বানান বাংলা বা ইংরেজি হোক শুদ্ধভাবে লিখাটা জরুরি। শুদ্ধ ও সঠিকভাবে বানান লিখতে না পারলে কখনো যেকোনো ভাষায় সঠিকভাবে শেখা যায় না। তাই বানানের ক্ষেত্রে আমাদের অত্যন্ত যত্নশীল বা মনোযোগী হতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনেক বানান ভুল করে। বাংলার বানান ভুল করে ইংলিশে লিখতে গেলেও বানান ভুল করে। সেই সকল শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজেদের ভুলগুলো দূর করতে হবে। তা নাহলে সামনের দিকে আগানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই আমরা আমাদের আর্টিকেলটিতে শুদ্ধ বানানগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা যারা শুদ্ধ বানান বা বানান শুদ্ধিকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে উপকৃত হবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
শুদ্ধ বানান শিখা বা সঠিক বানান শিখতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কারণ বানান যদি ভুল হয় তাহলে সে বানান কোথাও গ্রহণযোগ্য হয় না। অর্থাৎ ভুল বানান লিখা হলে সেই লিখাটি কোথাও গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই অবশ্যই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর উচিত ছোটবেলা থেকে বানান শুদ্ধভাবে লেখার প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং কঠিন বানাগুলো বারবার অনুসরণ করা। যদি কঠিন বানানগুলো বারবার অনুশীলন করা যায় তাহলে সেই বানানগুলো সহজে আয়ত্তে চলে আসবে।
বাংলা হোক বা ইংরেজি বানানের ক্ষেত্রে অবশ্যই যত্নশীল হতে হবে। কারণ ইংরেজি বানান ভুল করাও যেমন যাবে না তেমনি ভাবে বাংলা বানান ভুল করা যাবে না। বানান ভুল করলে কখনো শুদ্ধভাবে লিখতে বা পড়তে শেখা যায় না। তাই যে সকল শিক্ষার্থীদের বানান ভুল হয় তারা বানান ভুল পরিহার করার জন্য বিভিন্ন কঠিন বানানগুলো বারবার অনুসরণ করতে মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সহায়ক হবে। কারণ এখানে শুদ্ধ বানান বা বানান শুদ্ধিকরণ এর কিছু নিয়ম দেওয়া আছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই বানান শুদ্ধ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর সেই গুলো নিজেরা অনুসরণ করে বানানের ভুলগুলো দূর করতে পারবেন। আর এভাবে হয়ে উঠতে পারবেন শুদ্ধ বানানের অধিকারী একজন।
তাছাড়া বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে বাংলা শুদ্ধিকরণ। সাধারণত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সিলেবাসে এই বানান শুদ্ধিকরণ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই এ সকল শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি পড়তে হয়। এজন্য তারা শুদ্ধ বানানগুলো লিখতে ও শিখতে পারে। সে সকল শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ বানান লিখার দিকে বা শিখার দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং এই বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না।
সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বানান শিখানো হয়। আর তখন থেকে তারা বিভিন্ন বানান চর্চা করতে করতে বানানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে ফেলে এবং শুদ্ধ বানান শিখে ফেলে এজন্য ছোটবেলা থেকেই তাদেরকে সঠিক বানানগুলো শিখাতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু বানান আছে যেগুলো অনেক কঠিন আর তারা সে বানানগুলো লেখার সময় ভুল করে। তাই সেই কঠিন বানানগুলো যাতে ভুল না করে এজন্য ছোটবেলা থেকে সেই কঠিন বানানগুলো লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর বাচ্চাদের সঠিক বানানগুলো শেখাতে হবে। তাহলে তখন থেকে তারা সঠিক বানানগুলো শিখে বড় হয়ে ভুল করার প্রবণতা কম থাকবে।
আর শিক্ষার্থীদের কে সঠিক বানান শেখানোর জন্য শিক্ষকদেরকে সঠিক বানান শিখতে হবে।কেননা আমরা অনেক সময় দেখি যে অনেক শিক্ষক বানান ভুল করে। আর সেই সকল শিক্ষকের বানান ভুল করার জন্য শিক্ষার্থীরা ও সেই বানান ভুল গুলো শিখে নিতে পারে। তাই শিক্ষকদের বানান ভুল পরিহার করতে হবে আর তাদের যদি কোন বানান ভুল হয়ে থাকে তাহলে নিজেদেরকে সংশোধন করে সঠিক বানান শিখতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই সকল শিক্ষকদের কাছ থেকে সঠিক বানান শিখতে পারবে। আর এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।