সৌদি এয়ারলাইন্স ঢাকা অফিস ফোন নাম্বার

আপনারা যারা সৌদি আরবে যাবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা আমাদের আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়বেন কারণ আমাদের আজকের পোষ্টের মধ্যে আমরা সৌদি এয়ারলাইন্সের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে যাবার কথা চিন্তা করছেন তারা নিশ্চয়ই খুবই চিন্তিত রয়েছেন কারণ কিভাবে সব ধরনের কাগজপত্র ঠিক করবেন এবং সঠিক মানুষের সহায়তা পাবেন তা বুঝতে পারছেন না। আপনি যদি সৌদি আরবে যাবার জন্য কোন এজেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে থাকেন তবে সেই এজেন্ট আপনাকে সঠিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে কিনা তা জেনে নেওয়া দরকার। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে সৌদি এয়ারলাইন্সের ঢাকা অফিসের ফোন নাম্বার শেয়ার করব যেখানে ফোন করে আপনারা সৌদি এয়ারলাইন্সের সব ধরনের তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবছর সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর মূল উদ্দেশ্য ভাগ্যের চাকা ঘোরানো। বাংলাদেশে যারা কোন কর্মে এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেননি তাদের জন্য ভালো একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে দেশের বাইরে যাওয়া। যেহেতু ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে যাওয়া অনেক কঠিন ও কষ্টসাধ্য তাই সৌদি আরবের অথবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সকলের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে। সৌদি আরবে যাবার জন্য যে কোন এজেন্টের মাধ্যমে খুব সহজে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যায়।

নিজের পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকলে খুব সহজেই ভিসা পাওয়া সম্ভব। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন ভিসা পাওয়ার প্রসেস কি হতে পারে। যদি আপনার আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ সৌদি আরবে অথবা মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে থাকে তবে তার মাধ্যমে ভিসা নিতে পারেন। আপনার আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে কেউ যদি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে না থাকে তবে যেকোনো এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। তবে ভিসা সংগ্রহের আগে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ আপনি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়তে পারেন। এমন কোন ব্যক্তির কাছে ভিসা পাওয়ার জন্য টাকা পয়সা লেনদেন করবেন না যার অতীত ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়। টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক হতে হবে এবং প্রমাণ রাখতে হবে।

সৌদি আরবে কাজের জন্য গেলে আপনি দুই ধরনের সংগ্রহ করতে পারবেন। চলুন আলোচনা করা যাক আপনি কোন কোন উপায়ে কোন কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। সৌদি আরবে আপনি যেকোন কোম্পানির প্রতিনিধি হয়ে যেতে পারবেন। কোম্পানির নির্দিষ্ট শর্ত মেনে খুব সহজেই সৌদি আরবে অথবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে প্রতিমাসের নির্দিষ্ট অংকের স্যালারি দেবে। কোম্পানির কাজের বাইরে আপনি অন্য কোন কাজ করার সুযোগ পাবেন না। নির্দিষ্ট একটি সময় পর পর দেশে আসার জন্য ছুটি পাবেন।

তবে কোম্পানির হিসাব পেতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না এবং এই ভিসায় খরচ ও তুলনামূলক অনেক কম হয়। আপনি যদি ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে যেতে পারেন তবে যে কোন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে যাবার পর ব্যবসা করে নিজের ভাগ্য বদলাতে পেরেছেন। যদিও ফ্রি ভিসা পাবার জন্য অনেক খরচ করতে হয় এবং এই ভিসা পাওয়া অনেক কষ্টকর।


এছাড়াও যারা হজে যাবার জন্য অথবা শুধুমাত্র ঘুরতে যাওয়ার জন্য সৌদি আরব যেতে চাইছেন তারা নিশ্চয়ই আগে থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের যাবতীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে চাইবেন। সৌদি আরবে ঘুরতে গেলে অথবা ওমরার জন্য গেলে আপনারা সৌদি এয়ারলাইন্সে সরাসরি ফোন করে তাদের ফ্লাইট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জেনে নিতে পারেন। আমরা আমাদের পোস্টে সৌদি এয়ারলাইন্সের ঢাকা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফোন নাম্বার গুলো সংযুক্ত করার চেষ্টা করব। আশা করি সৌদি এয়ারলাইন্সের ঢাকা অফিসের ফোন নাম্বার পাওয়া পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাপোর্ট করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *