শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়

প্রতিবছর শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে শবে বরাতের নামাজ পালিত হয়। সকল মুসলমানের কাছে শবে বরাতের নামাজ একটি বিশেষ ইবাদত। সবাই শবে বরাতের নামাজ কে নফল নামাজ হিসেবে পালন করে থাকে। তবে শবে বরাতের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়মটি জানতে হবে। যেমন শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হবে কিভাবে পড়তে হবে এইসব প্রশ্নের উত্তর জেনে আপনাকে শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু এক বছর পর পর এই নামাজ আদায় করতে হয় তাই অনেকেই এই নামাজ কিভাবে পড়তে হয় কয় রাকাত পড়তে হয় ভুলে যান এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করেন শবে বরাত নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয় ইত্যাদি এই এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ অবধি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

শবে বরাতের নামাজ দুই রাকাত করে যত বেশি পড়া যায় তত বেশি সওয়াব। নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক সওয়াবের কাজ। এভাবে কমপক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি যত রাকাত আদায় করা যায় ততই উত্তম। তবে শরীরের উপর বেশি জোর দিয়ে অধিক পরিমাণ নামাজ আদায় করতে নিষেধ আছে ইসলামে। কারণ জোর করে এবাদত করতে নিষেধ করেছে মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দা যতোটুকু পারবে ততটুক ইবাদত করবে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে।

শবে বরাত নামাজের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। এখানে কত রাকাত নামাজ পড়লেন এটি বড় কথা নয়! নামাজ কত দীর্ঘ করলেন এবং কত মনোযোগ দিয়ে পড়লেন এটিই বড় কথা। এখন নিয়ত করবেন কিভাবে? বলবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পরছি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহু আকবার। এভাবে সংকল্প করলেই আপনার নামাজ হয়ে যাবে। তবে এখানে সূরা ফাতিহা একবার আর সূরা ইখলাস তিনবার পড়তে হবে বা সূরা ওয়াকিয়া পড়তে হবে এমন কোনো কথা হাদিসে নেই। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাই সূরা ফাতিহার পরে যে কোনো সূরা দিয়ে নামাজ পড়লেই নামাজ হয়ে যাবে

প্রতি ৪ রাকাত পর পর কিছু তাসবিহ্ তাহলীল আদায় করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করা অতি উত্তম। এভাবে সারা রাত নামাজ আদায় করা যেতে পারে। পবিত্র শবে বরাতে এভাবে নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। যেহেতু এই রাতে আল্লাহর অগণিত মাখলুককে ক্ষমা করে থাকেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে বেশি বেশি করে ক্ষমা চাওয়া তিনি এই পবিত্র রাতে ক্ষমা করার জন্য বান্দাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন যে যত বেশি ক্ষমা চাইবে সৃষ্টিকর্তা তাকে তত বেশি ক্ষমা করে দিবেন। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা শুরু থেকে শেষ অব্দি শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয় এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি দেখে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *