বাংলা ব্যাকরণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হল সন্ধি। একটি ভাষার সামগ্রিক শ্রীবৃদ্ধি করার জন্য গতি ও শৃঙ্খলার জন্য সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সন্ধি শব্দের সমর্থিক অর্থ হলো মিলন। আমরা যখন কথা বলার সময় দ্রুত কথা বলি দ্রুত কথা বলার জন্য উচ্চারণের সময় পাশাপাশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণ একসঙ্গে মিলিত হয়ে যায় এবং একই সঙ্গে আরেকটি পরিবর্তন হয়ে লোপ পেয়ে যায়।
আপনারা অনেকেই সন্ধি সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী, তাই গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় আপনারা এই বিষয়ে বারবার সার্চ করছেন এবং উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে সন্ধি কত প্রকার এই বিষয়ে আলোচনা করব, তাই আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর দেখে নিন আপনার প্রশ্নের উত্তরটি চলুন তাহলে দেখে নিই সন্ধি কত প্রকার।
সন্ধি কত প্রকার এই প্রসঙ্গে জানতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের সন্ধি কি সে বিষয়ে জেনে রাখাটা উত্তম,আমরা যখন দুটি শব্দ পাশাপাশি উচ্চারণ করি, তখন শব্দ দুটির কাছের বর্ণ দুটি অনেক সময় আলাদাভাবে উচ্চারিত হয় না। দুইয়ে মিলে মিশে যায়। এভাবে পাশাপাশি দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।যেমন নব+অন্ন =নবান্ন, সিংহ +আসন=সিংহাসন।
বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে সন্ধিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
১. স্বরসন্ধি ও ২.ব্যঞ্জনসন্ধি
স্বর বর্ণের সাথে স্বরবর্ণের মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে। আর ব্যঞ্জন বর্ণের সাথে ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনের যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে।
আপনারা যারা জানতে চাচ্ছিলেন সন্ধি কত প্রকার আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো। আপনারা আমাদের এখান থেকে এসে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।