় জানেন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় পণ্য পাঠিয়ে থাকে।
আপনার যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। যেহেতু বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের জিনিসপত্র পাঠিয়ে থাকে তাই সারা বছর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনেক চাপের মধ্যে থাকতে হয়। এর মাঝে যদি কোন কারনে আপনার কোন জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে নিশ্চয়ই আপনার খারাপ লাগবে কিন্তু এসব ছোটখাটো বিষয়গুলো মেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে কারণ ইচ্ছে করে কখনোই কেউ আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করে না। এরপরও আমরা আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব কোন উপায়ে পার্সেল পাঠালে আপনার জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এছাড়াও কোন ধরনের ডকুমেন্ট আপনি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন তাও জেনে রাখা দরকার।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কোন পার্সেল পাঠানোর পর আপনারা নিশ্চয়ই চিন্তিত থাকেন আপনার পার্সেলটি সঠিক সময়ের মধ্যে পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে। অনেক সময় আপনারা জানতে চান আপনার পার্সেলটা এখন কোথায় অবস্থান করছে। আপনাদের অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে এখন থেকে বাড়িতে বসে জানতে পারবেন আপনার পার্সেলটি কোথায় অবস্থান করছে। যেহেতু এখন আধুনিক যুগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে তাই যেকোনো ধরনের তথ্য বাড়িতে বসেই পাওয়া সম্ভব। আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি দ্বারা-ই যেকোনো ধরনের তথ্য আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন। চলুন দেখা যাক এই সুবিধা গুলো নিতে গেলে আপনাকে কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করতে হবে।
আমরা যখন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য পাঠাতে চাই তখন সেখান থেকে আমাদের একটি রশিদ দেওয়া হয়। সেই রশিদটিতে আমাদের পার্সেলের বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। সেখানে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ সকল মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে। আপনারা যদি কোন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হন তবে সেখান থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে সরাসরি ফোন করতে পারবেন। সরাসরি ফোন করে আপনার পার্সেল নম্বরটি বললেই তারা জানিয়ে দেবে আপনার পার্সেলটা এখন কোথায় অবস্থান করছে। সাধারণত একটি পার্সেল গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে দুই তিন দিন লেগে যায়। এই ২-৩ দিনের মধ্যে খুব একটা ব্যস্ত হবার প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পার্সেল গন্তব্যস্থলে না পৌঁছালে তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস তাদের নতুন কোন কোন সার্ভিস চালু করেছে তা জানার জন্য সরাসরি শাখা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিস রয়েছে এছাড়াও বেশ কিছু এজেন্ট রয়েছে তাদের। আপনারা চাইলে এজেন্টের মাধ্যমে ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সেবা নিতে পারবেন। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান প্রধান শাখা গুলোর ফোন নাম্বার এবং হটলাইন নাম্বার আমাদের এই আর্টিকেলে প্রকাশ করা হবে। আপনারা যে কোন সমস্যা সম্মুখীন হলে এই পোস্ট থেকে মোবাইল নাম্বার গুলো সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করি এমন কার্যকরী পোস্ট পেতে আপনারা সব সময় আমাদের সাথেই থাকবেন।